আয়াতুল কুরসি হচ্ছে পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকারার ২৫৫ তম আয়াত। আর এই আয়াতের মাধ্যমে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে। এই আয়াতের মাধ্যমে আরো ঘোষণা করা হয়েছে যে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আল্লাহকে কারো সঙ্গে তুলনা করা চলে না এবং আল্লাহর কোন শরীক নেই।
আল্লাহতালা সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আল্লাহতালার কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। এই আয়াতুল কুরসি আয়াতটি মুসলমানদের কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং সর্বাধিক পঠিত একটি আয়াত বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে। মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ জনগণ এই আয়াতটি মুখস্ত করে থাকে। আবার দেখা যায় ইসলামিক স্কলার বা ইসলামিক পণ্ডিত কেন এই আয়াতটিকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে ঘোষণা করে থাকে।
সকল মুসলমান বিশ্বাস করে থাকেন যে এটি অর্থাৎ এই আয়াতটি পাঠ করলে অসংখ্য উপকার ও পূণ্য লাভ হয়। এছাড়াও দেখা যায় যে ইসলামী ব্যক্তিগণ দুষ্ট আত্মা অর্থাৎ খারাপ আত্মা এবং জিনকে দূর করতেও এই আয়াতটি পাঠ করে থাকেন। তাই দেখা যাচ্ছে যে আয়াতুল কুরসি আয়াতটি ইসলামিক সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক জীবন বিধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়।
কারণ এই আয়াতটিকে যেহেতু মুসলিম পণ্ডিত গান সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে দাবি করেছেন এবং এই আয়াতটি সকল মুসলমানের মুখস্ত করে থাকেন এ সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে আয়াতুল কুরসি আয়াতটি মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের জীবনধারণের জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে আয়াতটির গুরুত্ব অপরিসীম বলেই মনে করা হয়ে থাকে। হাদিস অনুসারে আয়াতুল কুরসির কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাই আয়াতটিকে কুরআনের অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কারণ আপনারা দেখলেন এই আয়াতের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী কাজগুলো করা হয়ে থাকে। যেমন খারাপ আত্মাকে তাড়ানোর জন্য জিন ভূতকে তাড়ানোর জন্য আমরা দেখে থাকি এই আয়াতের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এ সকল দিক বিবেচনা করলে আসলেই বলা যায় যে আয়াতুল কুরসী হল কুরআনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আয়াত। এই আয়াতুল কুরসি আয়াতটি যদি কেউ কখনো পাঠ করে থাকে তখন সে আল্লাহর মাহাত্ব নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা হয়।
যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা অত্যন্ত বিশ্বাসের শহীদ এই আয়াতটি পাঠ করে তাহলে সে যেন শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। আরো বলা হয় যে জিন ও শয়তানের থেকে মুক্তি ও সুরক্ষার জন্য এটি ভুতের ঝাড়ফুঁকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলেও মনে করা হয়ে থাকে। যেহেতু মুসলমানেরা এটি বিশ্বাস করে যে, আয়াতটি আধ্যাত্মিক বা শারীরিক সুরক্ষা
প্রদান করা হয় বা প্রদান করে তাই মুসলমানরা প্রায়শই ভ্রমণে বের হওয়ার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই আয়াতটি পাঠ করে থাকে। এবং যারা এই আয়াতটি অত্যন্ত বিশ্বস্ততার শহীদ পাঠ করে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করেন বলেই মনে করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা নিজেরাও বুঝতে পারলেন যে এই আয়াতুল কুরসী সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয়গুলি।
হাদিস এই আয়াতটি সম্পর্কে কি বলে এবং এটি কেন কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে মুসলমান স্কলাররা দাবি করে থাকেন এ সকল বিষয়গুলি আপনারা তাহলে ইতিমধ্যে বুঝে নিতে পারলেন। এখন আপনারা আমাদের এখান থেকে আয়াতুল কুরসির ছবি দেখে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য অবশ্যই এই আয়াতুল কুরসির ছবি এখানে তুলে ধরব এবং
আপনাদের যদি এই আয়াতুল কুরসির ছবি আপনাদের নিতে হয় তাহলে অবশ্যই এখান থেকে সেই ছবিগুলো নিয়ে নিতে পারবেন। কারণ আমাদের এখান থেকে কোন ধরনের তথ্য বা ছবি নিতে হলে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না তাই আপনারা অনায়াসেই এখান থেকে সেই বিষয়গুলি নিয়ে নিতে পারবেন। এই ধরনের যেকোনো তথ্য জানার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন।
Leave a Reply