ইতিমধ্যে পৃথিবীতে দুইবার বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেছে। পৃথিবীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালে। আসলে ১৯১৪ সালে ১৮ই জুন তারিখে বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রেলিয়ার যুবরাজ আর্টস ডিউক ফ্রাঞ্জ ফারদিনান্দ এক সার্ভের গুলিতে নিহত হন। এবং সেই নিহত হওয়ার কারণ কে কেন্দ্র করেই মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
কারণ হলো অস্ট্রেলিয়া হাঙ্গেরি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করেছিল। আর এ কারণেই ওই বছরের ২৮ জুলাই সার্ভেয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন সেই যুদ্ধে দুই দেশের মিত্র দেশগুলো জড়িয়ে পড়েন এবং শুরু হয়ে যায় পৃথিবীর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। তবে অস্ট্রেলিয়ার যুবরাজের হত্যাকাণ্ডই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল তা বলা যায় না।
উনিশ শতকের শিল্প বিপ্লবের কারণে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং পণ্য বিক্রয়ের জন্য উপনিবেশ স্থাপনের প্রতিযোগিতা এবং আগের দ্বন্দ্ব সংঘাতের জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কারণ বলে মনে করা হয়ে থাকে। এরপর আসা যাক পৃথিবীর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হল বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এ যাবৎ কালে পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। এখানে ও দুইটি পক্ষের অবতারণা হয় একটি হল অক্ষশক্তি আরেকটি মিত্রশক্তি। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে মিত্রশক্তির মধ্যে একক চুক্তি সম্পাদনের। আর এই চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে জার্মানি মনে করে যে তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। এ থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ দেখা দেয় ব্যাপকভাবে।
অর্থাৎ ১৯৪৫ সালে এই পারমাণবিক শক্তির উৎসবণ হয় এবং এই 1945 সালে পারমাণবিক শক্তি নিক্ষেপের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। জাপান এবং জার্মানির বিরুদ্ধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেই দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধই হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমপক্ষে পৃথিবীর সকল দেশি কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে পড়ে এবং দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মনে হয় যে যদি আগামীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে কোন মতেই এই পৃথিবীকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কারণ ১৯৪৫ সালেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে হারে পারমাণবিক বোমার ব্যবহার হয়েছিল তা দেখে মনে করা হয় যে একতর যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে পৃথিবীতে যে পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে সব শক্তিধর দেশগুলোর কাছে তাতে পৃথিবীর নিঃসন্দেহে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। তাই বলা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে।
এবং সেই সম্পদ সম্মানকে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যে এবং এই সকল বিষয়গুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিনই জার্মান ঝটিকা বাহিনী ওলানকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফরাসি ও ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্য করার সুযোগ পায়নি। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আস্তে আস্তে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মধ্যেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশ্ববাসী দেখতে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা।
এই যুদ্ধে পৃথিবীর অনেক লোক মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য হয়। তাই এই যুদ্ধকেই পৃথিবীর সবচেয়ে নৃশংসতম যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন ইতিহাসবিদরা। এই যুদ্ধে চীন জাপানের পূর্ব শত্রুতার কারণে তারা দুই দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই পক্ষে যোগ দিয়ে থাকে। তাই আপনারা যেহেতু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন ধরনের ছবি আমাদের এখান থেকে দেখতে এসেছেন আপনারা এখন দেখে নিতে পারবেন।
আপনারা এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছবিগুলো আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। খন্ড খন্ড চিত্রের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছবিগুলো আপনাদের জন্য এখানে তুলে ধরেছি। আপনারা অবশ্যই আমাদের এখানে দেখে নিতে পারবেন ছবিগুলো। আর ছবিগুলো ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হলে আপনারা অবশ্যই সেই ছবিগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Leave a Reply