
কাবা শরীফ হলো মুসলমানদের সবচাইতে পবিত্র পূণ্য ভূমি। ইসলামের প্রতিষ্ঠালগ্ন র থেকেই এই কাবা শরীফ ইসলামের জন্য অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম 570 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করার পর তার হাত ধরে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এই মক্কা নগরী থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন এবং সেই ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায়
তার কাছে ফেরেস্তা জিব্রাইল আসেন এবং তার মাধ্যমে অর্থাৎ ফেরেশতা জিব্রাইল প্রথম আল্লাহর বাণী বা কোরআন শরীফের বাণী বা আয়াত নিয়ে আসেন। আসলে কাবা শরীফ হলো একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারামের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে বলা যায় যে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে। কাবা শরীফের অবস্থান যদি ভৌগোলিক হিসাবে বলা যায় তাহলে বলা হয় যে এটি
২১.৪২২৫° উত্তর ৩৯.৮২৬১৮১° পূর্ব।
ইসলাম ধর্মের অনুসারী পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এই কাবা শরীফকে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করে থাকেন। প্রতিটি মুসলমানের একটি আশা থাকে যেন জীবনের একটি বার হলেও এই কাবা শরীফে যেন যেতে পারে। পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান এই কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামাজ বা সালাত আদায় করে থাকে। এই কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার নামই হল কেবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করা অথবা নামাজ পড়া।
পৃথিবী থেকে আগত সকল মুসলমানগণ হজ পালন করার সময় এই কাবা শরীফকে ঘিরে তাওফাক বা প্রদক্ষিণ করে থাকেন। হজ ও ওমরা হজ পালন করার সময় একই বিষয় করা হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি মুসলমানের মনে এই পবিত্র স্থানটির কথা বা এই পবিত্র মসজিদের কথা বা এই পবিত্র কাবা শরীফের কথা তারা অন্তরের গভীর স্থলে স্থান দিয়ে থাকেন।
তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে কাবা শরীফের ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে কাবা শরীফের ছবি দেখে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে কাবা শরীফের অর্থাৎ পবিত্র কাবা শরীফের ছবি আমরা এখন দেখানোর চেষ্টা করব। পবিত্র কাবা শরীফ আসলেই আমাদের প্রত্যেকের জন্য অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানদের জন্যই অত্যন্ত পবিত্র।
আর এই পবিত্র স্থানে যাওয়ার জন্য যেহেতু প্রতিটি মুসলিম একেবারে উন্মুখ হয়ে থাকে তাই আমরা চেষ্টা করব হৃদয়ের এই ছবিটি অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানের প্রাণের কাবা শরীফের ছবিটি এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। কাবা শরীফ সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে আপনাদের যে কথাগুলো এতক্ষণ বললাম সেগুলি সবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা। কাবা ঘর ইসলাম প্রতিষ্ঠার পূর্বে এখানে অনেকগুলো মূর্তি অর্থাৎ 360 টি মূর্তি ছিল। মক্কা বিজয়ের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর নির্দেশ মত এখানকার বেদুইনদের সকল দেব-দেবীকে ধ্বংস করা হয়।
এবং আরো তথ্য পাওয়া যায় যে এই কাবা শরীফের একসময় যীশুখ্রীষ্টের ছবি এবং তার মা মরিয়মের ছবি তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও এই কাবা শরীফের সামনে দুটি মেসির শিং পাওয়া যায় এবং সেটা রেকর্ড করা হয় যে হযরত ইসমাইলের পুত্র পরিবর্তে যে কুরবানী হয়েছিল ম্যাচ সেই মেষের শিং এখানে রাখা ছিল বলেই রেকর্ড করা হয়েছে। এরকম ধরনের অনেক কিছুই কাবা শরীফ থেকে নিয়ে আমরা জানতে পেরেছি। তবে বর্তমানে কাবা শরীফের যে নকশা বা নতুন আঙ্গিকে যে কাবা শরীফ তৈরি করা হয়েছে তার বর্ণনাও আমরা জানি।
হজ করতে যাওয়া অথবা ওমরা হজ পালন করতে গেলে সকলকেই এই কাবা শরীফকে প্রদক্ষিণ করতে হয়। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে পবিত্র স্থানটির ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা সকলেই এই পবিত্র স্থানটি ছবি আমাদের এখান থেকে এখন দেখে নিতে পারবেন। আমরা এখন আপনাদের উদ্দেশ্যে কাবা শরীফের ছবিগুলো নিচে দিয়ে দিচ্ছি আপনারা এই ছবিগুলো দেখতে থাকুন। ছবিগুলো দেখতে দেখতে যদি আপনি নিতে চান তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Leave a Reply