কেয়া ফুল বা কেতকি ফুল একই জিনিস। এই কে তোকে ফুলের ইংরেজি নাম হলো Thatch Screwpine. এই কেতকী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus tectorius. এই ফুলটি আসলে Pandanus গণের উদ্ভিদ। এই ফুলটি সাধারণত মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই উদ্ভিদের বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলেই পাওয়া যায়। অর্থাৎ এখন এই উদ্ভিদটি সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনারা যারা কেতু কি ফুল কি সে বিষয়টি জানার জন্য এসেছেন আপনাদেরকে অবশ্যই কেতু কি ফুল সম্পর্কে যেহেতু আমরা বিস্তারিত বলার বা জানানোর জন্য এসেছি তাই আজকে এখন চেষ্টা করব আপনাদেরকে এই কেতু কি ফুল সম্পর্কে সমস্ত ধারণায় দিয়ে দেওয়ার। সংস্কৃত ভাষায় এই কেতু কি ফুলকে কেতকী বলা হয়ে থাকে কিন্তু বাংলা ভাষায় এই ফুল এর নাম হল কেয়া ফুল।
বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন জায়গাতেই এই কেয়ারফুলের ব্যবহার আমরা দেখেছি। প্রথম দীক্ষার সাহিত্য থেকে শুরু করে পরবর্তী আধুনিক যুগের সাহিত্যিকরা পর্যন্ত এই কেয়া ফুলকে তাদের কবিতা গল্প গান উপন্যাস সকল কিছুতেই স্থান দিয়েছেন। তাই দেখা যাচ্ছে যে কে আপাকে তোকে ফুল বাংলাদেশের এই অঞ্চলের নিজস্ব উদ্ভিদ না হলেও এটি যেহেতু বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাই বাংলাদেশের এই ফুলটির ব্যবহার ব্যাপকভাবে রয়েছে।
তাই আজকে আপনাদেরকে অবশ্যই আমরা কেয়াফল সম্পর্কে সংস্কৃতে যাতে কেতু কি ফুল বলে সেই ফুল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করছি। কেয়া ফুলের গাছ আসলে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ হিসেবেই দেখা হয়। এই ফুল গাছটি লম্বায় ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। একে ফুল গাছের কান্ড গোলাকার হয় এবং এর কান্ড শাখা প্রশাখা ডালপালা কাটাযুক্ত হয়ে থাকে। কান্ড থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়ে থাকে। একে অপরের পাতা সাধারণত তিন থেকে চার মিটার লম্বা এবং পাঁচ থেকে ছয় সেন্টমিটার চওড়া হয়ে থাকে।
এই উদ্ভিদটিকে আসলে সুগন্ধি উদ্ভিদ হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে। বাংলায় বিরানী রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময় কেওড়ার জল ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না বিরানী রান্না করা। কেওড়ার জল অর্থাৎ কেয়া পাতা ভিজিয়ে সেই জল মেশানো হয়ে থাকে বিরিয়ানি কে সুগন্ধ করানোর জন্য। আসলে এই ফুল থেকেই বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় কেওড়া জল। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে কেওড়া জল আসলে কোথায় থেকে উৎপন্ন করা হয়।
এবং সেই সাথে আপনারা দেখে নিতে পারলেন কেয়া ফুলের ব্যবহার সম্পর্কেও। এখন আপনাদেরকে আমরা এই কেয়ারফুল কেমন হয় সে কেয়ারফুলের ছবি অবশ্যই দেখানো প্রয়োজন। কেতো কি ফুল সবুজ পাতা মাঝখানে শ্বেত শুভ্র ফুলটি ফুটে থাকে। আবার ভারী বর্ষণে কিছু কি ফুলের পাপড়ি নুয়ে যায় এবং এই ফুলটি দেখতে অনেক চমৎকার হয়ে থাকে। তবে একটি কথা আর তা হলো যেত কি ফুল হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী একটি অভিশপ্ত ফুলের নাম।
এতো কি ফুল দিয়ে সনাতন ধর্মে কোন দেবতা বা দেবীর পূজা হয়না। কালচে সবুজ পাতার মাঝখানে ই শেষ শুভ্র সুন্দর কেয়া ফুল ফুটে থাকে। এবং সেই ফুল গুলোর ছবি আজকে আপনাদেরকে আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখাবো। আপনারা আমাদের এখান থেকে কেতু কি ফুল বা কেয়ারফুলের ছবিগুলো মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকবেন। আবার আপনাদেরকে যদি এই কেতু কি ফুলের ছবিগুলো নেওয়ার প্রয়োজন হয় বা নিতে ইচ্ছা করে তাহলে আপনার অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেই ফুলগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
কারণ হলো আমাদের এখান থেকে যেকোনো তথ্য যেকোনো ছবি আপনারা অবশ্যই ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আবার আরেকটি কথা হলো এখান থেকে যেকোনো তথ্য বা ছবি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ দিতে হয় না। তাই এ ধরনের যেকোনো তথ্য বা ছবিগুলো আপনারা অবশ্যই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা হল আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজি ট করে আমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন সব সময়।
Leave a Reply