অস্বচ্ছ জলরঙে আঁকা ছবি কে কি বলে

অস্বচ্ছ জলরঙে আঁকা ছবি কে কি বলে

মানুষ যখন পুরোপুরি ভাবে ভাষার জন্য অক্ষর কেন অর্জন করতে পারেনি তখন বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে একে অপরের মনের ভাব প্রকাশ করত। তখন থেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি অংকনের প্রচলন ঘটে বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য বিভিন্ন রকমের ছবি অংকন করা শুরু হয়। ছবি অনেক কথা বলে আর এই কারণেই যখন বই-পুস্তক

আবিষ্কার হয়নি কোন অক্ষর আবিষ্কার হয়নি তখন থেকে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের ছবি অঙ্কন করে একে অন্যের মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। তাই দেখা যায় যে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন পাতার উপর বিশেষ করে তালপাতার ওপর এবং বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি কাগজের ওপর ছবি অঙ্কন করে বিভিন্ন ধরনের সেই সময়কার সামাজিক প্রেক্ষাপট জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তাই আমরা বলতে পারি যে ছবি অংকন বা চিত্র অংকন অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে থাকে। তাই মানুষের জীবনে দেখা যায় যে ছবির গুরুত্ব অপরিসীম। ছবি দিয়ে মানুষ এই আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছে বলেই মনে করা হয়ে থাকে। কারণ বর্তমান যে যুগে আমরা এখন বসবাস করছি এই একদিন এই এসে পৌঁছায়নি। এ সময়টা আসতে মানসিক অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছে অনেক বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে হয়েছে।

কারণ আমরা পূর্বেই বলেছি যে মানুষ একসময় গুয়াভাষী বৃক্ষবাসি মনো জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতো। কিন্তু সেই মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি আস্তে আস্তে বাড়তে বাড়তে বর্তমান সময়ে এসে পৌঁছাইছে। তাই যখন গোহাবাসী মানুষ আস্তে আস্তে মানুষের সাথে অন্য মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য তারা দেখা যেত যে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির ছবি বা গাছ পাতা ইত্যাদির ছবি অংকন করে তাদের মনের ভাবগুলি প্রকাশ করতে।

এবং সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গণনা শেখার শুরু এবং মানুষ এ ধরনের কথাবার্তা থেকে মনের ভাব প্রকাশ করতে শুরু করে। তারই প্রেক্ষিতে মানুষ এখন বিশ্বজনীন অর্থাৎ বিশ্বের সকল মানুষের সাথেই তাদের ভাব আদান-প্রদান করতে পারে। কিন্তু আসলে এই ভাব আদান-প্রদান করার জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় বা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। আমরা বর্তমান সময়ে দেখেছি যে ছবি বিভিন্নভাবে কথা বলে।

শিল্পীরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবির অংকন করে থাকে। শিল্পীদের সেই মনের ভাব এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম বয়ে নিয়ে বেড়ায়। উপন্যাসিক বা সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিক সকলেই মানুষের আগ পর্যন্ত থেকে আরেক প্রজন্মকে জানার জন্য ইতিহাস সম্পর্কে বোঝার জন্য তারা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে এ সকল বিষয়বস্তুগুলি ফুটিয়ে তুলত।

তারই প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য ছবি অবশ্যই বিশেষ একটা জিনিস। তাই আমরা শিল্পীরা যে বিভিন্ন ধরনের ছবি অঙ্কন করে থাকেন তার মধ্যে আমরা আজকে দেখব যে জলরঙের অসহ্য যে ছবি অঙ্কন করা হয় একে আসলে কি ছবি বলা হয় সেই বিষয়টি আপনাদের অবশ্যই অবগত করাবো। কারন আমরা দেখে এসেছি প্রাচীনকাল থেকেই ছবির ব্যবহার সাহিত্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। ছবি শুধু শিল্পীর মনের ভাব প্রকাশ করে এমন নয় শিল্পীর আকাশ হবে একটি জাতির সমস্ত কিছু ফুটিয়ে তুলতে পারে।

তাই আমরা এখন দেখব যে জলরঙের অস্বচ্ছ আকাশেই ছবিগুলোকে এক কথায় আসলে কি নামে ডাকা হয় বাকি নাম দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এই জলরঙের অস্বচ্ছ ছবিগুলোর নাম কি সেটি জেনে নিতে পারি। তাহলে আমরা দেখতে পাই যে এই জলরঙের ছবি রং করার জন্য যে বিষয়টি করা হয়ে থাকে তা আসলে জলরং বা তৈলচিত্র হিসেবেও দেখা হয়ে থাকে। এছাড়াও এর আরেকটি নাম আছে সেটি হল টেম্পেরা। বর্তমানে এই টেম্পারাদেরকে বলা হয়ে থাকে গুয়াশ। এখন বাজারের তৈরি গোয়াশ যেমন পোস্টার কালার তার স্থান দখল করে নিয়েছে বলেই মনে করা হয়ে থাকে।

About Arafat Mia 985 Articles
Bangla Date Today is the best website for providing Bangla date information based on Bengali calendar. This website publishes all type of date information in Bengali, English and Arabic Calendar.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*