আমরা যখন পড়াশোনা করি তখন বিভিন্ন শ্রেণীতেই বাংলা দ্বিতীয় বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের রচনা লিখতে হয়। বাংলা দ্বিতীয় বিষয়ের বিভিন্ন ধরনের রচনার মধ্যে আমার দেখা একটি মেলা এই রচনাটিও রয়েছে। আজকে আমরা আমার দেখা একটি মেলা রচনা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব এবং এই রচনাটি কিভাবে লিখতে হবে সেই সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে আপনারা এই রচনাটি আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ের রচনা হয়ে থাকে।
সেসকল রচনা গুলি অবশ্যই ভালো হতে হয় তা না হলে পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর পাওয়া যায় না। তবে বর্তমান সময়ে আমাদের সকল ছাত্র-ছাত্রীর একটি বিষয় বেশি অবলম্বন করে থাকে তা হল কিভাবে বেশি মার্কস পাব সেই সম্পর্কে। কিন্তু লেখাপড়ার আসল উদ্দেশ্য হল একজন ছাত্র বা শিক্ষার্থী কিভাবে মানুষের সে বিষয়টি। কিন্তু বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থী মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার আগে একজন ভালো ছাত্র হয়ে গড়ে ওঠার চেষ্টা করে। আর আমরাও একজন শিক্ষার্থী যদি বেশি নম্বর না পায় থাকে ভালো শিক্ষার্থী বা ভালো ছাত্র হিসেবে গণ্য করি না।
এইজন্য আমাদের সবারই একটাই চিন্তা যে একজনকে ভালো শিক্ষার্থী হতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকটি বিষয়ে বেশি বেশি করে মার্কস পেতে হবে। আর বেশি মার্কস পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করতে পারা। একটা সময় ছিল যখন বাংলা রচনা বা ইংরেজি রচনাতে অনেকগুলো মার্কস ছিল। তাই সেই সময় আমাদেরকে ভালো মার্কস পাওয়ার জন্য রচনাটি অত্যন্ত সুন্দর বড় এবং পয়েন্ট বেশি দিয়ে লিখতে হত।
আজকের ক্ষেত্রেও খুব একটা ব্যতিক্রম হয়নি। কারণ প্রতিটা বিষয়তেই যদি ভালো বা বেশি মাছ পেতে হয় তাহলে কোন বিষয়কেই আমরা অবহেলা করব না। আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে গ্রাম্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেসকল মেলাগুলিতে নানান ধরনের বাংলার ঐতিহ্য বিষয়ে দেখতে পাই। তবে বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি মেলা হয়ে থাকে চৈত্র বৈশাখ মাসে। প্রাচীনকাল থেকে এই সকল মেলাগুলি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
চৈত্র ও বৈশাখ মাসে মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণ হলো- সাধারণত চৈত্র মাস বাংলা বছরের শেষ মাস এবং বৈশাখ মাস বাংলা বছরের প্রথম মাস। নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আনাছে কানাচে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর মেলা হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যের একটি অংশ। বিভিন্ন সামাজিক কারণে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কারণে এ সকল মেলাগুলি অনুষ্ঠিত হয়। তবে যেখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয় সেটি সেই অঞ্চলের কোন ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য।
যেমন কোথাও রয়েছে বউমেলা অর্থাৎ সেই অঞ্চলের সকল মেয়ে জামাইকে নিয়ে আসা হয় মেলা উপলক্ষে। আবার এই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে সকলে একই জায়গায় যখন যায় তাতে সকলের সঙ্গে মেলামেশা বা ভাতৃত্বের যে বন্ধন সেটি দেখা যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে বাংলার এই ঐতিহ্য গুলি বাংলা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি বাংলাদেশের ঐতিহ্য হারিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশে থাকে না। তাই এ সকল মেলাগুলিকে আমরা এখনো যদি ঐতিহ্যগত দিক থেকে ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
যদি ঐতিহ্য কথা দিক থেকে ধরে রাখা যায় তাহলে বাংলাদেশ এর ইতিহাস ঐতিহ্য সকল বিষয় সম্পর্কে সারা বিশ্বব্যাপী এবং বাংলার নতুন প্রজন্ম জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আপনারা এখন আমার দেখা একটি মেলা রচনা সম্পর্কে বিষয়গুলি জেনে নিতে পারলেন। এখন আপনারা আমার দেখা একটি মেলা সম্পর্কে রচনা গুলি দেখে নিলে পরীক্ষার খাতা ভালোভাবে তা লিখতে পারবেন। তাহলে আপনারা এই রচনাটি দেখে নেন এবং এইভাবে যদি পরীক্ষার খাতায় লিখে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালো নম্বর পাবেন বলেই আশা রাখি। এ ধরনের যেকোন তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে নিতে পারেন
Leave a Reply