সনাতন ধর্ম মতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরমাত্মা। তিনি স্বয়ং ভগবান বা ঈশ্বর রূপে পৃথিবীতে মানুষের মাঝে অবস্থান করছেন। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে এর স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি দেখতে এসেছেন তারা অবশ্যই ঠিক কাজটি করেছেন। আমরা আজকে আপনাদেরকে অবশ্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যত ধরনের ছবি রয়েছে সকল ছবিগুলোই আপনাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করব। বাল্যকাল থেকে শুরু করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যৌবনকাল পর্যন্ত যত ছবি রয়েছে সব ছবিগুলো
আপনাদের সামনে উপস্থিত করবো এবং এখান থেকে আপনারা যে ধরনের ছবিগুলো বাজে যে ছবিগুলো আপনারা নিতে চান সেই ছবিগুলো আপনারা নিয়ে নিতে পারবেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত প্রাণী হল শ্রীমৎ ভাগবত গীতা। তিনি শ্রীমৎ ভাগবত গীতায় বলেছেন যে এই পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গ্লানি হয় অধর্ম বেড়ে যায় তখন এই পৃথিবীকে পুনরায় ধর্ম সংস্থাপনের জন্য তিনি যুগে যুগে অবতীর্ণ হন। শাস্ত্র অনুযায়ী দেখতে গেলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন পূর্ণ অবতার এজন্যই তাকে স্বয়ং ভগবান রূপে আমরা দেখে থাকি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের করে গেছেন।
তার সংগ্রামী জীবন ছিল এই পৃথিবীতে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা এবং পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলা। সকল পশু প্রাণী দেরকে তিনি সহবাস্তানে রেখে যত ধরনের অন্যায় অবিচার ছিল তা নিধন করে আবার তিনি বৈকুন্ঠ ধামে চলে গেছেন। অর্থাৎ আমরা যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে শুরু করে পরবর্তী জীবনকাল দেখি তাহলে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন মানুষকে প্রতি পদে পদে কিভাবে ভালো থাকতে হয় অন্যের শহীদ আচরণ করতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলি তিনি
তার কর্মের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন আমাদেরকে বারে বারে। অর্থাৎ তার প্রথম জীবনের অসুর নিধন যেমন পূচনা রাক্ষসী কালী ও নাগ দমন পরবর্তীতে রাজা কংসকে হত্যা তার আপন পিস্ততো ভাই শিশুপালকে হত্যার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করেছেন যা পৃথিবীকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে। শুধু শান্তি নয় এই পৃথিবীতে ধর্মসংস্থান করার জন্যই তিনি তার বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড একের পর এক করে গেছেন। চার যুগের মধ্যে তৃতীয় নম্বর যুগ হলো দ্বাপর যুগ। আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই যুগেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
সেই সময় বিভিন্ন ধরনের অধর্ম পৃথিবীতে বেজয়ের রূপে বৃদ্ধি পেয়েছিল তাই সেই সকল ঔষধের নিধন করে তিনি পুনরায় আবার পৃথিবীতে ধর্ম সংস্থাপন করেছিলেন। এই পরমাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যত ধরনের কর্মকাণ্ড করে গেছেন সকল কর্মকান্ডই ছিল ন্যায়ের পক্ষে। পরমাত্মা পরম পুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা দুই একটি বাক্যে শেষ করার মতো নয়। তাই আমরা যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সব সময় স্মরণে রাখি এবং তার পথে গমন করি তাকে পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমরা
সব সময় তাকে স্মরণ করে চলি। পৃথিবীতে এমন একটি নাম কৃষ্ণ নাম যা জপ করলে সকল ধরনের মনের অশান্তি দূর হয় মনে শান্তি আসে এবং যেকোনো বিপদ থেকে যে কোন মুহূর্তেই আপনি উদ্ধার পেতে পারেন। তাই আমরা সদা কৃষ্ণ নাম করব কৃষ্ণ নাম জপ করব। এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেভাবে চলেছেন আমরা সেই ভাবে তার মত প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করবো। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শুধুমাত্র প্রেম দিয়ে পৃথিবীকে জয় করতে বলেননি তিনি প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে বলেছেন।
তাই আমরা শুধু প্রেম নিবেদন করে পৃথিবী থেকে সকল অশান্তি জঞ্জাল দূর করব এমন না ভেবে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে কখনো কখনো। তাই আপনারা আমাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে সবসময় মাসিক দেখেন এটি কিন্তু নয়। তার একহাতে সুদর্শন চক্র ছিল। তাই আমাদেরকে শুধু বাঁশি নিয়ে প্রেম নিবেদন করলে হবে না অর্থাৎ সমস্ত জীবের মাঝে শুধু প্রেম বিলিয়ে দেব তা কিন্তু নয় আমাদেরকে কখনো কখনো সুদর্শন অস্ত্রের মত অস্ত্র হাতে নিতে হবে পৃথিবীকে থেকে অধর করার জন্য।তাহলে আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবিগুলো দেখতে থাকেন এবং প্রয়োজনের সেই ছবিগুলো আপনারা ডাউনলোড করে নিতে থাকেন।
Leave a Reply