শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান বা পরমাত্মা বলা হয়ে থাকে। এর অবস্থান অনেক কারণ রয়েছে। যে কারণগুলির মধ্যে থেকে দেখা যায় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং ভগবান বলা যায়। অর্থাৎ সনাতন ধর্মে বিষ্ণুর দশ অবতার রয়েছে। অর্থাৎ সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে পৃথিবী তে যখন অধর্ম বেড়ে যায় ধর্মের গ্লানি হয় অর্থাৎ সাধু গুরু বৈষ্ণব যখন অত্যাচারের শিকার হয় অসুরের বল ফ্রক বৃদ্ধি পায় তখন ভগবান নেমে আসেন এই ধরাধামে। ভগবান বিষ্ণু এই ধরাধামে নেমে আসার নামই হল অবতার।
বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে অষ্টম অবতার হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে ধরাধামে এসেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সবচাইতে সুন্দর নিদর্শন এবং ভগবান হওয়ার যথেষ্ট নিদর্শন এর মধ্যে দেখা যায় যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় অর্জুনের উদ্দেশ্যে বলা তার মুখনিঃসৃত বাণী। সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী গুলো ছিল যদিও অর্জুনের উদ্দেশ্যে তারপরেও আসলে অর্জুন এখানে সমস্ত জীবজগতের প্রতিনিধি হিসেবে বলা যেতে পারে।
কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জনের উদ্দেশ্যে যে কথাগুলো বলেছেন সে ঠিক এখন আমাদের মাঝে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা নামে পরিচিত। তাই শ্রীমদ গীতা মনুষ্য জীবনের জন্য এক অপরূপ নিদর্শন ঈশ্বরের তরফ থেকে। এখানে মনুষ্য জনমের সবকিছু তথ্য ও তথ্য উল্লেখ করা রয়েছে। এই শ্রীমৎ ভাগবত গীতাতে ভগবান নিজ মুখে বলেছেন যে আমি পৃথিবীতে বারবার অবতীর্ণ হই। আমি বারবার পৃথিবীতে অবতীর্ণ হই বিভিন্ন কারণে অর্থাৎ পৃথিবীতে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করা এবং অধর্মকে চিরতরে বিচ্ছেদ বা পৃথিবী থেকে উপরে ফেলার জন্য।
কিন্তু বারবার যখন পৃথিবীতে অধমের ছায়া গ্রাস করতে থাকে তখনই ভগবান এসে থাকেন এই ধরাধামে। তাই আমাদের এই ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে এসেই ছিলেন পৃথিবী থেকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য অধর্ম দূর করার জন্য ধর্ম সংস্থাপন করার জন্য। তিনি তার কাজ একেবারে ভালোভাবে করে তিনি এই ধরাধাম থেকে বিদায় নিয়ে বৈকন্ঠ ধামে অবস্থান করছেন। তবে তিনি যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে যে কোন জায়গাতেই ভক্তের ডাকে সাড়া দেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভক্তের ভগবান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ভক্তের জন্য সবকিছু করতে পারেন। তাই অন্য সকল কিছুকেই তিনি সহ্য করতে পারলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার ভক্তকে অপমান বা তার ভক্তকে কেউ আঘাত করলে সেটি তিনি সহ্য করতে পারেন না।
তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বলা হয় ভক্তের ভগবান। এখন আজকে আপনারা যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই শ্রীকৃষ্ণ মানে কি সে বিষয়টি জানার জন্য এসেছেন। আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ শব্দের অর্থ কি সে বিষয়টি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব এখন। কারণ সনাতন ধর্মের সকল ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান রূপে মেনে থাকেন। এবং প্রত্যেকটি সনাতনী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সবসময় মনে মনে প্রার্থনা করতে থাকেন।
তাই এ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীকৃষ্ণ নামটির অর্থ কি এই বিষয়টি তারা জেনে থাকেন এবং আজকে জানার জন্য যারা এসেছেন তাদেরকে অবশ্যই আমরা এখন বলব। তাহলে আপনারা আর দেরি না করে এখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামের অর্থ জেনে নিতে পারবেন। বিভিন্ন শাস্ত্রে বা বিভিন্ন বইতে কৃষ্ণ শব্দের বিভিন্ন অর্থ করা হয়েছে। এখন আমরা আপনাদেরকে এই বিভিন্ন জায়গার অর্থাৎ বিভিন্ন ছাত্রের উল্লেখ পূর্বক কোথায় কি বলা হয়েছে সে বিষয়গুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। কৃষ্ণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ কালো বা ঘন নীল।
গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রে, কৃষ্ণ শব্দটির আভিধানিক অর্থ সর্বাকর্ষক। ভাগবত পুরাণে কৃষ্ণকে প্রায়শই বংশী-বাদনরত এক কিশোরের রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। আবার ভগবদ্গীতায়, তিনি এক পথপ্রদর্শক রূপে দন্ডায়মান। তাহলে আপনারা কৃষ্ণ শব্দের অর্থ আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারলেন যে শব্দটির অর্থ কি। এই ধরনের যেকোনো তথ্য বা যেকোনো বিষয় খুঁজে পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন।
Leave a Reply