সব যুগেই আলাদা আলাদা সপ্তাশ্চর্য হয়েছে। প্রাচীন যুগের সপ্তম আশ্চর্য মধ্যযুগের সপ্তম আশ্চর্য এবং আধুনিক যুগের সপ্তম আশ্চর্য আলাদা আলাদা সাতটি করে সপ্তম আশ্চর্য রয়েছে। সপ্তম আশ্চর্যগুলি আসলে যে স্থাপনা গুলি বা যে জিনিসগুলি আসলে সাধারণত আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় যে এই স্থাপনা গুলি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে। কারণ হলো এ ধরনের আশ্চর্য বিষয়গুলি তৈরি করা মানুষের পক্ষে আহত সম্ভব কিনা এসব বিষয়ে ভাবিয়ে তোলে। এবং এসব বিষয় ভাবিও তোলার কারণেই হল এগুলোকে সপ্তম আশ্চর্যে স্থান দেওয়া হয়েছে। সকল আশ্চর্যের বিষয়গুলি প্রত্যেক যুগে যুগেই ছিল। মানুষ চিন্তা করে থাকে যে অন্য কারোর চাইতে নতুন কিছু তৈরি করার।
সব সময় মানুষ পাশে থাকে অন্যের চাইতে আলাদা কিছু তৈরি করার আলাদা কিছু হওয়ার। সেইসব প্রবণতা থেকেই আমরা দেখতে পাই যে সপ্তম আশ্চর্যের বিষয়গুলি পৃথিবীতে এসেছে। তাছাড়া এই সকল সপ্তম আশ্চর্যের বিষয়গুলি মানুষের কাছে ধরা দিতে না বলেই মনে করা হয়ে থাকে। যদিও এসব বিষয়গুলি মানুষের জন্য সম্ভব হয়েছে জন্যই তারা এই বিষয়গুলি তৈরি করতে পেরেছে। যেমন ধরা যাক চীনের প্রাচীর আগ্রার তাজমহল মিশরের পিরামিড এই ধরনের স্থাপনা গুলি তৈরি করতে কত সময় লেগেছে সে বিষয়গুলি ভাবলেই অবাক হতে হয়।
এবং সে জন্যই ধারণা করা হয় যে আসলে এই সপ্তম আশ্চর্য গুলি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সপ্তম আশ্চর্যের বিষয়গুলি তৈরি করার জন্যই আমরা দেখেছি যে এইগুলো আশ্চর্যের বিষয় বলে মানুষের কাছে ধরা দিয়েছে। এই সপ্তম আশ্চর্যের বিষয়গুলি এখন আপনাদের কাছে একে একে বার্ন না করলে আপনারা নিজেরাও বলতে পারবেন যে অবশ্যই এই বিষয়গুলি আশ্চর্যের বিষয়। এ কারণে প্রতিটি যুগে আলাদা আলাদা করে সপ্তম আশ্চর্য অর্থাৎ সপ্তাশ্চর্য ভাগ করা হয়েছে।
আমরা এখন আপনাদের জন্য এই সকল সপ্তাহ আশ্চর্যের বিষয়গুলি দেখানোর চেষ্টা করব। প্রাথমিকভাবে আমাদের এই এলাকার সপ্তাশ্চর্যের বিষয়গুলির মধ্যে যেগুলি রয়েছে সেগুলি আপনাদেরকে প্রাথমিকভাবে দেখানোর চেষ্টা করব। যেমন প্রথমে ধরা যাক যে ভারতের আগ্রার তাজমহলকে সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের আগ্রার তাজমহল যদিও বলা হচ্ছে যে এটা মুঘল আমলে তৈরি এবং বর্তমান সময়ে এই তৈরি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে খোদ ভারতের মধ্যেই।
তারপরেও আমরা এখন এই তাজমহলের বিশালত্ব এবং এত নিপুন কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা তাজমহলটির কিভাবে তৈরি করেছে ভাবতে গেলে অবশ্যই আশ্চর্য হতে হয়।যখন কোন প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না তখন এই ধরনের বড় বড় স্থাপনা কিভাবে তৈরি হয়েছে এ বিষয়টা ভাবতে গেলে মানুষের মাথা ঘুরে যায় এবং তখনই এটিকে মেনে নিতে হয় সপ্তাশ্চর্যের একটি আশ্চর্য।
এমনিভাবে আবার চীনের প্রাচীরের দিকে তাকান চীনের প্রাচীরের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় যে এই প্রাচীরের প্রস্থ এতটাই বড় যে এই প্রাচীরের ওপর দেশ একসঙ্গে ছয়টি ঘোড়া যেতে পারবে। এত বড় প্রশস্ত প্রাচীর এবং এত দীর্ঘ সাবেক কিভাবে তৈরি করা সম্ভব মানুষের পক্ষে এই বিষয়গুলি এখনো মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। বিষয়গুলি মানুষকে ভাবিয়ে তোলার আরেকটি বিষয় রয়েছে সেটি হল সেই সময় প্রযুক্তির এত উন্নত তার ব্যবহার ছিল না।
আর প্রযুক্তির এত উন্নত তার ব্যবহার না থাকার কারণে কিভাবে এই ধরনের অর্থাৎ এত বিশাল স্থাপনা মানুষের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব হলো? এই ধরনের যে কোন প্রশ্ন মানুষের মনে ওঠা স্বাভাবিক। তা যাই হোক আপনারা এখন আমাদের এই পোস্ট থেকে পৃথিবীর সেই সকল সপ্তম আশ্চর্যের বিষয়গুলির নাম এবং ছবি দেখে নিতে পারবেন।
আপনাদের জন্য সপ্তম আশ্চর্যের নাম এবং ছবিগুলো আমরা একে একে দিয়ে দিলাম আপনারা অবশ্যই এগুলো নামগুলো পড়বেন এবং ছবিগুলো দেখবেন।এখান থেকে কোন তথ্য যদি আপনাদের পছন্দ হয় তাহলে সেগুলোও আপনারা নিতে পারবেন।
Leave a Reply