ফিতরা কত টাকা ২০২৩

ফিতরা কত টাকা

পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করার আগে অবশ্যই প্রত্যেকটা মুসলমানের ফিতরা আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই পালনীয় একটা কাজ। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনারা যখন ২০২৩ সালে এটার ফিতরা কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা জানতে চান তখন অবশ্যই আপনাদেরকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে। ফিতরা কত টাকা

নির্ধারণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য জেনে সেই অনুযায়ী আপনারা যে সকল সমাজে রয়েছেন সেই সমাজের প্রধানের কাছে যেমন টাকা দিতে পারবেন তেমনি ভাবে নিজ দায়িত্বে নিজেদের ফিতরা টাকা আলাদা করে গরীব দুঃখীদের মাঝে তা ভাগ করে দিতে পারবেন। তবে আপনার অবস্থা একেবারেই খারাপ এবং এই ক্ষেত্রে আপনার ফিতরা কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা জানতে হলে এখানকার তথ্য গুলো জেনে নিবেন।

আর যদি মনে করেন আপনি অর্থ সম্পদশালী এবং এই ক্ষেত্রে ভেতরের টাকা অতিরিক্ত পরিমাণ প্রদান করতে চাইছেন অথবা আপনার কোন অসুবিধা নেই তাহলে আপনার এই ক্ষেত্রে কত টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে তাও জেনে নিবেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করার আগে আমরা যেমন মাহে রমজান মাসে রোজা রেখে থাকি অথবা তারাবি নামাজ পড়ে

থাকি তেমনি ভাবে ফিতরা অবশ্যই পালন করতে হবে এবং ফিতরা টাকা আলাদা করে রেখে আপনাকে ঈদের নামাজ আদায় করতে যেতে হবে। এমনকি ঈদের দিন সকালবেলায় যদি কোন শিশু সন্তান প্রসব করে তাহলে অবশ্যই সেই পরিবারকে সেই সন্তানের জন্য ফিতরা প্রদান করেই নামাজ আদায় করতে হবে।

তবে ফিতরা আদায় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জিনিসের ওপরে নির্ভর করে এই টাকা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সচরাচর গ্রামের দিকে এক অ্যামাউন্ট এর ফিতরা যেমন নির্ধারণ করা হয় তেমনি ভাবে শহরের দিকে অর্থ সম্পদশালী লোক যারা তারা অন্য ধরনের অর্থাৎ অন্য অংকের ফিতরা প্রদান করে। তবে ফিতরা আদায় করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে

এটা করা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য বস্তুর মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে দ্রব্য বস্তুর দামের পার্থক্য থাকার কারণে এমনটা হয়। তাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের এলাকায় অথবা আপনাদের সমাজ কোন দ্রব্যের উপর নির্ভর করে এই টাকা নির্ধারণ করবে তা দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ফিতরা প্রদান করতে হবে।

আর যদি মনে করেন সেই ফিতরা টাকা নিজেরাই প্রদান করবেন তাহলে বাজারে গিয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম খোঁজ করে স্থানীয় বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সেই অনুযায়ী টাকা প্রদান করতে হবে। ফিতরা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের ওপর দাম নির্ধারণ করে এটা করা যেতে পারে। আপনি যদি কিসমিসের হিসাব করতে চান তাহলে আপনার ফিতরের পরিমাণ এক

রকমের হবে এবং আপনি যদি পনিরের দাম হিসাব করতে চান তাহলে ফিতরের এমাউন্ট একরকম হবে। আবার আপনি যদি যব অথবা গমের হিসাব করে ফিতরার টাকা প্রদান করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ খুবই কমে আসবে।

সাধারণত ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম দ্রব্যের দাম নির্ধারণ করে এই টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি আপনি কিসমিসের হিসাব করেন তাহলে বর্তমান বাজারে অর্থাৎ আপনার স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি কিসমিসের দাম কত টাকা যাচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করে ১ কেজি 650 গ্রামের দাম যা আছে সেই টাকা আপনাকে প্রদান করতে হবে।

তবে আপনি যদি এত টাকা দিতে সামর্থ্যবান না হয়ে থাকেন অথবা এত টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন ধরনের ক্ষমতা না থাকে তাহলে আপনারা গমের দাম অথবা গমের ময়দার দাম অনুযায়ী এ টাকা বের করে নিতে পারেন। আর এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা ব্যক্তির জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ফিতরা আদায় করতে হবে। তাই ঈদুল ফিতর পালন করার আগে অবশ্যই আপনারা এটা পালনীয় কর্তব্য হিসেবে দায়িত্ব সম্পূর্ণ করবেন।

About Arafat Mia 985 Articles
Bangla Date Today is the best website for providing Bangla date information based on Bengali calendar. This website publishes all type of date information in Bengali, English and Arabic Calendar.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*