গোপাল ঠাকুর হলো সনাতন ধর্মের স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের রূপ। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন অবতার রূপে। ভগবান যখনই দেখেন পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গেছে ধর্মের প্রাণী হচ্ছে তখনই তিনি অবতার রূপে অবতীর্ণ হন এই ধরাধামে। সে কারণেই দেখা যায় পৃথিবীতে যখন রাজা কংস একেবারে পশুর রূপে অবতীর্ণ হন তার শ্বশুর
পৃথিবীতে মানুষদের অত্যাচার করতে থাকে এবং তার অত্যাচারে যখন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এরকম সময় ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার হিসেবে দাপট যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হন আমাদের এই ধরাধামে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার মুখনিঃসৃত বাণী পবিত্র শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় একথা বলেছেন। তিনি অর্জনকে বলেছেন যে পৃথিবীতে যখনই ধর্মের গ্লানি হয় অধর্ম বেড়ে যায় তখনই অবতার রূপে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
তাই দেখা যায় দ্বাপর যুগ অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩২২৮ এর ১৮ অথবা একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমিতিতে এই পৃথিবীতে আসেন দেবো কি এবং বাসুদেবের অষ্টম পুত্র হিসেবে। এবং যখন পৃথিবীতে দেবো কি এবং বাসুদেবের অষ্টম পুত্র অর্থাৎ দুরাচারী রাজা কংসের ভাগ্নে রূপে শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আসার পর থেকেই তাকে হত্যা করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায় এই রাজা কংস। কিন্তু সেই ছোট বয়স থেকেই আমাদের গোপাল ঠাকুর অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাজা কংসের সব রকম কূটকৌশল তিনি নস্যাৎ করে দেন।
প্রথমে তিনি তার বোন এবং ভগ্নিপতিকে অর্থাৎ রাজা কংসের বন ভগ্নিপতি অর্থাৎ গোপাল ঠাকুরের মা-বাবা কে তিনি কারাগারে বন্দী রেখেছিলেন তাদের অষ্টম গর্ভজাত ও সন্তান অর্থাৎ গোপাল ঠাকুরকে হত্যা করবে বলে। কিন্তু যেদিন গোপাল ঠাকুর পৃথিবীতে আসেন সেদিন ছিল ভাদ্র মাস এর কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি। প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি এবং নদী ভর্তি জল। এই সময় ঠাকুর এর জন্মগ্রহণ করার পর কারাগারের দরজা খুলে যায় এবং নির্দেশ আসে আর এক জায়গায় একজন ভূমিষ্ঠ হয়েছে তার কাছে গোপাল ঠাকুরকে রেখে আসার। বাসুদেব সেই কাজটি করলেন এবং যখন ওই শুদ্ধ জাত শিশুকে দেবকির কাছে দিলেন রাজা কংস খবর পেয়ে হত্যা করতে আসলেন সেই শিশুটিকে।
রাজা কংস যখন সেই শিশুটিকে মারার জন্য তুলে ধরলেন এবং সেই শিশু হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বেগে উপরের দিকে চলে গেল এবং যাওয়ার সময় জৈব বাণী করে গেলেন যে তোমাকে বোধি বেজে গোকুলে বাড়িছে সে। এই কথা শুনে কংস ক্ষেপে গেলেন এবং তিনি গোকুলের সমস্ত শিশুকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলেন। কিন্তু এরই প্রেক্ষিতে তিনি যখন পুতনা রাক্ষসীকে দিয়ে সেই কাজটি করাবেন বলে মনে করলেন রাজা।পুতনা রাক্ষসী স্তনে বিষ মাখিয়ে গোপাল ঠাকুরকে
খাওয়াতে গেলে সেই রাক্ষসীই মারা যায়। এভাবে আরো অনেক কাহিনী রয়েছে গোপাল ঠাকুরের। অর্থাৎ সমাজের ধর্ম স্থাপনের জন্য সকল রকম কাজ করে গেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সমাজের ধর্মের ন্যায়ের। এভাবে সারা জীবন তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছেকেছেন যতদিন পর্যন্ত তিনি এই ধরাধামে অবস্থান করেছেন। অর্থাৎ গোপনে বা বৃন্দাবনে যেখানেই হোক থাকার সময় বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গ থেকে দূর করার জন্য পাপাচারিতরাচারী সকলকে শেষ করার জন্য গোপাল ঠাকুর অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কোন সময় পিছপা হয়নি।
বিভিন্ন কলা কৌশলের মধ্যে বা মাধ্যমেও তিনি সকল দুরাচারী ব্যক্তিকে আমাদের এই পৃথিবী থেকে শেষ করেছেন। তাই আপনারা যেহেতু আজকে এই গোপালের অর্থাৎ গোপাল ঠাকুরের ছবি নেওয়ার জন্য এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে গোপাল ঠাকুরের ছবি দেখে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে গোপাল ঠাকুরের ছবি দেখাবো।
আপনারা দেখে নিতে পারবেন আমাদের এই পোস্ট থেকেই। তাহলে চলুন এখন গোপালের ছবিগুলো দেখে নিতে পারেন এবং যদি কোন ছবি আপনাদের পছন্দ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ছবিগুলো ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ দিতে হবে না। এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।
Leave a Reply