বিষ্ণুর দশ অবতারের ছবি ডাউনলোড

হিন্দু ধর্মে অবতার বলতে সৃষ্টিকর্তা বা স্বয়ং ঈশ্বর দেহ ধারণপূর্বক পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়াকে বোঝায়। সনাতন ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিবর্গগণ বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীতে যখন অধর্ম ছেয়ে যায় তখন ধর্ম কোন স্থাপনের জন্য ঈশ্বর পৃথিবীতে অবতরণ করেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে স্বয়ং ভগবান বা ঈশ্বর অবতরণ করেন এই কারণে যে দুষ্টু দমন করার জন্য এবং সৃষ্টির পালন অর্থাৎ পুনরায় পৃথিবীতে ধর্ম সংস্থা স্থাপন করার জন্য ঈশ্বর যুগে যুগেই অবতীর্ণ হয়ে থাকেন।

তাই আমরা দেখতে পাই যে বিষ্ণুর দশ অবতার পৃথিবীতে এসেছেন। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থে অবতার সম্পর্কে বলা হয়েছে। অবতার সম্পর্কে ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে শ্রীমৎ ভাগবত গীতায়। হিন্দু ধর্ম মতে বা সনাতন ধর্ম মতে সৃষ্টি স্থিতিলায়ের প্রধান তিনটি দেবতা রয়েছেন এই প্রধান তিন দেবতা হল ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর। আসো আসো আসো আমরা জানি যে ব্রহ্মা সৃষ্টিকর্তা বিষ্ণু পালনকর্তা এবং মহেশ্বর বার্ষিক হলেন সংহার কর্তা।

তাই অবতারের সঙ্গে প্রধানত বিষ্ণুরই সম্পর্ক দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন শাস্ত্রে এই অবতার সম্পর্কে বলা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে যখন অধর্মের ঘর সন্ধ্যা নামে তখনই পৃথিবীতে ঈশ্বর অবতীর্ণ হন তার কোন মনুষ্য রূপে অথবা অন্য যেকোনো প্রাণীর রূপে। ঈশ্বর পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে সকল অধর্ম কে বিনাশ করে পুনরায় ধর্ম সংস্থাপন করে। আমরা এ কথা জানি বা বিশ্বাস করি ঈশ্বর সকল রূপ ধারণ করতে পারে।

আর এই কারণে ঈশ্বর যখন সব রূপ ধারণ করতে পারে তখন পৃথিবী থেকে সকল অধর্ম দূর করতে পারে। হিন্দু ধর্মের এটি একটি বিশ্বাস। অর্থাৎ অবতার বাদে বিশ্বাস হিন্দু ধর্মে রয়েছে। তাই আমরা দেখতে পাই যে পৃথিবীতে বিষ্ণুর দশ অবতার এসেছে তারা ধর্ম পুনরায় স্থাপন করার জন্য। যখন পৃথিবীতে অধর্ম সেয়ে গেছে একের পর এক অধর্ম রয়েছে তখন ঈশ্বর ঠিক নিচে নেমে এসেছেন অর্থাৎ অবতরণ করেছেন বারবার। আমরা আজকে এখানে বিষ্ণুর দশ অবতার সম্পর্কে জানব এবং সেই দশ অবতারের নাম সহ ছবি আপনাদের এখানে দেখাবো।

অর্থাৎ আমরা খালি বিষ্ণুর দশ অবতারের কথাই শুনে আসছি আমরা অনেকেই এই দশ অবতারের নাম ঠিকমতো হয়তো গ্রাম্য অনুসারে বলতে পারি না। তাই আজকে আপনাদের অবশ্যই বিষ্ণুর দশ অবতারের নাম ক্রমানুসারে আপনাদেরকে দেখাবো আমাদের এখান থেকে। তবে শুধু যা সব তারের নাম দেখাবো তাই নয় এখানে আপনাদের অবশ্যই দশ অবতারের নামের সহিত তাদের ছবিও আমরা দেখিয়ে দেব। তাহলে আপনারা এখন আমাদের এখান থেকেই দেখে নিতে পারবেন বিষ্ণুর দশ অবতারের নাম গুলো।

নামগুলো গ্রাম্য অনুসারে সাজানো হয়েছে। এগুলো আপনারা এখন দেখবেন এবং আমরা বলে দিয়েছি আপনারা কিভাবে সেই গ্রাম অনুসারে সাজাবেন বিষ্ণুর দশ অবতার কে।বিষ্ণুর দশাবতার: উপরের বাঁদিক থেকে ঘড়ির কাঁটার ক্রম অনুসারে ক্রম সাজাতে পারেন। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, বামন, কৃষ্ণ, কল্কি, বুদ্ধ, পরশুরাম, রাম ও নৃসিংহ এবং (মধ্যস্থলে) রাধাকৃষ্ণ, জয়পুর চিত্রকলা, ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে রক্ষিত। তবে আমরা সাধারণত বৈদিক সাহিত্যে অবতার শব্দটি যেমনভাবে পাইনা বললেই চলে।

কিন্তু বেদ পরবর্তী সাহিত্যগুলোতে অবতার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবেই বলা হয়েছে। তবে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে রচিত পৌরাণিক সাহিত্যেই এই অবতার শব্দটিকে স্বতন্ত্রভাবে পাওয়া যায়। তাই বিষ্ণুর দশ অবতার সম্পর্কে এতক্ষন আপনারা আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবেই বলার চেষ্টা করলাম। আপনারা অবশ্যই এতক্ষণে মোটামুটি ভাবে ২০ মিনিট ১০ অবতার সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের বর্তমানে কৃষ্ণ-দশ অবতারের ছবি সহ নামগুলি আপনাদেরকে দেখাবো।

নাম সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন এখন আপনাদেরকে ছবি সম্পর্কে দেখাবো। আপনারা এই ছবিগুলো এখান থেকে দেখতে দেখতে যদি ছবিগুলো আপনাদের নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যে কোন তথ্য বা ছবি ডাউনলোড করে নিতে আমাদের এখান থেকে কোন আলাদা চার্জের প্রয়োজন হয় না। তাই এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।