লেখাপড়া করতে গেলে অবশ্যই আমাদের ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের রচনা লিখতে হয়। যেমন ক্লাস টু থেকেই শুরু হয় রচনা লিখা। এখানে হয়তো ছোট ছোট বিষয়ের রচনাগুলি দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন: পোষা বিড়াল, আমার মা, আমার শিক্ষক, এইরকম বিষয়ে রচনা লিখতে দেওয়া হয়। আস্তে আস্তে একটু উঁচু ক্লাসে উঠলে রচনাগুলি অন্য রকমের হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের স্বর্ণ সূত্র অথবা পাট, গরু ধান নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদি অনেক ধরনের রচনা আমাদের লিখতে হয়। তবে সবচাইতে বেশি এবং গুরুত্বসহকারে রচনা পড়ানো হয়ে থাকে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে বাংলা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়টি থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেক শ্রেণীতে বাংলা ব্যাকরণের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যে বিষয়বস্তু থাকে তার মধ্যে রচনা লিখন অবশ্যই রয়েছে।
রচনা লিখন বিষয়টি থাকার কারণও রয়েছে। কারণটি হল যেহেতু আমরা বাঙালি বাংলা ভাষাটা আমাদের অবশ্যই সুন্দরভাবে শিখতে হবে। বাংলা ব্যাকরণের মাধ্যমে বাংলা ভাষা কতটা শিখলাম সেই বিষয়টি অবগত হওয়ার জন্যই বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে দেওয়া হয়ে থাকে। এরমধ্যে রচনা পত্র বা রচনা লিখন অন্যতম একটি বিষয়। সেই রচনা লিখন বিষয়ে যে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পূর্ণমান নির্ণয় করা হয়ে থাকে তার মধ্যে রচনাতে বেশ ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট নম্বর থাকে।
তাই রচনা লেখা আমাদের ভালোভাবেই শিখে নিতে হবে। পূর্বে শিক্ষার্থীরা রচনা পত্র বা এই ধরনের যেকোন জিনিস মুখস্তবিদ্যা কে নির্ভর করে আসতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন পড়াশোনার প্রশ্নের উত্তর আর মুখস্ত করতে হয় না। তাই আপনারা যে বিষয়ে রচনা লিখবেন বলে ভাবছেন সে বিষয়টি অবশ্যই ভালোভাবে জেনে তারপরে যদি রচনা লিখতে চান এগোতে পারেন।
রচনা লিখতে হলে আমাদের যে বিষয়গুলি দেখতে হবে তা হল। বিষয়টির সূচনা শুরু কোথায় থেকে এরপর বিষয়টি সম্পর্কে যে ধরনের বর্ণনা হতে পারে তা রচনায় উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনাকে দেখে নিতে হবে এই বিষয়গুলি মানুষের জন্য বা অন্যান্য কোন প্রাণী জগতের জন্য এটি কতটুকু উপকারী। শুধু আমরা যে একটি বিষয়ের উপকারিতা দেখব এমন নয়।
কারণ যে জিনিস এর মাধ্যমে আমরা উপকৃত হই তার অপকারী দিকগুলোও রয়েছে। তাই উপকারী ভূমিকার সাথে সাথে আমাদের দেখে নিতে হবে যে অপকারী ভূমিকা রয়েছে কি সেগুলো। তারপর বিষয়বস্তুর বর্ণনা শেষে আপনাকে উপসংহার টানতে হবে। অর্থাৎ পরিশেষে বিষয়টি সম্পূর্ণ বর্ণনা শেষ করে আমরা কোন ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি সেই বিষয়টি এখানে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।
এইভাবে একটি রচনা শুরু করে আপনি শেষ করতে পারেন আপনার নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখলে পারে। কিন্তু আমরা দেখেছি যে একটা সময় প্রায় সকল শিক্ষার্থী প্রতিটি রচনা মুখস্ত করে রাখতে হবে। বর্তমানে আবার এই বিষয়টির উল্টো চিত্র দেখা যায়। অর্থাৎ ভালো মানের কিংবা কম ভালো মানের সকল শিক্ষার্থী এই বিষয়গুলি আর মুখস্ত করে না।
কিন্তু মজার বিষয় হলো যে ভালো শিক্ষার্থী রা এ বিষয়টি মুখস্ত না করলেও তারা মোটামুটি ভাবে গুছিয়ে লিখে আসতে পারে। কিন্তু যারা কম ভালো মানের শিক্ষার্থী তারা মুখস্ত করেও লিখে না এবং বানিয়ে সুন্দর গুছিয়ে কেন তারা কোনরকম লিখতেই পারেনা। তাই মুখস্ত করতে হবে না এটা যেমন ঠিক কিন্তু রচনাটি লিখার জন্য আপনাকে পড়তে হবে না এটা সম্পূর্ণভাবেই ভুল। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন যে।
আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট সম্পর্কে রচনা লেখার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে ক্রিকেট খেলা। তাই যেহেতু প্রিয় খেলা ক্রিকেট রচনা লিখতে কোন সমস্যা নেই বলে মনে করা হয়। কারণ ক্রিকেট সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলি বর্তমান শিক্ষার্থীরা মোটামুটি ভাবে জেনে ফেলেছে। তাই আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট রচনাটি তারা অনায়াসেই লিখে যেতে পারবে। এর জন্য তাদেরকে অবশ্যই বেগ পেতে হবে না। তাহলে চলুন নিচে দেওয়া সেই আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট রচনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে দেখে বুঝে নিই।
Leave a Reply