আপনি কি জানেন আরবি বারটি মাসের নাম অর্থসহ? আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি সময় ১২টি নাম মুখস্ত করে ফেলার। কারণ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এই নামগুলো দরকার পড়ে।
আর আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই নামগুলো মুখস্ত রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন উৎসব ও ইবাদতের জন্য এই নামগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পোস্টে আমরা আরবি ১২ মাসের নাম অর্থ সহ আলোচনা করব। এই লিখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি শিখবেন কিভাবে খুব সহজেই আপনার সন্তানকে আরবি মাসের নাম গুলো মুখস্ত করাবেন।
তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
আরবি বারো মাসের নাম
প্রথমে আরবি ১২ মাসের নাম দেখে নেওয়া যাক।
আরবি মাসের নামের আরবি উচ্চারণ
নামগুলো উচ্চারণ করে দেখুন এগুলো অত্যান্ত শ্রুতিমধুর। এবং এগুলো উচ্চারণ করলে মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারে তাদের উচ্চারণে অসাধারণ সুন্দর লাগে।
অর্থসহ আরবি মাসের নাম
আরবী মাসের নামগুলো যেমন সুন্দর তার অর্থ আরো বেশি সুন্দর। সেখানে আমরা নামগুলো অর্থ সহ বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করব আমাদের প্রয়াস আপনার ভালো লাগবে।
আরবি মাসের নাম জানা কেন প্রয়োজন
আরবি মাসের নাম জানার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এখানে আমরা কতকগুলো প্রধান কারণ তুলো ধরার চেষ্টা করব।
প্রথমত, প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব আরবি মাসের নাম জানা। সেই সাথে প্রতিটি নামের অর্থ জানা।
দ্বিতীয়তঃ সঠিক সময়ে ইবাদত করার জন্য আরবি ক্যালেন্ডার সম্পর্কে ধারণা থাকা লাগবে। কারণ চন্দ্র মাস বা আরবি মাস হিসেবে প্রতিটি ইবাদত করতে হয়।
যেমন আমরা রোজার কথা বলতে পারি। রমজান মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথেই প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব রোজা রাখা।
আবার রমজান মাসের পরিসমাপ্তি ঘটে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে। অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। যেটা মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
দুটি ঈদের মধ্যে দ্বিতীয় ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে। অথচ অনেক মুসলমান পরিবারের সন্তান জানেনা ঈদুল আযহা কোন মাসে উদযাপিত হয়।
আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার সন্তানও এমন হোক। সুতরাং আপনার উচিত আপনার সন্তানকে এ নামগুলোর বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা।
কিভাবে আপনার সন্তানকে নামগুলো মুখস্ত করাবেন
প্রতিটি মুসলিম বাবা মা-ই চায় যে তার সন্তানকে আরবি বারো মাসের নাম অর্থ সহ শিখাতে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা বিফল হয়। তো নিজের সন্তানকে কীভাবে আরবি বারো মাসের নাম শিখাবেন তা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখা হলো-
প্রথমত, শিশুকে প্রথমেই একগাদা বই কিনে দিয়ে মুখস্ত করতে বলবেননা। বাংলা ভাষা যেভাবে শিখিয়েছেন সেভাবেই শিখান।
দ্বিতীয়ত,
খেলার ছলে শেখান। একদিনে বা একইবারে সব গুলো মুখস্ত করাতে যাবেননা তাহলে একটা মুখস্ত করতে করতেই আরেকটা ভুলে যাবে। ধিরে ধিরে শেখান এবং তাকে পুরস্কৃত করুন।
কারণ শিশুমন পুরস্কার পেতে ভালোবাসে। আপনি যদি ওর এই ছোট্ট সফলতায় ওকে পুরস্কৃত করেন তাহলে সেই বিষয়ে ওর আগ্রহ বাড়বে। এভাবেই একটা শিশুকে আরবি বারো মাসের নাম শিখাতে পারেন।
একটা বিষয়ে খেয়াল রাখবেন প্রথমবার যদি শিশুর ভুল হয় বা মনে করতে পারেনা তাহলে বকাঝকা বা মারধর করবেননা, যদি করেন তাহলে তার সে বিষয়ে আগ্রহ চলে যাবে।
কোন উৎসব বা ইবাদত কোন মাসে পালিত হয়
আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি ইসলামিক উৎসবগুলো আরবি দিন ও তারিখ মোতাবেক পালন করা হয়ে থাকে। এখন আমরা জানবো কোন উৎসব কোন মাসের কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। বা কোন ইবাদত কোন মাসের কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত পালন করতে হয়।
শবে মি’রাজঃ রজব মাসের ২৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
শবে বরাতঃ শাবান মাসের ১৫ তারিখ।
রমজানঃ রমজান মাসের প্রথম দিন হতে শেষ দিন পর্যন্ত।
ঈদুল ফিতরঃ শাওয়াল মাসের ১ তারিখ।
হজ্জঃ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ।
ঈদুল আযহাঃ জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ।
আশুরাঃ ১০ই মহররম।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীঃ ১২ই রবিউল আউয়াল।
Good post, thank you. I just signed up to RSS on this blog.
Very nice site you have here, has useful information that can apply to anyone 🙂
Awesome!!
আসসালামু আলাইকুম ভাই আপনার আরবি 12 মাসের নাম এর নাম্বার গুলো ভুল হয়ে গিয়েছে 4, 4 হয়েছে 11 নাম্বার নাই একটু সংশোধন করে দিয়েন
নাইস
ভালো পোস্ট, সবাই আরবি মাসের নাম মুখস্ত করতে পারবে।