পুরুষের তুলনায় নারীদের অথবা মেয়েদের হার্টের সমস্যা খুব কম দেখা দেয়। যদিও কোন নারীর ভেতরে হার্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটা পুরুষের তুলনায় অন্ততপক্ষে বেশ কয়েক বছর পরেই দেখা দিবে। স্বাভাবিকভাবে জীবনযুদ্ধে পরিচালনা করার জন্য একজন পুরুষ যতটা চাপের মুখে তাকে একজন নারীকে সংসার সামলানোর বাইরে সেভাবে চাপে থাকতে হয় না।
বস্তুবাদের এই যুগে পুরুষদের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সামাল দিয়ে চলতে হয় এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাদের মন জুগিয়ে চলতে হয়। কিন্তু নারীরা যদি সকল ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো চাপ হিসেবে গ্রহণ না করে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারে অথবা অন্যান্য কাজ করতে পারে তাহলে তাদের হার্ট অ্যাটাকের বিষয়গুলো খুবই কম দেখা দিবে। যদি কোন নারীর হার্টে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেগুলোর লক্ষণ হিসেবে কি কি কারণ আসতে পারে তা আপনাদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করব। তাই মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ বুঝতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে এখানে বিস্তারিত করছে জানিয়ে দেওয়া হলো।
সাধারণত মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ গুলো খুব দেরিতে বোঝা যায় এবং এই ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি উপসর্গকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ উপসর্গগুলো যেহেতু খুবই কম প্রকাশ পায় সেহেতু একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে উপসর্গগুলো শনাক্তকরণের ভিত্তিতে হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে আপনারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে মেয়েদের হাটে যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কি কি ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তা নিচের দিকে আমরা আলোচনা করলাম বলে আশা করি আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
কোন মেয়ের যদি হার্টের সমস্যার লক্ষণ জানতে এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই দেখবেন তার বুক ব্যথা হয়েছে কিনা। বুক ব্যথা হওয়ার সহকারে বুকের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হবে এবং সেই নারী অবশ্যই অস্বস্তিতে ভুগতে থাকবে বলে এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় বুক ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে অথবা হার্টের সমস্যা হতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে অনেক নারীর ক্ষেত্রে বুকে চাপ লেগে আসার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বুকের বাম পাশে হার্ট আছে বলেছে সেখানেই হবে বিষয়টা এমন নয় বরং বুকের যে কোন অংশে এই প্রবলেমটা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও গলা এবং মুখের হাড়ে এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
যদি আপনারা এই ব্যথা সৃষ্টির জায়গা গুলো সঠিকভাবে চিনতে চান তাহলে বলবো যে কার অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যাথা দেখা দিতে পারে এবং আস্তে আস্তে এই ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। পেটের মধ্যে অস্বস্তিও দেখা দেবে যদি সেখানে কোন সমস্যা হয়ে থাকে। যদি বংশ পরম্পরায় অথবা পারিবারিকভাবে হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পেটে ব্যথা যেমন দেখা
দিতে পারে তেমনি ভাবে পেটের মধ্যে অসস্তি অথবা বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া যদি দেখেন তাহলে কেউ বিষয়টা এড়িয়ে যাবেন না। অর্থাৎ বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। আর যদি পেটে অত্যাধিক চাপ অনুভূত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরের অংশে ভারে কিছু থাকার মত মনে হলে সেটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
যদি শ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখতে পারেন তাহলে এটাও হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত ওঠানামা করা থেকে শুরু করে বুকের ভেতরে ধড় করে ভাব এবং যদি বমি বমি ভাব দেখা দেয় তাহলে এটা হতে পারে। এছাড়া কোন নারীর যদি হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তার শরীরে ঘামের সৃষ্টি হতে পারে এবং যদি হঠাৎ করেই ঘাম দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে সেই রোগীর অবস্থা খারাপ এবং তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। এছাড়াও যদি দুর্বলতা অনুভব হয় এবং শরীরের অন্যান্য উপসর্গ গুলো উপরের আলোচনার ভিত্তিতে মিলে যায় তাহলে আর দেরি না করে হার্টের সমস্যার লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিয়ে আপনারা চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply