পাউন্ড মুদ্রাটি যুক্তরাজ্যের মুদ্রা হিসেবে প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে পাউন্ড স্টারলিং বা যুক্তরাজ্য পাউন্ড হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রায় নয়টি অঞ্চলে ব্যবহৃত মুদ্রা। ব্যবহারের দিক থেকে অর্থাৎ মুদ্রা ব্যবহারের দিক থেকে দেখা যায় যে পাউন্ড হলো বিশ্বের প্রাচীনতম মুদ্রা এর শুরু থেকেই ক্রমাগত ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে বা বর্তমান পর্যন্ত এর ব্যবহার রয়েছে। মানুষ যখন আস্তে আস্তে শুদ্ধতার যুগে পদার্পণ করে তখন তারা অনেক কিছুই নিজেদের প্রয়োজনে আবিষ্কার করতে থাকেন।
এর মধ্যে মানুষ যখন দেখল যে দেশের বিভিন্ন জেলার আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বা সম্পাদ রয়েছে কিন্তু সেই সকল সম্পদ সকলের হওয়া উচিত বা পাওয়া উচিত। তখন প্রথমে মানুষ বিনিময় প্রথা শুরু করেছিল অর্থাৎ কারো কাছে যদি ঢাল থাকে কিন্তু কম না থাকে সে কিছু পরিমাণ ধান দিয়ে ওই পরিমাণ কম নিতো এভাবে বিনিময় প্রথার বিনিময়ে একজনার উৎপাদিত জিনিস আরেকজনের কাছে যেত। পরবর্তীতে এই সকল ফসলের বাদরুদের বিনিময়ে আরো বেড়ে যায়।
যেমন একজন শ্রমিক অথবা একজন নাপিত নাপিত সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুল কেটে আসতে বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য তারা নিতো। এছাড়াও দেখা গেছে যে নদী পারাপারের জন্য যে লোকটা খেয়াপাড়া পার করে দিত সেই লোকটাও গ্রামের অর্থাৎ নদীর উভয় পাশের গ্রামের লোকদের কাছ থেকে ফসলের সময় ফসলিত বিনিময়ে সে সারা বছর তাদেরকে নদী পারাপার করে দিত। এভাবে বিনিময় প্রথা গুলি মানুষের মাঝে চলতে থাকে। কিন্তু এতে ও সকল ক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারে না তাই প্রত্যেকটি বস্তুরী একটি বিনিময় প্রথা বা বিনিময় মূল্য হিসেবে কোন একটি কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা বা যাওয়ার চিন্তা থেকেই মুদ্রা বিষয়টি প্রচলিত হয়েছে।
তবে মানুষ প্রাথমিকভাবে বা প্রথম ধিক্কার যুগে ধাত বস্তুকেই বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করত। অর্থাৎ যে ধাতুগুলির মানুষের কাছে মূল্যবান বেশি হত অর্থাৎ মূল্যবান ধাতুসমূহ যেমন সোনা রপ্পো এগুলাকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এবং তার পরবর্তীতে কাগজের নোট অর্থাৎ বিনিময়ের মূল্য হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। আর আধুনিক যুগের সেই বিনিময় মূল্য থেকেই আজকের মুদ্রা প্রচলিত হয়েছে।
কিন্তু দেখা যায় যে আধুনিক যুগেও এই বিভিন্ন দেশের প্রচলিত মুদ্রা গুলি আন্তর্জাতিক বাজারে কেমন মূল্য হবে সেটি অবশ্য ঠিক করা হয় অন্য দিক থেকে। এখন বর্তমান যুগে দেখা যায় যে যে দেশের রিজার্ভ যত বেশি অর্থাৎ মার্কিন ডলারের রেজাল্ট যত বেশি সে দেশ তত ধনী বা সচ্ছলতার মাপকাঠিতে এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। এছাড়াও একটি দেশের মুদ্রার মান নির্ভর করে সেই দেশের সঞ্চয় করা স্বর্ণের দামের উপর।
অর্থাৎ বিশ্ব ব্যাংক সেই দেশের মুদ্রা ছাপানোর অনুমোদন দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ তাদের বিশ্ব ব্যাংকের কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ গচ্ছিত রাখতে হয়। তাই আজকে যে আপনারা দেখতে এসেছেন যে এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশি কত টাকা সেই বিষয়টি। আপনারা আগেই জেনেছেন যে পাউন্ড হলো ইংল্যান্ডের বা যুক্তরাজ্যের মুদ্রার নাম। যুক্তরাজ্যের নয়টি
অঞ্চলে পাউন্ড বিনিময় মুদ্রা হিসেবে অর্থাৎ সেখানকার টাকা হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। এখন আমরা দেখব যে এই পাউন্ডের সাথে আমাদের বাংলাদেশী টাকার সম্পর্ক কত। বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথেই প্রতিটি দেশের যে অর্থ বিনিময়ের সম্পর্ক রয়েছে সেই অর্থ বিনিময়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা দেশেরই একটি হিসাব রয়েছে যে বিনিময় মূল্য কত টাকা হবে সেটি। তবে এই বিষয়গুলি সব সময় নির্ভর করে মুদ্রাস্ফীতির ওপর।
তাহলে চলুন আমরা আর দেরি না করে দেখে নিতে পারি যে, এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশি কত টাকা।1 Pound sterling equals 133.95 Bangladeshi Taka. এ ধরনের যেকোনো বিষয় জানতে হলে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। তাহলে আপনারা অবশ্যই সবার আগে সকল ধরনের তথ্য যেগুলি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হতে পারে সেই তথ্যগুলি পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখি।
Leave a Reply