ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন সনাতন ধর্মের পরমাত্মা। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ কে সনাতন ধর্মের প্রতিটি ব্যক্তিরাই পরম পুরুষোত্তম ভগবান বলে মেনে থাকেন। শাস্ত্র অনুযায়ী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে সমস্ত মানবজাতির জন্য যে শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়ে গেছেন তা হল তার
মুখনিঃসৃত বাণী অর্থাৎ শ্রীমদভাগবত গীতা। আর এই শ্রীমদভাগবত গীতায় তিনি বলেছেন যে, ভগবান বিষ্ণু যখন দেখেন পৃথিবীতে ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের উত্থান হয় তখন পৃথিবীতে আসেন। অর্থাৎ তখন তিনি আর গোলকে থাকতে পারেন না মক্তলোকে আসেন এই পৃথিবীতে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন যে আমি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুগে যুগে অবতীর্ণ হয়ে পৃথিবীতে।
তারই প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার এবং তাকে সনাতন ধর্মের সকল ব্যক্তিবর্গই পরমাত্মা পরম পুরুষ স্বয়ং ভগবান বলে জেনে থাকেন। ভগবানকে যেহেতু পৃথিবীতে আসতে হয় তাই অবশ্যই তিনি ভগবান রূপে না এসে এসে থাকেন পৃথিবীর কোন জীব রূপে। এক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসেন। যুগ হিসেবে সেটি ছিল দ্বাপর যুগ।
এবং খ্রিস্টীয় শতক হিসেবে বললে বলতে হয় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় ৩২২৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ১৮ই জুলাই তারিখে। এবং তৃতীয় অনুযায়ী ছিল সেটি ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে এসেছে তার পৃথিবীতে জন্ম হয়। মাতা ছিলেন রাজা কংসের বোন দেবো কি এবং পিতা ছিলেন বাসুদেব। আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র জীবন পর্যালোচনা করে দেখলে দেখতে পাই যে শ্রীকৃষ্ণ শিশুকাল থেকেই দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালন করেছিলেন।
অর্থাৎ কংস যখন জৈবানি শুনেছিলেন যে,” তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে”। এই ধরনের বাক্য শোনার পর থেকে দেবকী ও বাসুদেব কে কারাগারে নিক্ষেপ করেন রাজা কংস। তার বোনের পরপর 7 টা সন্তান হত্যা করে এবং পরবর্তী যখন অষ্টম সন্তান দেবকীর গর্ভে আসে তখন থেকে তাকে মারার পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু দেবকির অষ্টম সন্তানকে কোনভাবেই রাজা কংস মারতে পারে না।
কিন্তু রাজা কংসের শ্রীকৃষ্ণকে হত্যা করার পরিকল্পনা থেমে থাকে না। এবং শ্রীকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণের সকল ধরনের দুষ্টচক্র তিনি ভেস্তে দেন। অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ শিশুকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারীদের হত্যা করেছেন বা শাস্তি দিয়েছেন বিভিন্নভাবে। এদের মধ্যে বলা যায় রাক্ষসী পুতনা, রাজা কংস, কালিয়া নাগ সহ অনেক ধরনের অর্থাৎ অসংখ্য রাক্ষস অসুরদের তিনি হত্যা করেছেন পৃথিবীতে শান্তি আনার জন্য। এ ছাড়া তার সারা জীবনে তিনি পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
অর্থাৎ এই পৃথিবীতে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার জীবনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে গেছেন যা পৃথিবী মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন বুঝিয়েছেন। সবচাইতে বড় অবদান হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী শ্রীমদ্ভাগবত গীতা। তাই আজকে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কত সালে জন্মগ্রহণ
করেছেন এ বিষয়টি আমরা বলেছি এখন আমাদের দেখাতে হবে তিনি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন বা এই পৃথিবী ছেড়ে তিনি গোলকে যান। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে কত বছর বেঁচে ছিলেন সে বিষয়টি আজকে যেহেতু আপনারা জানতে এসেছেন আমরাও আপনাদেরকে অবশ্যই সে বিষয়টি এখন জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানুষ রুপে পৃথিবীতে এসেছেন সেজন্য তাকে অবশ্যই মানুষের মত করেই পৃথিবীর ছেড়ে গোলকে অবস্থান করতে হবেন।
তাই দেখা যায় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মায়া বলে বা যুগ বলে একজন শিকারির তীর গ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এক গাছের ডালের উপর শুয়ে ছিলেন তখন শিকারি দেখলেন যে একটি মায়াবী হরিণ সেখানে অবস্থান করছে। শিকারি মায়াবী হরিণকে মারার জন্য তীর নিক্ষেপ করল এবং সেই তীর গিয়ে বিয়ে দিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে। তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে গোলকে চলে গেলেন। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের এই মনুষ্য দেহ ছেড়ে তিনি যান ৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের 18 ফেব্রুয়ারি তারিখে। তাহলে দেখা যায় যে তিনি পৃথিবীতে মানুষ রুপে ছিলেন ১২৫ বছর থেকে তিনি বৈকুন্ঠ ধামে চলে যান।
Leave a Reply