হরমোন নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আপনার শরীরে যদি হরমোনের সমতা না থাকে তাহলে দিনে দিনে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে থাকবেন। আর এটা আপনার ভেতরে যেমন মানসিক চাপ বৃদ্ধি করবে তেমনি ভাবে অন্যান্য সমস্যার ভেতর দিয়ে যাওয়ার কারণে আপনি অন্যান্য কোন কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না। তাই মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় এ প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।
যখন আপনারা এ প্রসঙ্গে জেনে নিতে পারবেন তখন আপনাদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করা সম্ভব হবে। হরমোনের এই অসমতার কারণে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে সেগুলো উপস্থাপন করতে পারলে আপনারা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই নারীর শরীরে হরমোনের আধিক্য অথবা স্বল্পতা থাকলে কি কি ধরনের প্রবলেম হতে পারে সেগুলো এখানে আলোচনা করলাম।
একটা মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি নির্ভর করে অনেকটাই হর মনের উপর নির্ভর করে। কারণ মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন রয়েছে এবং একেক ধরনের হরমোনের কাজ এক এক রকম। তাই হরমোনের সমস্যা যদি দেখা যায় তাহলে একটা মানুষ ভারসাম্যহীনতার মধ্য দিয়ে চলবে এবং তার শরীরের ভেতরে কোন ধরনের ব্যালেন্স থাকবে না।
যখন কোন নারীর মনের সুস্থতার প্রয়োজন হয় অথবা শরীরের সুস্থতার প্রয়োজন হয় তখন তার শরীরে হরমোনের সমতা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর যদি এ বিষয়গুলো সমতা মেনে না চলতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি কোনোভাবেই সেই ব্যক্তি সুস্থ থাকতে পারবে না।
অনেকের শরীরে হরমোনের ইমব্যালেন্স এর কারনে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও হরমোন সমস্যার কারণে অনেকের মেজাজ ঘন ঘন বিগড়ে যেতে পারে অথবা অতিরিক্ত ক্লান্তি ভাববোধ হতে পারে। তাছাড়া হরমোনের সমস্যার কারণে অনেকের ত্বকের সমস্যা হতে পারে অথবা চুল পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ব্রণের সমস্যায় দিনের পর দিন পড়তে পারেন।
হরমোনের এই সমস্যাগুলো শরীরের ভেতরে হয়ে থাকে বলে আমরা অনেক সময় তা বুঝতে পারি না এবং সঠিক চিকিৎসার ভাবে আমাদের শরীরের অবনতি দিনের পর দিন করতে থাকে। তাই যদি হরমোন বেশি হয়ে থাকে তাহলে একটা মানুষের শরীরে কি কি প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো এখানে জানিয়ে দিলাম।
কারণ শরীরে যদি হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে অথবা কম থাকে তাহলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করবে। পরিবারসহ বাইরের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে চলার জন্য অনেক সময় এই মানসিক চাপ গ্রহণ করতে হয়। আর মানসিক চাপের কারণে যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলে অনেক সময় এই
হরমোনের আধিক্যের কারণে অথবা স্বল্পতার কারণে মানুষের রাগ চাপ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে কাজ করে বলে তখন মানুষ শান্তি পায় না। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে যদি কেউ অনিয়ম করে থাকে তাহলে এই হরমোনের সমস্যা গুলো হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি তেল এবং মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা প্রত্যেকের জন্য কামনীয়।
কেউ যদি অন্তঃসত্তাকালীন অবস্থায় থেকে থাকে তাহলেও তার হরমোনের এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ব্যাপক তারতম ঘটে থাকে। অর্থাৎ এই সমস্যা গুলোর কারণে একটা মানুষের হরমোনের বিষয়গুলোর উপরে প্রভাব ফেলে এবং তখন থেকে গা গোনো শুরু হয় এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যদি ঋতু চক্রের বিষয়গুলো থেকে আপনারা বুঝতে পারেন এখানে সময় মত হচ্ছে না অথবা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে
তা হলেও এটা হরমোনের কারণে হতে পারে। তাই হরমোন সংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং এই সমস্যাগুলো খুঁজে পেলে অবশ্যই সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে সঠিকভাবে জীবন-যাপন করতে হবে। আর যখন শরীরে হরমোনের স্বল্পতা অথবা আধিক্য চলে আসবে তখন এই সমস্যাগুলোতে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Leave a Reply