কিডনি যেহেতু আমাদের অতি সংবেদনশীল একটি অঙ্গ তাই একে অবশ্যই ভালো রাখতে হবে। কিন্তু প্রথমে আমাদের দেখে নিতে হবে যে, কিডনি কি? বৃক্ক বা কিডনি হল মেরুদন্ডী প্রাণীদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা এর রেচন তন্ত্রের প্রধান অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিডনির প্রধান কাজ সাধারণত দেহের সমস্ত রক্ত ছেকে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ যেমন ইউরিয়া পৃথকীকরণ করে থাকে।
এবং এই ইউরিয়া মানব দেহ থেকে বা অন্যান্য প্রাণীদেহ থেকে মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায় বা বের করে দেয়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে মানবদেহের সমস্ত রক্ত দিনে প্রায় 40 বার কিডনির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এবং এতবার প্রবাহিত হওয়ার কারণ হলো রক্তকে বিশুদ্ধ করা এবং রক্ত থেকে যত ধরনের বর্জ্য রয়েছে সবগুলি সেকে বের করে দেওয়া। কিডনি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন পানি ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেক্ট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম পটাশিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কিডনি অন্যান্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে। যেমন: কিডনি অন্তক্ষরা গ্রন্থী হিসেবে হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সাধারণত মানব দেহের অভ্যন্তরে উদারগহ্বরের পাশ্চাত্য ভাগে অর্থাৎ মেরুদন্ডের দুই পাশে দুইটি কিডনি অবস্থান করে। তবে সুখের বিষয়ে যে দুটি কিডনি একটি যদি কোন ভাবে বিকল হয়ে যায় তাহলে এক টি কিডনি দিয়েও মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।
তবে যদি একই সাথে দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মানুষের আর বেঁচে থাকার উপায় থাকে না। কিডনি সাধারণত চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি দীর্ঘ হয়ে থাকে। এই কিডনি আকার অনেকটা সিমের বিচির মত হয়ে থাকে। কিডনির রং অনেকটা লালচে বাদামী বর্ণের। তাহলে আমরা মোটামুটি ভাবে কিডনির অবস্থান এবং কিডনি জিনিসটা কিবা বস্তুটা কি এই সম্পর্কে কিছু জেনে নিতে পারলাম। তাহলে এখন আমাদের বুঝে নিতে হবে যে কি উপায়ে কিডনি ভালো রাখা যায়। যেহেতু অত্যন্ত সংবিধানশীল একটি অঙ্গ হলো কিডনি।
কিডনি নষ্ট হলে বা কিডনি আক্রান্ত হলে কোন কিছুতে আমাদেরকে অনেক বিপদগ্রস্ত হতে হয়। তাই পিকনিকে বা শরীরের অভ্যন্তরের যে অতি সংবেদনশীল অঙ্গগুলি রয়েছে সেই অঙ্গগুলিকে ভালোভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদেরকে বিশেষ ধরনের যত্ন নিতে হবে। এখন কি সে বিষয়ে ধরনের যত্ন সেই বিষয়গুলি এখন আমরা আমাদের এখান থেকে দেখার চেষ্টা করব।
কিডনি আক্রান্ত হলে সেটির চিকিৎসার পরিবর্তে আসলে কিডনিকে কিভাবে ভালো রাখা যায় বা রোগ থেকে দূরে রাখার বিষয়টি সবচাইতে ভালো বিষয় বলে মনে করা হয়। তাই কিডনিকে ভালো রাখতে হলে আমাদের কিছু কিছু জীবন আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। এখন আমরা দেখব যে এই জীবনাচরণে পরিবর্তন গুলি কি কি। সেই পরিবর্তন গুলির মধ্যেই আমরা দেখব যে কি কি পরিবর্তন আনলে আমরা কিডনিকে ভালো রাখতে পারব।
কিডনিকে ভালো রাখতে হলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে, যে সকল খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর সেই সকল খাবারগুলি খেতে হবে। নিয়মিতভাবে আমাদেরকে শারীরিক ব্যায়ামগুলো করতে হবে। শারীরিক ব্যায়াম করলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই এই ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। যেকোনো ব্যথা পেলেই ব্যথার ওষুধ খেতে হবে এমন নয়।
ব্যথার ঔষধ মানুষের শরীরের অন্যান্য অঙ্গকে বিকল করে দিতে পারে। তাই কিডনি র ইফেক্ট কমানোর জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ব্যথার ওষুধ কম খেতে হবে। এবং সর্বোপরি আমাদের যা করতে হবে তা হল খাদ্যে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে রাখতে হবে তাহলে কিডনিকে মোটামুটি ভাবে ভালো রাখতে পারব। এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করলে আমরা অবশ্যই কিডনিকে যথাসম্ভব ভালো রাখতে পারব বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই ধরনের তথ্যগুলি জানার জন্য বোঝার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
Leave a Reply