ডলার হল আমেরিকার মুদ্রা। অর্থাৎ আমেরিকার মুদ্রা আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে বা বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই কারণে সকল দেশ আমেরিকান মুদ্রার সাথে তুলনা করে তাদের দেশীয় মুদ্রার বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই এখন আমাদের এই পোস্টে আপনারা যারা এক ডলারের মূল্য কত অর্থাৎ এক ডলার সমান বাংলাদেশি কত টাকা বর্তমানে সে বিষয়টি জানার জন্য এখানে এসেছেন। আপনারা অবশ্যই ঠিক কাজটি করেছেন বলে মনে করা হয়। কারণ আমরা আপনাদেরকে এখন অবশ্যই এক ডলার সমান বাংলাদেশি কত টাকা সে বিষয়টি জানানোর ব্যবস্থা করব।
বর্তমান সময়ে সকল দেশেরই আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে আমেরিকান ডলার দিতে হয়। এই কারণে আমেরিকান ডলার মার্কিন ডলার এর মূল্য হিসেবে সকল দেশ তাদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। তাই দেখা হয় যে মার্কিন ডলারের সাথে সেই দেশের বিনিময়কৃত মুদ্রার পরিমাণ কত সেটি জানা যায়। আর এখান থেকেই বুঝতে পারা যায় যে সেই দেশের মূল্য স্থিতি বা মুদ্রার বিনিময় মূল্য কত সে বিষয়টি।
বেশ কিছুদিন হলো অর্থাৎ প্রায় দেড় থেকে দুই বছর হল ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশের টাকার অভাবনায়ন হচ্ছে প্রতিনিয়তই। বিশ্ববাজারে ডলারের দাম উঠছে আর অন্যান্য দেশগুলোর মুদ্রার মান নিচের দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে দেখা গেছে যে বাংলাদেশের টাকার অনেক অবমূল্যায়ন হয়েছে। আর এই কারণেই ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি হয় যখন তখন টাকার অবমূল্যায়ন হয়ে থাকে।
এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্লায়িত হচ্ছে। এ কারণে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে শুধু নয় পৃথিবীর সকল দেশের ক্ষেত্রেই ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশের মুদ্রার মান নিচের দিকে নামছে। বর্তমান সময়ে অর্থাৎ প্রায় বছরখানেক সময় হলো বিষয়টি আরো বেশি। প্রত্যেকদিনই টাকার মান নিচের দিকে নামছে আর ডলার উপরের দিকে। এ সকল কারণে দেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে। প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য প্রত্যেকদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শুধুমাত্র ডলারের দাম বাড়ার কারণে।
ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে টাকার মান কমে যায় বা অবমূল্যায়ন হয়। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কোন পণ্য ক্রয় করতে হলে ডলারের প্রয়োজন হয়। আর যেহেতু ডলারের প্রয়োজন পড়ে তাই যদি দেশের ডলারের রেজাল্ট কম থাকে তাহলে ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা টালমাটাল হয়ে থাকে। ডলারের দামের স্থিতিশীল না আসলে অভ্যন্তরীন বিভিন্ন ধরনের বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কারণ আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় এই কারণে দেশীয় পণ্য গুলির দামও বৃদ্ধি পায়। আরো ব্যাপার হচ্ছে যে যেকোনো পণ্য পরিবহনে জ্বালানির প্রয়োজন হয়।
আর আমরা যেহেতু জ্বালানি আমাদের আমদানি করতে হয় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। আর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি আমজানের করার জন্য অবশ্যই ডলারের দাম বেড়ে গেলে বেশি ডলার এর প্রয়োজন হয়। তাই সকল পণ্যের দাম আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। এ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা দেখতে পাই বা বুঝতে পারি যে ডলারের দাম যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে বা স্থিতিশীল থাকে তাহলে অবশ্যই একটি দেশের সকল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে থাকে।
যেহেতু প্রত্যেকদিন ডলারের দাম উঠানামা করছে এই কারণে কালোবাজারে ও ডলার বিক্রয় হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে দেখি যে বাংলাদেশী মুদ্রার সাথে ডলারের ক্রয় বিক্রয়ের মান কেমন। আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখতে পারেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের মুদ্রার সাথে ইউএস ডলারের বিনিময়ে প্রত্যেকদিনই কমবেশি উঠানামা করলেও আসলে ডলারের দাম আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে মার্কিন এক ডলার সমান বাংলাদেশী কত টাকা সে বিষয়টি এখন দেখে নিই। 1 United States Dollar equals 107.65 Bangladeshi Taka. তাহলে আপনারা এখন দেখে নিতে পারলেন যে এক ডলার সমান বাংলাদেশের কত টাকা এই বিষয়টি।
Leave a Reply