প্রাচীন বাংলা থেকে বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে দেখা হয় “মেলা”। এবং আমাদেরকে বাংলা ব্যাকরণে যখন বিভিন্ন বিষয়ে রচনা লিখতে হতো তার মধ্যে অবশ্যই মেলা সম্পর্কিত বর্ণনা দিয়ে রচনা লেখা বিষয়টি সেই বহুদিন আগে থেকেই চলে আসছে। মেলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রচনা লেখা বা এই বিষয়টি আমাদের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অনেক সময়ই আমরা লক্ষ্য করে থাকি যে পাবলিক পরীক্ষাগুলো হয় সেই সকল পাবলিক পরীক্ষাতেও এই একটি মেলার বর্ণনা করে রচনা লেখার বিষয়টি থাকে।
তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এখানে এসেছেন একটি মেলার বর্ণনা দিয়ে রচনা লেখা সম্পর্কে জানতে আপনার অবশ্যই আমাদের এখানে এ বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে অবশ্যই মেলার বর্ণনা দিয়ে রচনা লেখা বিষয়টি আপনাদেরকে অবগত করাবো। আপনারা জানেন যে যে কোন বিষয়ে রচনা লিখতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই সে বিষয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে হবে। এবং তারপরে সে বিষয়টি সম্পর্কে রচনা লেখা যেতে পারে।
আমাদের বাংলাদেশে বা ভারতীয় এই বাঙালি উপমহাদেশে যে কোন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকল মেলাগুলো যেকোনো ঐতিহাসিক স্থান অথবা বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান কে সামনে রেখে মেলা বসে থাকে। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে চৈত্র সংক্রান্তি অথবা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখ মাসে বিভিন্ন জায়গাতে মেলা বসে থাকে। এ সকল মেলাগুলো হয় গ্রামের কোন বৃহৎ গাছের তলায় অথবা বট গাছ জাতীয় গাছ অথবা কোন ধর্মীয় স্থানের পাশে মেলাগুলো হতে পারে বা হয়।
এখন এই মেলা কে কেন্দ্র করে যে এলাকায় একটি উৎসাহ উদ্দীপনা বা উৎসবের আমেজ বিরাজিত হয় সে সকল বিষয়গুলি আমাদেরকে রচনায় উল্লেখ করতে হবে। এবং এই মেলা বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে সেই বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে জেনে সেখানে উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ করে দেখা যায় যে কোন মেলায় এলাকায় বা বাইরের এলাকা থেকেও বিশাল বিশাল সাইজের মাছ এবং বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলি আমদানি করা হয়। আবার কোন কোন মেলায় দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি অর্থাৎ হরেক রকমের মিষ্টির আমদানি হয়ে থাকে মেলাতে। কোন কোন মেলায় দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ফল এর আমদানি হয় মেলাতে।
এই সকল আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে মেলাগুলোতে। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই মেলা সম্পর্কে রচনা লিখতে হলে সকল বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে। সকল বিষয়গুলি সম্পর্কে উল্লেখ না হলে একটি মেলা দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা কখনো সম্ভব নয়। তবে তারপরেও আপনাকে একটি মেলায় চারিদিকে ঘুরলেন এবং সেখানে কি কি দেখলেন কোন জিনিসগুলো আপনাকে ভালো লাগলো রচনার মধ্যে উল্লেখ করতে পারেন। রচনা অর্থাৎ একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রবন্ধের মতো হবে। রচনাটি কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ শব্দের হতে পারে।
তাই রচনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা যদি আপনি এখানে উল্লেখ করতে পারেন তবে একটি রচনা ১৫০ থেকে ৩০০ শব্দের হতে পারে বলে মনে করা হয়। তারপরেও বিষয়গুলি সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার বিষয় থাকে। মেলাটি কি উপলক্ষে বসছে এবং এই বেলার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি অবশ্যই আপনার রচনায় উল্লেখ করবেন। আমার একটি মেলা অবশ্যই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার ক্ষেত্রেও আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। শেখর থেকে বেরিয়ে এসে কখনোই মানুষ ভালো থাকতে পারে না।
তাহলে এ সকল বিষয়গুলি বিস্তারিত লেখার জন্য আমরা আপনাদেরকে এখানে একটি মেলার বর্ণনা দিয়ে বা মেলা দেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রচনা আমরা এখানে দিয়ে দিয়েছি। সে রচনা পর্যবেক্ষণ করে এবং এখানে কি কি বিষয়গুলি উল্লেখ করা আছে সেসব বিষয়গুলি দেখে নিন আপনি আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেও একটি রচনা হবে মেলা সম্পর্কিত।
তাই আপনারা অবশ্যই আমাদের মেলা দেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রচনাটি দেখে নিয়েন তারপরে আপনি আপনার নিজের ভাষায় অবশ্যই রচনাটি তৈরি করতে পারেন। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।
Leave a Reply