![গাঁদা ফুল কোন ঋতুতে হয় গাঁদা ফুল কোন ঋতুতে হয়](https://i0.wp.com/bangladatetodays.com/wp-content/uploads/2023/07/গাঁদা-ফুল-কোন-ঋতুতে-হয়.jpg?resize=678%2C381&quality=100&ssl=1)
বাংলাদেশের যতগুলি পরিচিত এবং জনপ্রিয় ফুল রয়েছে তাদের মধ্যে গাঁদা ফুল একটি। অর্থাৎ বাংলাদেশের আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকল বয়সের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে গাঁদা ফুল চিনে না এমন মানুষ বা এমন শিশু হয়তো নেই। কারণ হলো আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই গাঁদা ফুল হয়ে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে যে এই গাঁদা ফুল কখন ফোটে। বর্তমান আধুনিক
বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি থাকার কারণে এমন কোন উদ্ভিদ বা এমন কোন ফসল সবজি ফুল নেই যে সারা বছর পাওয়া যায় না। এর কারণ হলো যে উদ্ভিদ বা যে ফুল যখন যেরকম আবহাওয়ায় তারা বেড়ে উঠতে বা ফুল ফুটতে অভ্যস্ত কৃত্রিমভাবে সেই সকল আবহাওয়া বা সেইরকম আবহাওয়া বিজ্ঞান করে দিতে প্রস্তুত। আর এই সকল কারণেই দেখা যায় যে পৃথিবীর সব জায়গাতেই সকল ধরনের খাবার সব সময় পাওয়া যায়।
তেমনি ভাবে গাঁদা ফুলের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। তবে একটি কথা হলো সেটি প্রাকৃতিকভাবে কোন ঋতুতে গাঁদা ফুল হয় সেটি আমাদের দেখাতে হবে। আমরা অবশ্যই আজকে আপনাদেরকে দেখাবো যে প্রকৃতিগতভাবে গাঁদা ফুল কোন ঋতুতে হয় সে বিষয়টি। আমাদের বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এই দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফুল ফুটে থাকে। অর্থাৎ একেক ঋতুতে একেক ফুল ফুটে। সেই ফুলগুলির বৈশিষ্ট্যের কারণেও দেখা যায় যে ঋতুগুলোর বৈচিত্র্য আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
এখন আপনাদেরকে আমরা দেখাবো যে গাঁদা ফুলের সময়কাল অর্থাৎ গাঁদা ফুল কখন ফোটে সেটি। গাঁদা ফুল সাধারণত শীত ঋতুতে ফুটে থাকে। শীতের সময় গাঁদা ফুল ফুটতে দেখা যায়। কারণ হলো গাঁদা ফুল শীত প্রধান দেশের একটি ফুল। অতি উষ্ণ আবহাওয়া এই গাছ হতে পারলেও ফুল ফোটে না। আসলে আমাদের দেখতে হবে যে এই গাধা ফুল অন্যান্য সময় পাওয়া গেলেও আসলে সেই সময় ব্যাপকভাবে এই ফুলটি হয় না। ব্যাপকভাবে পরিবেশের যেখানে সেখানে অর্থাৎ যে কোন এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন করতে হলে আমরা দেখেছি গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো হয়ে থাকে।
বিভিন্ন অফিস আদালতের পাশে অথবা বাড়ির গেটের পাশে সামনে বাড়ির আঙ্গিনায় বাড়ির ছাদে ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় গাঁদা ফুল চাষ করা হয়। এবং এই ফুলগুলি যখন ফুটে ওঠে তখন একটি অনন্য সৌন্দর্যের আবহ তৈরি করে। ভুল মানুষের মানসিকতা সুন্দর রাখে মানুষের মনের আনন্দের আবেগের জায়গা হল এই ফুল। ফুল অত্যন্ত পবিত্র। ফুল অত্যন্ত পবিত্র হওয়ার কারণে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এই ফুল দিয়ে তাদের ঈশ্বরের প্রার্থনা করে থাকেন বা পূজা করে থাকেন।
এছাড়াও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই পবিত্র বস্তুটি দিয়ে অনেক ভাবেই মানুষ সৌন্দর্য বর্ধন করে থাকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন ফুলের ব্যবহার ব্যাপক হয়ে থাকে। এবং অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহারের কারণে দেখা যায় যে শীতকালে যত ধরনের অনুষ্ঠান হয় এবং সেসব অনুষ্ঠানে যদি ফুলের ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে আপনি দেখবেন সেখানে গাধা এবং গোলাপ সমান ভাবে উপস্থিত। অর্থাৎ গাঁদা ফুল থাকলে সেই ফুলের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। এবং এই ফুলটি ব্যবসায়িকভাবেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
কারণ হলো এই ফুলটি তোলার সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যায় না। এই ফুলটি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে। তাই গাঁদা ফুল ব্যবসায়িক ফুলের মধ্যে পড়ে থাকে। এবং শীতকালে ফুল বাজার গুলিতে দেখলে দেখবেন যে গাধা ফুলের অবস্থান কোথায়। এই ফুলের চাহিদা রয়েছে বলেই এই গাঁদা ফুলের অবস্থান এত ভালো জায়গায় রয়েছে। তাই আপনারা যখন জানতে এসেছেন যে গাঁদা ফুল আসলে কোন ঋতুতে হয় তা আমরা আগেই বলে দিয়েছি।
তারপরেও এখন আবারো আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, গাঁদা ফুল সাধারণত শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে থাকে। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের দেখা যায়। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার ফুলটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। গুণাগুণঃ ক্ষত ও আঘাতে এর পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। তাহলে এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকতে পারেন।
Leave a Reply