স্বাভাবিকভাবে যদি কোন মেয়ে খাটো হয়ে থাকে তাহলে দেখতে খুবই খারাপ লাগে এবং খাটো মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যদিও মেয়েরা পুরুষের চাইতে লম্বা কম হয়ে থাকে তারপরও অনেক মেয়ে আছে যারা চাকরি-বাকরির সুবিধার জন্য অথবা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে লম্বা হওয়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।
সাধারণত পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং পরিবারের পিতা ও মাথার উপরে নির্ভর করে একজন মেয়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের কমবেশি হয়ে থাকে। আর সেটার কারণেই একটা মেয়ে লম্বা হবে নাকি খাটো হবে সেটা নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি লম্বা হতে চান এবং মেয়েদের লম্বা হওয়ার প্রকৃত নিয়ম জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই নিয়ম গুলো চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে আপনি যদি লম্বা হতে চান তাহলে খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে। লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার হাড়ের বৃদ্ধিটা জরুরী এবং হাড়ের বৃদ্ধির সাথে আপনার শরীরের পুষ্টিগুণ যাতে ঠিকঠাক মতো বজায় থাকে সে বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে আপনারা।
যদি হরমোন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অনেক সময় অনেকেই ইনজেকশন পদ্ধতি ব্যবহার করে যেটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এটার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার কারণে বেআইনি হিসেবে ঘোষণা করাই অনেকে এটা করতে চায় না। আমরা যদি নিয়মিতভাবে দুধ পান করতে পারি এবং মেয়েরা যদি দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অসুবিধা প্রকাশ না করে তাহলে সেটা তাদের হাড়ের বৃদ্ধি ঘটনার পাশাপাশি লম্বা হতে সাহায্য করবে।
তাছাড়া নিয়মিত কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে শরীরের হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে যায় এবং লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু এই এক্সারসাইজ করার মধ্য দিয়ে আপনারা চাইলেই শরীরের সেই হরমোন গুলো বৃদ্ধি করে নিতে পারেন। আর এক্সারসাইজ করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে যাতে করে আপনার সেই ঘাটতিগুলো পূরণ হয়ে যায় এবং পুষ্টি থাকার কারণে হাড়ের বৃদ্ধি সহজেই ঘটে।
কেউ যদি স্প্রিন্টিং ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে এটা মানুষের হরমোনের পরিমাণ খুবই বৃদ্ধি করবে এবং শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে লম্বা হতে অত্যন্ত সাহায্য করবে। এই ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ২১ বছর পার হওয়ার পরে চেষ্টা করে দেখতে হবে।এছাড়া আপনারা যদি প্রাকৃতিক ভিটামিন নামক ভিটামিন বি ৩ খেয়ে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে এটা আপনার শরীরের বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
অনেক সময় অনেক মেয়ে আছে যারা বিভিন্ন কারণে মানুষের চাপে থাকে এবং আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে সেটা আপনার লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করবেন। দৈনন্দিন জীবনে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং চাপমুক্ত যদি আপনি থাকতে পারেন তাহলে আপনার উৎপাদিত হওয়ার পাশাপাশি লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সেগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
তাছাড়া ঘুমের ক্ষেত্রেও আপনাকে সচেতন হতে হবে এবং আপনি যদি দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমাতে পারেন এবং ফ্রেশ ঘুমাতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরে বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। তাই আপনি যখন লম্বা হতে চাইবেন তখন অবশ্যই প্রাকৃতিক নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন।
কোন ধরনের হারবাল প্যাকেজ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনারা যদি অতি দ্রুত লম্বা হতে চান তাহলে দেখা যেতে পারে সেখান থেকে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না অথবা হিতে বিপরীত হতে পারে। লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারলে সেটা অনেক ভালো হবে। সর্বোপরি সুস্থ থাকতে হবে এবং সুস্থ থাকার মাধ্যমে আপনার মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply