শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩, ৩ আষাঢ় ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ফুল

মধুমালতি

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ২১:০৫

বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় ফুল। পরিবার Combretaceae, উদ্ভিদতাত্বিক নাম Quisqualis indica। আদি নিবাস ভারত। অনেকে মধুমালতি বা মধুমঞ্জরিকে মাধবীলতা হিসেবে চেনেন, যা একান্তই ভুল। মাধবীলতা মধুমালতি বা মধুমঞ্জরি থেকে ভিন্ন।

মধুমালতি কাষ্ঠল লতাজাতীয় ঝোপালো আকৃতির ফুলগাছ। এর বৃদ্ধির জন্য বাউনির ব্যবস্থা থাকতে হয়, যাতে ভর করে বেড়ে ওঠে গাছ। এর লতা বেশ শক্ত মানের, বিশেষ করে বয়স্ক গাছের লতা। তাছাড়া বয়স্ক লতা মোটা হয়ে মোচড়ানো এবং ধূসর বর্ণ ধারণ করে। গাছের দৈর্ঘ্য ইচ্ছে অনুযায়ী ছাঁটাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কম-বেশি করে রাখা যায়। পাতা কিছুটা পাতলা ও খসখসে প্রকৃতির, গঠনে আয়তাকার থেকে ডিম্বাকার, রং সবুজ। তাছাড়া পাতাগুলি শাখায় জোড়ায় জোড়ায় সুবিন্যস্তভাবে সাজানো থাকে। লতার অগ্রভাগে গুচ্ছবদ্ধ থোকায় ফুল ধরে। একই গাছে সাদা, লাল, গোলাপি মিশ্র রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুলে ক্ষুদ্রাকৃতির পাপড়ি সংখ্যা পাঁচটি, মাঝে পরাগ অবস্থিত, দলনল বেশ লম্বা। ফুলের গন্ধ বেশ মিষ্টি।

প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষা এই ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম। ফুল ফুটন্ত গাছ খুবই নজরকাড়া ও মনোরম। রৌদ্রোজ্জ্বল উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। লতা কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হয়ে থাকে। বাসা-বাড়ি, পার্ক, উদ্যান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে মধুমালতি ফুলগাছ চোখে পড়ে।

লেখা ও ছবি :

মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী