যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥”
এই কথাটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় বলেছেন। অর্থাৎ ভগবান নিজ মুখে বলেছেন যখন পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে যায় তখন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি বারবার পৃথিবীতে অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করে থাকেন। তাই দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেবকির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করার পর থেকেই বিভিন্ন অসুর নিধন শুরু করেছেন। জামান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন শিশু ছিলেন অর্থাৎ একেবারে ছোট্ট ছিলেন তখনও দুরাচারী রাজা কংস তাকে হত্যা করতে পুতনা নামক রাক্ষসীকে পাঠিয়েছিলেন। সেই রাক্ষসী মায়াবী রূপ ে এসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে তার বিষ মাখা স্তন পান করাতে চায় এবং সেই স্তন পান করে জানো শ্রীকৃষ্ণ মারা যায়। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার স্তন এমনভাবে টান দিয়েছিল যাতে করে সেই রাক্ষসী সেখানেই মারা গিয়েছিলেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এখান থেকেই শুরু অসুর নিধন করার।
এরপর একের পর এক তিনি যে কর্মকাণ্ড গুলি ঘটিয়েছেন অর্থাৎ পৃথিবীর ধর্ম সংস্থাপনের জন্য বা পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখার জন্য যত ধরনের ওষুধ নিধন করার প্রয়োজন সব ধরনের ওষুধ তিনি নিধন করতে শুরু করেছিলেন। কালিয়া নাগ দমন গোবর্ধন পর্বত ধারন দুরাচারী রাজা কংসকে নিধন এরপর শিশুপালকে নিধন এসব এর মত অনেক কাজ করেছিলাম যা পৃথিবীতে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অধর্ম যেন দূর হয়ে যায়। এভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র জীবন যদি আমরা পর্যালোচনা করে দেখি এতে তিনি পৃথিবীতে ধর্ম সংস্থাপনের জন্য লড়াই করে গেছেন বা যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় সবদিক থেকে তিনি কাজ করে গেছেন।
মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দিকে যদি আমরা দেখি তাহলেও দেখতে পাবো যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ন্যায়ের পক্ষ থেকে তিনি নিজে যুদ্ধ না করে কিভাবে পঞ্চপান্ডবকে জিতিয়ে পৃথিবীতে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং এ সকল কাজের প্রতিটি সুক্ষ সুক্ষ ত্বত্ত ছিল। তাই আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হতে পারি এবং তাকে স্মরণ করে সমস্ত জীবন পরিবর্তন করে ফেলতে পারি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ন্যায়ের পথে ধর্মের পথে মানুষকে পথ দেখিয়ে গেছেন।
তাই আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে ডেকে থাকি। বিশেষ করে সেই সময় অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন এই ধরাধামে ছিলেন তখন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যে সকল নামে তাকে ডেকেছিলেন সেই সকল নামগুলি তার শতনাম হিসেবে দেখা যায়। তাই আপনারা যারা আজকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই অষ্টোত্তর শতনাম দেখে নিতে পারবেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধরে ডাকা হয়েছিল। অর্থাৎ ভক্তের ভগবান ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ যে কোনো ভক্ত যেভাবেই তাকে দেখেছিলেন সব ভক্তকেই তিনি সাড়া দিয়েছিলেন। অর্থাৎ অন্য জায়গায় দেখা যায় যে, ভক্ত ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকেন। আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ক্ষেত্রে দেখি শুধু ভক্ত ভগবানের প্রার্থনা করবেন এমন নয় ভগবানও ভক্তের প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন। আর এই ধরনের চরিত্রের অধিকারী ছিলেন আমাদের ঈশ্বর ভক্তের ঈশ্বর ভক্তের ভগবান
পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণ। তাই আপনারা জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে সকল কাজের মাঝে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করুন তাহলে অবশ্যই জীবন যাপন সহজ হবে কোন ধরনের বিপদ আপনার থাকবে না এবং সকল ধরনের বিপদ থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে ১০৮ টি বা তার যে ১০০ টি নাম ছিল সেই নামগুলো এখন আপনারা দেখতে এসেছেন। আপনাদেরকে অবশ্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই ১০৮ টি নাম সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বলবো।
আপনারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ টি নাম এখন আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। তাহলে চলুন এখন দেখে নেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের 108 টি নাম।
শ্রীনন্দ রাখিল নাম নন্দের নন্দন।১
যশোদা রাখিল নাম যাদু বাছাধন।।২
উপানন্দ নাম রাখে সুন্দর-গোপাল।৩
ব্রজবালক নাম রাখে-ঠাকুর রাখাল।।৪
সুবল রাখিল নাম ঠাকুর কানাই।৫
শ্রীদাম রাখিল নাম রাখাল-রাজা ভাই।।৬
ননীচোরা নাম রাখে যতেক গোপিনী।৭
কালসোণা নাম রাখে রাধাবিনোদিনী।।৮
কুব্জা রাখিল নাম পতিত-পাবন-হরি।৯
চন্দ্রাবলী নাম রাখে মোহন-বংশীধারী।।১০
অনন্ত রাখিল নাম অন্ত না পাইয়া।১১
কৃষ্ণ নাম রাখে গর্গ ধ্যানেতে জানিয়া।।১২
অণ্বমুনি নাম রাখে দেবচক্রপাণি।১৩
বনমালী নাম রাখে বনের হরিণী।।১৪
এভাবে নামগুলি পড়ুন এবং মনে রাখার চেষ্টা করুন।
Leave a Reply