
আপনি কি কবুতর পাখি ভালোবাসেন? সাদা কবুতরের পিকচার গুলো আমরা সকলে ভালো আছি। প্রাচীনকালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হতো। এজন্য ভালোবাসার কার্ড, বিয়ের কার্ড, তোমার যেকোনো ধরনের চিঠির উপর কবুতরের পিকচার লাগানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে অথবা কারো জন্য লাভ লেটার তৈরি করতে কবুতরের পিকচার লাগালে সেটা সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কবুতরের পিকচার পেতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।
আমরা আপনাদের দেখাবো বিভিন্ন জাতের সুন্দর সুন্দর কবুতরের সকল ধরনের পিকচার। আমরা সাধারণত প্রচলিত সেই এক ধরনের কবুতরকেই চিনি। কিন্তু পৃথিবীতে বহু জাতের কবুতর রয়েছে। গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। সেই সকল জাতের কবুতরের পিকচার গুলো আপনারা পেয়ে যাবেন আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। তাহলে চলুন কবুতরের পিকচার গুলো দেখে নিন। শুধু কবুতরের পিকচার নয় কবুতর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুলো আমরা আলোচনা করব। আপনাদের সুবিধার জন্য কবুতরের পিকচারের পাশাপাশি কবুতর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমরা তুলে ধরেছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
কবুতর কে বলা হয় পায়রা। কবুতর পাখি কে আমরা বিভিন্ন নামে চিনে থাকি। যেমন:-কবুতর, পায়রা, সুখ পাখি ইত্যাদি।
কথায় বলা হয় যেখানে শান্তি, শান্তি বিরাজ করে সেখানে কবুতর থাকে। গ্রামবাংলায় অনেক বাড়িতে কবুতর পালা হয়।
কবুতর এক ধরনের পাখি। কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি। কবুতরের চাষ করা হয়। কবুতরের মাংস খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। অনেক চাষীরা কবুতর পালন করে অনেক লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে কবুতরের বেশ চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বত্র এসকল কবুতর রয়েছে।
বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পূর্বে কবুতরকে সংবাদবাহক, খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্বারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।
কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়।বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ খুবই জনপ্রিয়।কবুতর বা পায়রা বা কপোত বা পারাবত এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এর মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হত। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ধরনের চিঠি এবং ভালোবাসার কার্ড তৈরি করতে কবুতরের পিকচার যোগ করা হয়।
আপনারা চাইলে যে কেউ খুব সহজেই আপনাদের বাসাতে কবুতর পালন করতে পারেন। অনেক লোকজন আছে যারা পশু পাখি পালন করতে ভালোবাসে। শখ থেকেও কবুতরের পালন করা যায়। কবুতর পাখি আমরা সকলে ভালোবাসি। খাঁচার মধ্যে কবুতর রেখে দিতে পারবেন। কবুতরকে যেকোনো ধরনের শস্য দানা দিয়ে লালন পালন করা যায়। কবুতর ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফোটাই।
একটি কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে। এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু’টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়।















এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। কবুতর সাধারণত ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। জঙ্গলী কবুতর ৫ বছর এবং গৃহপালিত কবুতর ১০-১৫ বছর বাঁচে। ৫-৬ মাস বয়স হলে স্ত্রী কবুতর ডিম দেয়।কবুতর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরে নিশ্চয়ই আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং কবুতরের পিকচার গুলো কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। কবুতরের পিকচার গুলো ভালো লাগলে আপনারা একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Leave a Reply