নীলকন্ঠ ফুল হলো অপরাজিতা ফুল। অর্থাৎ আমাদের আশেপাশে যে অপরাজিতা ফুল দেখতে পায় সেই ফুলকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও নীলকন্ঠ ফুল বলে ডাকা হয়। অর্থাৎ অপরাজিতা ফুলের আরেকটি নাম হলো নীলকন্ঠ ফুল। আপনার যেটা ফুলের বেশিরভাগ প্রজাতির বা বেশিরভাগ ফুলগুলোর রং নীল রংয়ের হয়ে থাকে এজন্য একে নীলকন্ঠ ফুল বলা হয়।
আজকে আমাদের এখানে আপনারা যারা নীলকন্ঠ ফুলের ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই নীলকন্ঠ ফুলের ছবি আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। শুধু নীলকন্ঠ ফুলের ছবি নয় নীলকন্ঠ ফুল সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানাবো। অপরাজিতা ফুল কেইসে নীলকণ্ঠস্বর বলা হয় এবং কেন অপরাজিতা ফুল নীলকণ্ঠস্বর বলা হয় এসব সম্পর্কেও আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব আমাদের এই পোস্ট থেকে।
এই নীলকন্ঠ বা অপরাজিতা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল Clitoria ternatea. এই অপরাজিতা কে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে এই ফুলের বাংলা ভাষায় ডাকা হয় অপরাজিতা হিন্দি ভাষায় অপরাজিতা এবং বাংলা ভাষায় কোথায় কোথায় নীলকন্ঠ নামে ডাকা হয়ে থাকে। এই অপরাজিতা নীল রঙের কিন্তু নিচের দিকটা অর্থাৎ ভেতরের দিকটা সামান্য সাদা, আবার কখনো বা একটু হলে আভাযুক্ত হতে পারে।
এছাড়াও আমরা সাধার অঙ্গের অপরাজিতা দেখে থাকি। প্রকৃতিতে দুর্লভ প্রজাতির দ্বৈত পাপের অপরাজিতা ফুল ও দেখতে পাওয়া যায় কখনো কখনো। সাধারণত ভগাঙ্কুরের সাথে এই অপরাজিতার মিল থাকার কারণে এর গণের নাম Clitoria. আবার ইন্দোনেশিয়ার মালাক্কা দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ এর নাম হল Ternate. এই দ্বীপের নাম অনুসারে এই প্রজাতির নাম
হয় ternatea. তাহলে আমরা মোটামুটি ভাবে বুঝতে পারছি যে আমাদের বাংলাদেশের অথবা এই অঞ্চলের যে ভুলটিকে আমরা অপরাজিতা ফুল নামে চিনে থাকি সেই ভুলটিকেই এখানে নীলকন্ঠ ফুল বলা হচ্ছে। নীলকন্ঠ ফুল যে সাধারণত দুই রঙের হতে পারে সেই ফুলগুলো আমরা অবশ্যই দেখতে পেয়েছি ইতিমধ্যেই আমাদের চারিপাশে।
গুল্ম জাতীয় লতানো গাছ হয়ে থাকে এই ফুলের। এবং এই গাছটি যেখানে একেবারে গুচ্ছ আকারে অর্থাৎ লতানো আকারের অনেক ঘন সবুজ অর্থাৎ গারো সবুজ রঙের গাছ হয়ে থাকে। এই গাছটি চারা গজানো থেকে প্রায় দুই তিন মাসের মধ্যে এলাকাটি প্রায় ভরে ফেলে এবং তখন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল পাওয়া যায়। এই অপরাজিতা বা নীলকন্ঠ ফুলটি সাধারণত গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে একেবারে শীতকালের পূর্ব পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যখন ফুল ফোটে তখন এই গাছটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর বলে মনে হয়ে থাকে। এই গাছটি লতানো করমু এবং চিরহরিৎ সবুজ গারো সবুজ রঙের হয়ে থাকে। এবং একটি গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল হতে পারে। এর বীজ আবৃত উদ্ভিদের মত। বিশেষ করে সিমের মত এর ফল হয়ে থাকে এবং সেই ফল পাকলে তার মধ্যে বীজ তৈরি হয়। এই পেজ আবার লাগালে পুনরায় সেখান থেকে গাছ হতে পারে। এই গাছটি সাধারণত এক বর্ষ অদ্ভুত হিসেবেই দেখা যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এই উদ্ভিদটি দুই থেকে বহু বর্ষ দেখা যায়।
এবং এর ফুল যে সৌন্দর্য হয় তাতে করে দেখা যায় যে অনেকটা সুন্দর প্রকৃতির ফুল হওয়ার কারণেই এটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাহলে এই সুন্দর অপরাজিতা ফুলের ছবিগুলো যদি আপনারা দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য চেষ্টা করে যাব সুন্দর সুন্দর নীলকন্ঠ ফুল গুলির ছবি আপলোড করতে।
সেই ছবিগুলো আপনারা দেখে অবশ্যই এখান থেকে যদি আপনার কোন ছবি প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সেই ব্যবস্থা আমরা রেখে দেব। তাহলে আপনারা আস্তে আস্তে আমাদের এখান থেকে সেই নীলকন্ঠ ফুলের ছবিগুলো দেখতে থাকেন এবং প্রয়োজনে যদি কোন ছবি নিতে ইচ্ছা করে তাহলে অবশ্যই সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে অবশ্যই সব তথ্যগুলোই আপনারা পেয়ে যেতে পারেন।
Leave a Reply