নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতীয় বাঙালি নেতা। ভারতবর্ষ স্বাধীনে যে কয়জন নেতা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে এসেছিলেন কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তাদের মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন অন্যতম। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম ছিল প্রভাবতী দেবী এবং বাবা ছিলেন জানকীনাথ বসু।
তিনি ছোটবেলা থেকেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সব কর্মকাণ্ড করে যান। তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না ব্রিটিশদের সেই একচোখা নীতি কে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একজন আদর্শিক নেতা ছিলেন। তিনি ভারতীয় কংগ্রেসের দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু গান্ধীজীর সাথে তার আদর্শিক মতপার্থক্যের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের নীতি ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য যথেষ্ট নয়।
এই কারণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসু ফরোয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের সত্বর স্বাধীনতার পূর্ণ দাবি জানাতে থাকেন। আন্দোলনের বিভিন্ন কারণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ব্রিটিশ ভারতে ১১ বার কারারুদ্ধ করে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি বিখ্যাত উক্তি ছিল। উক্তিটি হলো- “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পরেও তার মতাদর্শের কোন পরিবর্তন ঘটেনি বরং তিনি এই যুদ্ধকে ব্রিটিশদের দুর্বলতাকে সুবিধা আদায়ের একটি পথ হিসেবে দেখেছিলেন। যুদ্ধের সূচনা লগ্নে তিনি লুকিয়ে ভারত ত্যাগ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানি ও জাপান ভ্রমণ করেন ভারতে ব্রিটিশদের আক্রমণ করার জন্য সহযোগিতা আদায়ের লক্ষ্যে। জাপানিদের সহযোগিতায় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ পুনর্গঠন করেন এবং পরে তিনি নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই বাহিনীর সৈনিকরা ছিলেন মূলত ভারতীয় যুদ্ধ বন্দী এবং ব্রিটিশ মালয় সিঙ্গাপুর সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এ কর্মরত মজুর।
আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি দেখে নিতে পারবেন। কারণ হলো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই ভারতীয় উপমহাদেশ কে স্বাধীন করার জন্য তার আজীবন লড়াই করে গেছেন তিনি। নিঃস্বার্থভাবে তার সমস্ত জীবনটাকে বিলিয়ে দিয়েছেন এই ভারতবাসীর স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে।
তাই যতদিন ভারতবাসী থাকবে ততদিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের নাম স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করবে। প্রতিটি ভারতবাসীর মনে এই নামটি উচ্চারিত হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতীয় জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সাথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কিছু আদর্শগত অমিল থাকার কারণে বারবার তিনি বিভিন্ন জায়গায় দমন পিরনের শিকার হয়েছেন। তাকে ইংরেজদের হাতে ১১ বার গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তাকে ভারত থেকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তিনি থেমে থাকেনি ভারতের স্বাধীনতার লক্ষে তিনি কাজ করে গেছেন আজীবন।
তাই আমরা আমাদের স্মৃতির পাতায় শুধু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম লিখে রাখবো না তার ছবি আমাদের বারবার ক্ষণে ক্ষণে প্রয়োজন হয়। তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিভিন্ন ধরনের ছবি নেওয়ার জন্য এসেছেন দেখার উদ্দেশ্যে এসে এসেছেন তারা অবশ্যই পাবেন।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মময় এই বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক জায়গা কার অনেক ধরনের ছবি এখন আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এই পোস্টে উপস্থাপন করব।
আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সেই বিভিন্ন সময়কার ছবিগুলো। তাহলে চলুন এখন আমরা আমাদের এখান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি গুলো এক এক করে দেখে নিতে থাকি। যেকোনো ধরনের তথ্য অর্থাৎ নানান তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে আপনারা অবশ্যই সকল ধরনের তথ্যগুলি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যেতে পারেন। তাই মনে করি আপনারা প্রত্যেকজন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন।
Leave a Reply