রামকৃষ্ণ সারদা মায়ের ছবি ডাউনলোড

রামকৃষ্ণ সারদা মায়ের ছবি সংগ্রহ করার জন্য অথবা ডাউনলোড করার জন্য যারা এখানে ভিজিট করেছেন তারা এখান থেকে তারা ডাউনলোড করে নিবেন। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মালম্বী ব্যক্তিদের ছবি আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করেছে বলে এখান থেকে আপনারা যেমন দেবদেবীর ছবি ডাউনলোড করতে পারছেন তেমনিভাবে এই পোষ্টের মাধ্যমে সারদা দেবী মায়ের ছবি ডাউনলোড করতে পারবেন।

তাই এখান থেকে আপনারা এই ছবিগুলো ডাউনলোড করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপনাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। আপনাদের জন্য সুবিধা হয় এমন সকল বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে উপস্থাপন করছি বলে অনেক কিছুই আপনারা বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ইন্টারনেটের কল্যাণের ছবি ডাউনলোড করার পাশাপাশি অনেক তথ্য জেনে নিতে পারেন।

সারদা দেবে ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট ধর্ম গুরুর স্ত্রী এবং সাধনা সঙ্গিনী। তৎকালীন সময়ে যে রামকৃষ্ণ আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনের বিকাশ এবং প্রসারের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং তার ভূমিকার মধ্য দিয়েই এই আন্দোলন সফল হয়েছিল।

তিনি ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করে এবং ১৯২০ সালের ২০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। বিবাহের আগে তার নাম ছিল সারদা মনি মুখোপাধ্যায় এবং তিনি যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন সেই গ্রামেরই শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। খুবই অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে স্বামীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার বিষয়গুলো পরবর্তীতে ঘটেছিল এবং তিনি অবিচ্ছন্ন ব্রহ্মচর্যের অনুশীলন করে জীবন যাপন করতেন। তিনি তার সারাটা জীবন স্বামী পরিবার বর্গের লোকজন এবং আধ্যাত্বিক সন্তানদের সেবা ও আত্মত্যাগে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।

তার জীবনে যদি আমরা একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি তাহলে সেখান থেকে অনেক তথ্য উঠে আসবে যেখান থেকে আমরা অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি তার জীবন সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে অবগত হতে পারবো। যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে আমরা এই বিষয়গুলো জানতে পারছি সেহেতু এটাও জানতে পারছি যে তিনি রামকৃষ্ণ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আজীবন খুবই সাদা-সরল জীবন যাপন করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নাম উঠে আসলো কখনই অনারম্বর জীবন যাপন করতে দেখা যায়নি। তিনি তার জীবনাবস্থায় তীর্থ পর্যটনে যাত্রা করেছিলেন শীর্ষদের নিয়ে।

তবে এই হিন্দু ধর্মালম্বী ব্যক্তিদের কাছে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ একজন ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাছাড়া তিনি বেশ কিছু উক্তি অথবা বাণী আমাদের উদ্দেশ্যে রেখে গিয়েছেন যেটা আমাদের বাস্তব জীবনে অনেক। যদি শান্তি পাওয়ার প্রসঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই তাহলে এখানে তিনি উপদেশ দিয়েছেন যে কারো দোষ যেন আমরা না দেখি। নিজের শান্তি নিজের ভেতরে আনার জন্য সব সময় নিজেদের ভেতরের দোষ গুলো দেখে সেগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন। তাছাড়া তিনি ভগবানকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বাণী রেখে গিয়েছেন সেটা অত্যন্ত মূল্যবান। বর্তমান সময়ে মানুষ যে প্রয়োজন ছাড়া ভগবানকে মনে করে না এ বিষয়টা দেখতে পেয়েছি।

অর্থাৎ মানুষের যখন খুব প্রয়োজন হয় তখন মানুষজন ভগবানের কাছে এসে এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পথ পেয়ে গেলে আবার সরে যান। তাছাড়া বর্তমান সময়ে ভালোবাসা দিয়ে আপনি সবকিছু জয় করতে পারবেন। যদি আপনি জোর করে কায়দায় ফেলে কোন কিছু অর্জন করতে না পারেন তাহলে ভালোবাসা দিয়ে জয় করার জন্য তিনি তার বাণীতে বলেছেন। তাছাড়া জীবনে যদি ভালো হতে চান তাহলে সৎ সঙ্গে মিশে একত্রে থাকার কথা বলেছেন। এরকমভাবে অনেক অনেক কথা বলেছে বাস্তব জীবনে মেনে চলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি আপনারা এই বিষয়গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হবে এবং নিজেদের জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে পারবেন।