নৃসিংহ দেব হলেন ইংরেজিতে man-lion’, তিনি বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। আমরা জানি বিষ্ণুর মোট ১০ অবতার রয়েছে। এই দশ অবতারের মধ্যে নৃসিংহ দেব হলেন চতুর্থ অবতার। পুরান উপনিষদ ও অন্যান্য প্রাচীন সনাতন ধর্মগ্রন্থে তার উল্লেখ রয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে সাধারণত দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালনের জন্য ভগবান বিষ্ণু যুগে যুগে এই ধরাধামে অবতরণ করে থাকেন। তাই সেই কারণেই অর্থাৎ দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালনের নিমিত্তে ভগবান বিষ্ণু এই পৃথিবীতে চতুর্থ
অবতার হিসেবে নৃসিংহ দেবের মূর্তিতে বাণী সিংহ দেব হিসেবে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের এই পৃথিবীতে নৃসিংহ দেবের পূজা হয়ে আসছে। প্রাচীন মহাকাব্য মূর্তি তথ্য মন্দির ও উৎসব ইত্যাদির বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, প্রায় এক হাজার বছরেরও অনেক পূর্ব থেকে এই নৃসিংহ দেবের পূজা হয়ে আসছে। সাধারণত নৃসিংহ কে সূর্যের মূল্য প্রতীক হিসেবে এবং তার মন্ত্র শত্রু নিধন ও অমঙ্গল দূরীকরণে বিশেষ ফলপ্রসূ বলে বিশ্বাস করা হয়।
তাই অতীতে শাসকগণ এবং যোদ্ধাগণ নৃসিংহ দেবের পূজা করেছেন বা পূজা করতেন এখনও করেন। আমরা জানি যে সিংহ দেব হিরণ্য সে বুকে নখরাঘাত করে হত্যা করেছেন এবং এই পৃথিবীতে দুষ্টের দমন করে সৃষ্টির পালন করেছেন। ভাগবত পুরাণ থেকে জানা যায় যে, নৃসিংহ দেবের পূর্ববর্তী অবতার বরাহ, হিরণ্যাক্ষ নামে এক রাক্ষসকে বধ করেন। হিরন্নাথের ভাই হিরণ্যকশিপু সেই থেকে দাদার হত্যার প্রতিশোধের পথ তিনি সেই থেকে খুঁজতে থাকেন। অর্থাৎ তিনি প্রবল বিষ্ণুবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন। এ রাক্ষস মনে করেন সৃষ্টিকর্তা ব্রম্মা এ জাতীয় প্রবল বর বা ক্ষমতা প্রদানে সমর্থ্য রয়েছেন।
তাই তিনি ব্রহ্মার উপাসনায় বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে দিতে থাকেন। পরবর্তী ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে থাকে বর চাইতে বলেন। হিরন নকশিপু ব্রহ্মার নিকট বর চাইলেন। তিনি এমন বর চাইলেন যাতে করে তাকে যেন কেউ জীবিত মৃত দেবতা মানুষ অথবা অন্য কেউ তাকে যেন হত্যা করতে না পারে। তিনি তার অর্থাৎ ব্রহ্মার সমকক্ষ হয়ে ওঠার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই তিনি সৃষ্টিকর্তা ব্রাহ্মণ নিকট বর হিসেবে চেয়ে নিলেন। এদিকে যখন হিরণ নকশিত কঠোর তপস্যের মগ্ন তখন তার গৃহ আক্রমণ করেন দেবতারা।
দেবর্ষী নারদ, হিরণ্যনকশিপুর স্ত্রী দুতিকাকে রক্ষা করেন। তার স্ত্রীকে রক্ষা করে তার নিজ আশ্রমে নিয়ে যান। এবং দেবতাদের বলেন তিনি নিষ্পাপ। পরবর্তীতে দেবশ্রী নারীদের আশ্রমে হিরো নকশিপুর একটি ছেলে সন্তান হয়। এই সন্তানের নাম প্রহ্লাদ তিনি দেবর্ষি নারীদের আশ্রমে বড় হতে থাকেন এবং তিনি প্রবল বিষ্ণু ভক্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই বিষ্ণু ভক্ত হওয়া হিরন নকশিবন মোটেই পছন্দ হলো না। তিনি তাকে হত্যা করতে চাইলেন। বিভিন্ন ভাবে প্রহ্লাদকে হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হন হিরণ্যকশিপু।
পরবর্তীতে আরো প্রধানিত হয়ে হত্যা করতে উদ্ধত হলে হিরণ্য সুতো তার পুত্র প্রহ্লাদকে বলেন তোর ভগবান এই স্তম্ভের মধ্যে রয়েছে কিনা। উত্তরে প্রহ্লাদ বলেন আমার ভগবান সব জায়গাতেই রয়েছেন আছেন এবং থাকবেন। তখন ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে হিরন নকশিপুর গলার আঘাতে সেই স্তম্ভকে বিদীর্ণ করে ফেলে এবং তার মধ্যে থেকেই নৃসিংহ মূর্তি অর্থাৎ নৃসিংহ দেব বের হয়ে এসে প্রহ্লাদকে রক্ষার্থে হিরন নকশি বুকে নখরা আঘাতে বধ করে থাকেন। ব্রহ্মার বরাত্তিতে তিনি যশো পর সত্য জুড়ে দিয়েছিলেন সেই সকল সত্যের বাইরে গিয়ে নৃসিংহ দেব হিরণ্যক শিশুকে বধ করেছিলেন।
এই হল নৃসিংহ দেব ের আদি কথা ধর্ম কথা তত্ত্বকথা। তাই আপনারা যারা এখন সিংহ দেবের ছবিগুলো দেখতে চান তাহলে অবশ্যই নিজ পর্যন্ত দেখে যান আমরা আপনাদের জন্য নৃসিংহ দেবেন মূর্তির ছবি এখানে উপস্থাপন করছি। ছবিগুলো দেখবেন এবং যদি আপনাদের ডাউনলোড করে নিতে হয় তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে পারবেন । এ ধরনের তথ্য গুলি পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকবেন বলেই মনে করি।
Leave a Reply