কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

মানুষের জন্য কিডনি যেহেতু একটি অতি সংবেদনশীল অঙ্গ এ কারণে প্রথম থেকেই আমাদের বুঝতে হবে তা বুঝে নিতে হবে যে কিডনি ভালো আছে কিনা। মানুষের দেহের অভ্যন্তরে যে সকল সম্পাদনশীল অঙ্গগুলি রয়েছে তার মধ্যে কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কারণ হলো কিডনি মানবদেহের একটি রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে থাকে। এবং রেচন অঙ্গ গুলির প্রধান অঙ্গই হলো এই কিডনি। তবে কিডনির মত আরও দুই একটি সংবেদনশীল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মানবদেহের
অভ্যন্তরে রয়েছে। মানবদেহের অভ্যন্তরে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি রয়েছে সেগুলি প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ হিসেবে পরিচিত। যেমন লিভার ফুসফুস পাকস্থলী কিডনি ইত্যাদি সবগুলাই অতি সংবেদনশীল অঙ্গ হিসেবে পরিচিত। এই অঙ্গ গুলিকে বাইরে থেকে দেখা যায় না তাই অনুভব করতে হয় যে ভিতরের অঙ্গগুলি কেমন রয়েছে বা কোন রকম অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আমাদের অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করা হয়।
কারণ হচ্ছে যেহেতু এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাই না তাই এগুলি কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেটি চোখ দিয়ে দর্শন করতে পারব না। আর যেহেতু চোখ দিয়ে দর্শন করতে পারব না তাই আমাদেরকে অবশ্যই এটি বোঝার জন্য অবশ্যই মন দিয়ে এবং কোন ধরনের অসুবিধা হচ্ছে কিনা এবং অসুবিধা হলে কোথায় হচ্ছে সেই বিষয়গুলি অতি শীঘ্রই চিকিৎসকের কাছে জানাতে হবে।
চিকিৎসক তখন বিষয়টি বুঝে আমাদেরকে বলে দিতে পারবে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো যে আমার ভিতরে কোন অঙ্গটি সমস্যা করছে। তাই আমাদের অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে আমাদের দেহের অভ্যন্তরে যে অতি সংবেদনশীল অঙ্গগুলি রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে। যেহেতু আজকে আমাদের জেনে নিতে হবে যে কিডনি ভালো আছে কিনা সেই বিষয়গুলি বা সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা। আপনারা জানেন যে কিডনি ভালো আছে কিনা এটি বোঝার জন্য আমাদের কিছু কিছু বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
পর্যবেক্ষণ করলেই আমরা বুঝে নিতে পারব যে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী কিডনি বা বৃক্ক সুস্থ আছে কিনা সে বিষয়টি। এখন আরো সুস্পষ্টভাবে আমাদের কিডনি ভালো রয়েছে কিনা সেগুলি জানতে হলে নিচের বিষয়গুলি আমাদেরকে দেখে নিতে হবে। আমাদেরকে সাধারণত কিডনির সক্ষমতা বুঝতে হবে। এই কিডনির সক্ষমতা বুঝতে হলে আমাদেরকে রক্তে ইউরিয়া ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে নিতে হয়।
এই পরীক্ষাটি করে নিলে আমরা বুঝে নিতে পারব যে আমাদের কিডনি বর্তমান কি অবস্থায় রয়েছে। যদি কিডনি বিকলে এই দুটি বেড়ে যায় অর্থাৎ সিরাম ও ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। এবং যদি সমস্যা হয় তাহলে কিডনি কতখানি আক্রান্ত তা ভালোভাবে বুঝে নেওয়ার জন্য জিএফ আর অর্থাৎ গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট অথবা সিসিআর (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স রেট) টেস্ট করে নিলে। সাধারণত যদি জিএসআর ৯০ এর ওপর হলে আপনি নিশ্চিত যে আপনার কিডনি সুস্থ রয়েছে।
তবে আমাদেরকে কিডনি নষ্ট হোক এই বিষয়টির দিকে না তাকিয়ে কিভাবে কিডনিকে ভালো রাখা যায় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আপনারা জানেন যে এটি মানব শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ এই কারণে এটি নষ্ট হলে যেহেতু সারিয়া তোলা প্রায় অসম্ভব এই কারণে এটিকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের যা যা করতে হবে সেই কাজগুলোই যে বানাচরণে আনতে হবে। এখন কি কি কাজ করলে বা কিভাবে চললে আমাদের কিডনি সুস্থ থাকবে সে বিষয়টি আপনাদেরকে এখানে বলার চেষ্টা করছি।
অর্থাৎ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেই সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই কিডনির যত্ন নিতে হবে। জীবন আচরণে কিছু পদ্ধতি মেনে চললেই দেখা যাচ্ছে যে আপনার কিডনি সুস্থ থাকবে। এখন আমাদের জেনে নিতে হবে যে এই জীবন আচরণ টাই আমাদের কেমন হবে সে বিষয়টি। তাহলে চলুন দেখে নেই কি কি করতে হবে আমাদের।প্রচুর জল খেতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার সব সময় খেতে হবে, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে, ধূমপান পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করতে হবে, ব্যথার ওষুধ কম খেতে হবে, এবং সর্বোপরি রক্তে শর্করার পরিমাণ কম রাখতে হবে।