একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের সকলেরই স্বপ্ন থাকে জীবনে একবার হলেও কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার। কক্সবাজার বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে প্রতিনিয়ত জনগণের ভিড় লক্ষণীয়। কক্সবাজারের ছবি আমরা ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করি এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। কক্সবাজারের সুন্দর দৃশ্যের ছবিগুলো যেকোনো কাউকে অন্তর থেকে খুশি করে তোলে।
অনেকের ভাগ্যে হয় না কক্সবাজার যাওয়ার। কক্সবাজারের বিভিন্ন পিকচার এবং এই গভীর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন ভিডিওস দেখতে পারে। আমরা অনেকেই কক্সবাজারের পিকচার দেখতে চাই। তাদের জন্যই আমাদের মূলত এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। কারণ আমাদের এই আর্টিকেলে আজ আমরা কক্সবাজার সম্পর্কে আলোচনা করব। কক্সবাজার সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। কক্সবাজারের সকল রিয়েল পিকচার গুলো
HD picture সব আপনার পেয়ে যাবেন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে।
কক্সবাজারের ছবি দেখার সাথে সাথে কক্সবাজার সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনে নিতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে ভুলবেন না। কক্সবাজার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। এ সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময়, কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।
বালিয়াড়ি সৈকত সংলগ্ন শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান, অত্যাধুনিক হোটেল-মোটেল-কটেজ, নিত্য নবসাজে সজ্জিত বার্মিজ মার্কেট সমূহে পর্যটকদের বিচরণে কক্সবাজার শহরে পর্যটন মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি মায়াবী ও রূপময়ী সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ এর রূপ পরিবর্তন করে। শীত-বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্ম এমন কোনো ঋতু নেই যখন সমুদ্র সৈকতের চেহারা বদলায় না। প্রত্যুষে এক রকম তো মধ্যাহ্নে এর রূপ অন্য রকম। প্রতিদিন অসংখ্য দেশী-বিদেশেী পর্যটক এই সৈকতে আসেন।
কক্সবাজার বাংলাদেশের মধ্যে একটি জনপ্রিয় জায়গা। আমরা সবাই কক্সবাজার সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পিকচার গুলো দেখতে চাই। কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাঙলার গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরেরও পুরানো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন। এবং শরণার্থীদের পুণর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা যান। তার পূর্নবাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার।
কক্সবাজার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের ভেতরে। এখানে সব সময় অনেক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশে অন্যতম একটি সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের নিকটেই কয়েকটি পাঁচতারা হোটেল রয়েছে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম -বার্মা), থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেট।
বাজার এলাকাটি ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠীদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক সমুদ্র দেখার সাথে সাথে এখানে অনেক ক্ষুদ্র যাত্রীদের দেখতে পাওয়া যায়। তাদের কালচার এবং তাদের জীবন যাপন যেকোনো কারো আকর্ষণ কেড়ে নিতে পারে।
কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি বা নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাস করে যা শহরটিকে করেছে আরো বৈচিত্র্যময়। এইসব উপজাতিদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় প্রধান।
কক্সবাজার শহর ও এর অদূরে অবস্থিত রামুতে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির। কক্সবাজার শহরে যে মন্দিরটি রয়েছে তাতে বেশ কিছু দুর্লভ বৌদ্ধ মূর্তি আছে। এই মন্দির ও মূর্তিগুলো পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ও কেন্দ্রবিন্দু। কক্সবাজারে শুধু সমুদ্র নয়, আছে বাঁকখালী নামে একটি নদীও। এই নদীটি শহরের মৎস্য শিল্পের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে বিখ্যাত। এখান থেকে আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পিকচার গুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Leave a Reply