আমরা যারা শহর অঞ্চলে বসবাস করি, তারা এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলোকে খুব মিস করি। আমরা চাইলেও আমাদের আশেপাশে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে দেখতে পায় না। কিন্তু আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধময় একটি ফুল কদম ফুল। সবাই ফুলের সঙ্গে পরিচিত। কদম ফুলের পিকচার দেখতে চাইলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।
এখানে সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের কদম ফুলের পিকচার গুলো দেখে নিন। আপনার যে কোন প্রয়োজনে আপনি কদম ফুলের পিকচার গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সুন্দর কদম ফুলের পিকচার গুলো বন্ধু বান্ধব এবং প্রিয় মানুষকে পাঠান। বর্ষাকালের শুভেচ্ছা জানাতে কদম ফুলের পিকচার একদম উত্তম হবে। কদম ফুলের পিকচার গুলো দেখে নিশ্চয়ই আপনার মন ভরে যাবে।
নতুন কিছু সিজনাল ফুল বা ফল দেখলেই আমরা সেটা পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। যেহেতু এটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ তাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমাদের অনুভূতি এবং আমাদের আশেপাশের সকল সৌন্দর্য উপাদানগুলো বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করি। কদম ফুল অন্য ফুলের থেকে একটু আলাদা। সাধারণত ফুল বলতে আমরা পাপড়ি ফুল এগুলোকে বুঝি। পৃথিবীতে যতগুলো ফুল রয়েছে কদমফুল এদের মধ্যে ভিন্ন।
শহর অঞ্চলের অনেক শিশুরা কদম ফুল চেনে না। ওরা কোনদিন কদম ফুল দেখেনি। তারা চাইলে গুগলে সার্চ করে কদম ফুল দেখতে কেমন হয় দেখে নিতে পারবে। আমাদের এই আর্টিকেলটি আজ কদম ফুলের পিকচার এবং কদম ফুল নিয়ে আলোচনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
কদম ফুলের পিকচার আমরা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে পারি। কিন্তু শুধু পিকচার শেয়ার করলেই হবে না এই ফুলটি সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন আজ আমরা কদম ফুল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।এবং কদম ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবিগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যেগুলো আপনারা দেখে নিতে পারবেন। পছন্দের কদম ফুলের ছবিটি ডাউনলোড করে সেভ করে নিতে পারবেন।
ফুল ভালোবাসি আমরা সবাই। বর্ষাকালে কদম ফুল ফোটে। গ্রাম বাংলায় কদম ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই কদম গাছের সঙ্গে পরিচিত নয়। কারণ ফুল গাছ বলতে আমরা সব সময় গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ চিনি। কিন্তু কদম গাছ বেশ বড় আকারের হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কদম ফুলের গাছ বৃদ্ধি হয়ে একটি বৃক্ষে পরিণত হয়। বর্ষাকালে কমলা রঙের কদম ফুল গাছ ভর্তি এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য তৈরি করে। আজ আমরা কদমফুল সম্পর্ক আলোচনা করব এবং কদম ফুলের পিকচার গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
কদম ফুল দেখতে বলের মতো গোল, মাংসল পুষ্পাধারে অজস্র সরু সরু ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাস। পূর্ণ প্রস্ফুটিত মঞ্জরির রঙ সাদা-হলুদে মেশানো হলেও হলুদ-সাদার আধিক্যে প্রচ্ছন্ন। প্রতিটি ফুল খুবই ছোট, বৃতি সাদা, দল হলুদ, পরাগচক্র সাদা এবং বহির্মুখীন, গর্ভদণ্ড দীর্ঘ। ফল মাংসল, টক এবং বাদুড় ও কাঠবিড়ালীর প্রিয় খাদ্য।
বর্ষা আর কদম ফুল যেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটির সঙ্গে অপরটির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
বাংলা প্রকৃতির ছয়টি ঋতু ঘুরে ঘুরে আসে বিচিত্র সৌন্দর্য নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রকৃতিতে বর্ষা আসে এক অসাধারণ রূপ নিয়ে।এই ঋতুটি আসার আগেই কদম ফুল যেন তার আগমণী বার্তা জানিয়ে দেয় সবাইকে।বর্ষা ছাড়া কদম ফুল অথবা কদম ফুল ছাড়া বর্ষা কোনটিই যেন সম্পূর্ণ হয় না।কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে’ অথবা ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গানগুলো যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে।
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল। পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন। তবে কদম গাছের বাণিজ্যিক মূল্য কম হওয়ায় এ গাছের সংখ্যা ও কমে আসছে ধীরে ধীরে। অনেকেই কদম গাছ কেটে রোপণ করেছেন লাভজনক কোনো গাছ। কদম ফুলের সৌন্দর্য আমরা সকলে অনুভব করতে পারি। বৃক্ষরোপণ করা খুবই প্রয়োজন। ঠিক সুন্দর্য বৃদ্ধি পেতে কদম ফুলের গাছ রোপন করা যায়।
Leave a Reply