ইসলাম ধর্ম একটি অতি পুরাতন ধর্ম। হাদিস হলো ইসলামের ধর্ম গ্রন্থ। আল্লাহ তাআলা হাদিসের দ্বারা সকল ইসলামী বান্দাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। হাদিসের বাণী এবং হাদিসের দেখানো পথেই মুসলিম ভাই-বোনরা অগ্রসর। এক কথায় বলা যায় হাদিস হলো ইসলাম ধর্মের মানুষদের পথপ্রদর্শক।হাদিস হলো ইসলামিক কিতাব। মুসলিমদের প্রধান ভাষা আরবি। জন্য আরবি ভাষায় রচিত ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ হাদিস। কিন্তু ইসলাম ধর্মের পরিধি ব্যাপক। এজন্য দেশভিত্তিক ভাষাগতের পার্থক্যের কারণে এই কোরআন শরীফ বিভিন্ন ভাষায় রচিত রয়েছে। যেমন বাংলা ভাষায়, হিন্দি ভাষায় ইত্যাদি ভাষায় রচিত রয়েছে কোরআন শরীফ।
একজন ইসলাম ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে আমাদের উচিত ইসলামিক দেখানো পথ অনুসরণ করা। ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পালন করা। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যে কাজকর্মগুলোর বিধান রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ সব সময় আমাদের পাশে থাকতে পারেন না এজন্য তিনি আমাদের পরিচালনা করার জন্য হাদিস তৈরি করেছেন। আল্লাহর দান করা সেই হাদিস পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। একজন ইসলাম হিসেবে আমাদের উচিত নিয়মিত হাদিস পাঠ করা এবং হাদিসের বানীগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলা। নিজে হাদিস পড়বো এবং পরবর্তী প্রজন্মকে হাদিস পড়তে এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসই হতে শেখাবো।
আমরা অনেক সময় হাদিসের উচ্চারিত বিভিন্ন বাণী এবং হাদিসের ছবি ডাউনলোড করি। আমাদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে এগুলো ছবি ব্যবহার করে থাকি। যেমন কাউকে বিশেষ ধরনের শুভেচ্ছা পাঠাতে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা অথবা ইসলামিক শুভেচ্ছা। কারো প্রতি দোয়া করতে। কারো জন্য দোয়া প্রার্থনা করে তাকে মেসেজ পাঠাতে হাদিসের পিকচারের সন্ধান আমরা করে থাকি। এরকম যে কোনই কারণেই হোক না কেন হাদিসের পিকচার এবং হাদিসের বাণী গুলো পেয়ে যাবেন আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
ইসলাম ধর্মের মানুষ তার ধর্মকে নিজের প্রানের চেয়ে ভাল বাসেন। তাই ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে হলে হাদিস অনুসরন করা দরকার। যে কাজ রাসূল (সঃ) স্বয়ং করেছেন এবং সাহাবীগণ তা বর্ণনা করেছেন তাই হাদীস। কিন্তু অনেকেই ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও নিজ ধর্ম সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন তা জানে না। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের অব্যশই ইবাদতের সঠিক নিয়মগুলো জানতে হবে।
তাই সঠিক ইবাদত করার জন্য হাদিস, কোরআন পড়তে হবে তাহলে, ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। সহীহ শুদ্ধভাবে ইবাদত করলে আল্লাহ আপনার ইবাদত কবুল করবেন। অনেকেই আছেন যারা, হাদীস বাণী কথা খুজঁতেছেন তারা সঠিক পেজে এসেছেন। নিজের ধর্মের প্রতি সবসময় বিশ্বাস রাখতে। ধর্মের গুনোগান করতে হবে এবং ধর্মের অনুশাসন গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বৃদ্ধি পেলে শান্তি-শৃংখল পরিবেশ বজায় থাকে। কারণ নৈতিক শিক্ষা না থাকলে একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে সচেতন থাকতে পারে না। নৈতিক শিক্ষার অভাব ঘটেলে সেখানে যত রকমের পাপ কার্য ঘটবে। দুর্নীতি, মারামারি, হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ানক বিপদজনক ঘটনাবলী ঘটতে দেখা যাবে যদি সে দেশের জাতির মধ্যে নৈতিক শিক্ষার অভাব হয়। নৈতিক শিক্ষার সবসময় মানুষকে শান্ত এবং পরোপকারী হতে শেখায়।
ধর্মীয় শিক্ষায় বলা হয়েছে সকলের সঙ্গে বন্ধু সুবল আচরণ করতে হবে। হিংসা নিন্দা এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে গরিব- ধনী সকলে মিলে মিশে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। মানুষের ভেদাভেদ করা যাবে না। উত্তেজনা এবং অহংকারকে বিসর্জন দিয়ে সবসময় আল্লাহর এবাদত করতে হবে। আল্লাহর এবাদত করলে মন শান্ত থাকবে। এজন্য আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে হাদিস পাঠে উদ্ধত করব। নিয়মিত হাদিস পাঠ করলে একজন সঠিক মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হতে পারবে একজন শিশু।
ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রচার করার জন্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক পিক শেয়ার করতে পারি। ইসলামিক হাদিসের পিক এবং বিভিন্ন ধরনের ইসলাম ধর্মীয় পিকচারগুলো আমরা শেয়ার করতে পারি এতে ইসলাম ধর্মের প্রতি সকলের বিশ্বাস বাড়বে। ইসলাম ধর্মের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে সবকিছুই ইন্টারনেট নির্ভর। তাই ধর্মীয় অনুশাসন প্রচার করতেও আমরা এই ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারি। ইন্টারনেটের সাহায্যে ইসলাম ধর্মীয় পিকচারগুলো শেয়ার করে ধর্মীয় অনুশাসন বৃদ্ধি করা যায়।
Leave a Reply