কবরস্থান পিক । কবরের ছবি ডাউনলোড

কবরের ছবি ডাউনলোড

বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে কবরস্থানকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কবরস্থান হল পবিত্র জায়গা। বিভিন্ন পোস্ট করার সময় কবরস্থানের পিকচার এর প্রয়োজন পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার সব জায়গাতে কবরস্থানের পিকচার গুলো অ্যাভেলেবল থাকে না। এজন্য কবরস্থানের পিকচার পেতে চাইলে গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

কবরস্থান সম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত জ্ঞান আমাদের থাকা দরকার এজন্য এই সেনসিটিভ বিষয়টির উপর যথার্থ তথ্য আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। একজন ইসলাম হিসেবে আমাদের যে সব বেসিক নলেজ গুলো থাকা দরকার তাদের মধ্যে একটি হলো কবরস্থান সম্পর্কে জানা। আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধর্মীয় কিছু কথা জানানোর জন্য আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি তাদের শেয়ার করতে পারেন। এবং কবরস্থানের পিকচার গুলো আপনারা প্রয়োজনে শেয়ার করতে পারবেন।

আল্লাহ আমাদের একমাত্র রব। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে আমরা সবসময় আল্লাহর গুনোগান করি। নেক কাজ করি। ভালো কাজ করি এজন্য যাতে মৃত্যুর পর আমাদের মাগফিরাতের জন্য কষ্ট করতে না হয়। মৃত্যুর পর যাতে কবরস্থানে আমরা ভালোভাবে থাকতে পারি। আমরা সবাই চাই আমাদের আত্মীয় স্বজন এবং আমরা নিজেও একজন জান্নাতবাসী হতে। জন্ম হলে মৃত্যু অবধারিত। জন্মগ্রহণ করলে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবেই। আর মৃত্যুর পর আমাদের একমাত্র ঠিকানা হবে সাড়ে তিন হাত জমি।

সেই সাড়ে তিন হাত জমিতে মাটির ভিতরে হবে আমাদের আসল ঠিকানা। তাই এই চার দিনের জীবনে আমরা সকল পাপকর্ম থেকে বিরত থাকব এবং জীবন দশায় সমস্ত ভালো কার্যক্রম করে যাব যাতে মৃত্যুর পর আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট হন এবং কবরস্থানে আমাদের শান্তিতে রাখেন। কবরস্থান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সমস্ত করে নেওয়ার অনুরোধ রইল।

আল্লাহতায়ালা মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। মাটিতেই আবার তাকে ফিরিয়ে নেন। সুরা আবাসার ২১নং আয়াতে তিনি মানুষকে মৃত্যুর পর কবর দিতে আদেশ করেছেন। আয়াতটির ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবি (রহ.) লিখেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা মানুষকে কবরস্থ করার ব্যবস্থা দিয়ে তাকে সম্মানিত করেছেন। পশু-পাখি বা অন্য প্রাণীর মতো মৃত্যুর পর যেখানে-সেখানে ফেলে রাখার অনুমতি দেননি। কারণ তাতে সে হিংহ্র পশু-পাখি ও পোকামাকড়ের খাদ্যে পরিণত হবে।’ তাই সম্মানজনকভাবে মাটির কাছে মানুষকে সোপর্দ করার যে ব্যবস্থা আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন, তা-ই মূলত কবর। কবরস্থান অর্থ সমাধিক্ষেত্র বা গোরস্থান। ওয়াকফকৃত যে ভূমিতে তিন বা ততোধিক কবর রয়েছে, তাকে মাকবারা বা কবরস্থান বলা হয়।

আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন অনেক কবরস্থান রয়েছে। ওয়াকফকৃত কবরস্থানের সংখ্যাও কম নয়। কবরস্থানের জন্য জমি দান স্থায়ীভাবে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব লাভে এবং মানবসেবা করার একটি উত্তম মাধ্যম। উক্ত উদ্দেশে জমি ওয়াকফ করলে এবং তাতে কবর দেওয়া আরম্ভ হলে সে জমি কবরস্থান হিসেবে ওয়াকফ হয়ে যায়। ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং সর্বপ্রথম কবরস্থান হলো, জান্নাতুল বাকি। মসজিদে নববির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত এ কবরস্থানটি রাসুল (সা.) স্থাপন করেছেন। আনসারি সাহাবি আসআদ ইবনে যুরারা (রা.) এবং মুহাজির সাহাবি উসমান ইবনে মাজউন (রা.)-কে এ কবরস্থানে প্রথম দাফন করা হয়। বর্তমানে ১০ হাজার সাহাবিসহ অসংখ্য বিশিষ্ট মানুষের কবর রয়েছে সেখানে।

কবরস্থানের জন্য ওয়াকফকৃত জমি সকল মুসলমানের জন্য উন্মুক্ত। সুতরাং তাতে কবর দেওয়ার জন্য কোনো ফি বা চাঁদা নির্ধারণ করা বৈধ নয়। ওয়াকফ হওয়ার পর কবরস্থান অন্যান্য ওয়াকফের মতো একটি আইনগত স্বত্বাসম্পন্ন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। যার রয়েছে নিজস্ব মালিকানা স্বত্ব ও দায়-দায়িত্ব। যার পক্ষে মোতাওয়াল্লি বা কমিটি দায়িত্বশীল হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় বিষয় আঞ্জাম দেবে। ওয়াকফকারীর বৈধ শর্তাবলি বাস্তবায়ন করা, কবরস্থানের উদ্দেশ্য পূর্ণ করা ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করাও তাদের অন্যতম দায়িত্ব।

কবরস্থানের পিকচার গুলো আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে কালেক্ট করে রেখেছি আপনাদের জন্য। কবরস্থানের পিকচার সম্পর্কে বেশি কেউ সার্চ করে না। এজন্য গুগলে এই বিষয়ে খুব বেশি একটা তথ্য প্রদান করা থাকে না। এবং কবরস্থানের পিকচার গুলো সব জায়গায় পাওয়া যায় না। আশা করি কবরস্থানের পিকচার গুলো ডাউনলোড করতে পেরে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

About Arafat Mia 985 Articles
Bangla Date Today is the best website for providing Bangla date information based on Bengali calendar. This website publishes all type of date information in Bengali, English and Arabic Calendar.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*