শ্রীকৃষ্ণ হল স্বয়ং ভগবান। সনাতন ধর্মে শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং ভগবান মানা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্ম মতে ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার রয়েছে আর এই দশ অবতারের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ হলেন অষ্টম অবতার। শ্রীকৃষ্ণের অষ্টম অবতার রূপে দাফকচোকে এই ধরাধামে আসেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধারা ধামের পিতার নাম বলেন বাসীদের এবং মাতার নাম দেবকী। এই বাসুদেব এবং দেবকের অষ্টম গর্ভজাত সন্তান হলেন আমাদের স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছোট ছবি দেখার জন্য।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনেক ধরনের ছবি আমরা দেখে থাকি এর মধ্যে আপনারা যেহেতু আজকে ছোট ছবিগুলো দেখতে এসেছেন আমরা অবশ্যই আপনাদেরকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে ছোট ছোট ছবিগুলো রয়েছে সেই ছোট ছোট ছবিগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় ওর জনকে উদ্দেশ্য করে অর্থাৎ পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে উদ্দেশ্য করে একটি কথা বলেছেন যে, পৃথিবীতে যখন ধর্মের গ্লানি হয় অধর্ম বেড়ে যায় তখন পৃথিবীতে ধর্ম স্থাপনের জন্য স্বয়ং ভগবান বারবার আসেন এবং সেটি অবতার এসে থাকেন। অবতার দুই রকমের বা দুই প্রকারের আছে।
একটি হলো ভগবানের বা ভগবান বিষ্ণুর অংশ অবতার এবং আরেকটি হলো পূর্ণ অবতার। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ভগবানের পূর্ণ অবতার। তাই সেই দ্বাপর যুগে অর্থাৎ 3128 খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মনুষ্য রূপে এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। পৃথিবীতে যখন তিনি অবতীর্ণ হন তখন তার মামা কংস ছিলেন একেবারে অত্যাচারী রাজা। এবং তিনি জৈব পানিতে বুঝতে পেরেছিলেন বা শুনতে পেরেছিলেন যে তার বোন দেবকির অষ্টম গর্ভজাত সন্তান তার মৃত্যুর
কারণ হবে। সেই থেকে তার বোন এবং ভগ্নিপতি দেবকী ও বাসুদেব কে কারা রুদ্ধ করে রাখেন। এবং এই কারাগারের মধ্যে দেশকে এবং বাসুদেবের পরপর সাতটি সন্তানকে তিনি মেরে ফেলেন। পরবর্তীতে অষ্টম সন্তান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন ভূমিষ্ঠ হলেন তখন ছিল ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি। এ সময় রাত্রিবেলা যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংসের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেন তখন হয়েছিল বাসুদেবের অফার এবং কারাগারের দরজা আপনাআপনি খুলে গিয়েছিল।
বাসুদেব কারাগার থেকে ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে অনেক দূরে নন্দরানের গৃহে প্রবেশ করে তার কাছে শ্রীকৃষ্ণকে রেখে আসেন। সেখানে শ্রীকৃষ্ণ বেড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু অত্যাচারী রাজা শ্রীকৃষ্ণকে মারার জন্য সেখানেও একের পর এক ঘটনা ঘটাতে থাকে। পুতনা রাক্ষসী নামে এক রাক্ষসীকে পাঠায় শ্রীকৃষ্ণকে মেরে ফেলার জন্য। কিন্তু পুতনা রাক্ষসী শ্রীকৃষ্ণকে মারতে পারে না বরং সেই পুতণা রাক্ষসী মৃত্যুবরণ করে শ্রীকৃষ্ণের কাছে গিয়ে। তাই দেখা যায় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীতে সমস্ত স্থাপনের জন্য একেবারে শিশুকাল থেকেই বেশি না ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সোনা রাক্ষসী কে নিহত করা শিশুপালকে নিহত করা জরাসন্ধকে ক্ষমতার যুক্ত করা হত্যা করা এবং কালিয়নাথ দমন ইত্যাদি সমাজ থেকে সকল অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে সমাজকে একেবারে প্রকৃষ্ট ভাবে ধর্মসংস্থাপন করে গেছিলেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আমরা মনে করে থাকি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে স্বয়ং ভগবান ছিলেন এটি বিশ্বাস করতে কারো আর কোন রকমের কষ্ট হয় না।
আবার আমাদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমৎ ভাগবত গীতা থেকেও এই প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ একাদশ অধ্যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিব্যচক্ষু দান করে তার সর্ব প্রত্যক্ষ করার বিষয়টি দেখিয়েছেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আমরা অবশ্যই স্বয়ং ভগবান রূপে দেখে থাকি মেনে থাকি এবং তার এই রূপকে সত্তাকে কর্মকাণ্ডকে সবসময় পূজা করে থাকি। তাই ভগবানকে সবসময় কাছে রাখার জন্য ভগবানের ছবিকে সবসময় কাছে রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছোট ছবি
প্রয়োজন হয়েছে। তাই আজকে আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছোট ছোট ছবিগুলো অতি সুন্দর হয়েছে সেই সুন্দর ছবিগুলো আপনারা অবশ্যই এখন দেখে নিতে পারেন। এবং এখান থেকে যদি আপনার ছবিগুলো প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো আপনারা নিয়ে নিতে পারবেন। এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন।
Leave a Reply