স্বামী বিবেকানন্দ যার ডাক নাম ছিলেন নরেন্দ্র বা নরেন। তিনি একজন ভারতীয় বা বাঙ্গালী হিন্দু সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম গুরু। তিনি একাধারে ধর্মগুরু এবং দার্শনিক ছিলেন। বাঙালি সমাজকে এগিয়ে নিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব বিভিন্ন ধর্মের অর্থাৎ বিশ্ব ধর্ম পরিষদে হিন্দু ধর্মের পক্ষ থেকে বিরাট এক বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই বক্তব্য এখন পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে।
তারপর সেই বক্তব্য দেওয়ার পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যায়। এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় তিনি হিন্দু ধর্মের সম্পর্ক ছাড়াও বিশ্ব দর্শনের উপর অনেকগুলি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তার সে ধরনের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ইংল্যান্ডের এক ইংরেজ অনুপ্রাণিত হয় অর্থাৎ অল্প বয়সী তরুণী অনুপ্রাণিত হয় এবং এই অল্প বয়সী তরুণী পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দের সহিত ভারতে আগমন করে। পরবর্তীতে এই ইংরেজ তরুণী হিন্দু ধর্মের দীক্ষা লাভ করেন স্বামী বিবেকানন্দের কাছ থেকে এবং তার নামকরণ করা হয় ভগ্নি নিবেদিতা।
এই ভগিনী নিবেদিতা পরবর্তীতে হিন্দু ধর্মের বিকাশ এবং প্রচারে এক মহীয়সী নারী হিসেবে দেখা দেয়। আমাদের স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম জীবনে রামকৃষ্ণদেবের নিকট আসেন এবং তার কাছ থেকে জানতে চান ঈশ্বর কোথায় থাকেন বা ঈশ্বর কি অথবা তিনি ঈশ্বরকে দেখেছেন কিনা। স্বামী বিবেকানন্দের অর্থাৎ তখনকার নরেন্দ্র এর এই কথা শুনে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যে উত্তর দেন সেই উত্তরে খুশি হয়ে নরেন্দ্রনাথ তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
এজন্যই স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে আরো প্রসারিত করার জন্য কাজ করে গেছেন।স্বামী বিবেকানন্দ বাংলাদেশ শুধু নয় পৃথিবীর হিন্দু ধর্মের আইডল হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেছিলেন যে হিন্দু ধর্মের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে প্রথমে শরীর গঠন করতে হবে তারপরে ধর্ম দিক এগোতে হবে। অর্থাৎ শরীর যদি ঠিক না থাকে মন যদি সুস্থ না থাকে তাহলে ধর্মতাকে গ্রহণ করতে পারবে না অর্থাৎ ধর্ম জানতে হলে শিখতে হলে বুঝতে হলে অবশ্যই
শরীর মন সুস্থ থাকতে হবে। তার জীবন থেকে আমরা আরো অনেক বিষয় দেখতে পাই। কিন্তু এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ইউরোপের সেই দেশগুলো থেকে ভ্রমণ করা আসার পর তার শরীরের দুরারোগ্য ব্যাধি বাসা বাঁধে এবং তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যান। কিন্তু তার দর্শন তার ভারতীয় দর্শন বাঙালি সমাজকে শুধু নয় বিশ্বের সকল হিন্দু সমাজকেই অনুপ্রাণিত করে।
তার দার্শনিক কথাবার্তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে আজও এবং তার সেই আমেরিকা শিকাগো শহরের ১৮৮১ সালের বক্তব্য বা ভাষণ এখনো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ আলোচনা করে থাকে যে এত সুন্দর কথা এত দার্শনিক কথা তিনি কিভাবে বলতে পারেন। সেখানেই তিনি পৃথিবীর বুকে ভারতকে চিনিয়েছেন ভারতের সনাতন দর্শনকে চিনেছেন যখন সকলে সকলকে ভদ্র মহিলা এবং ভদ্রলোক বলে পরিচিত করার ছিলেন
সেই অনুষ্ঠানেই আমাদের স্বামীজি অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন আমার ভগ্নি এবং ভাইগণ এই ভাষা শুনে তখনকার সেই হল ঘরের সবাই একে অপরের মুখ যাচাই করছিলেন ভারতীয় দর্শনের এই ভাষায় অবাক হয়ে গেছিলেন সকলেই। অল্প সময়ের মধ্যেই কিভাবে একজন মানুষ আরেক সকল মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। তিনি সেখানে ভারতীয়দের ধর্ম সংস্কৃতি অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিলেন। ভাই আপনারা যারা এখন আমাদের এখান থেকে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই এই মহাপুরুষের ছবি এখন এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন।
স্বামী বিবেকানন্দের যে সকল ছবি আমরা সচরাচর দেখতে পাই সেই সকল ছবিগুলোই আমাদের এখানে রয়েছে। মহাপুরুষের ছবি আপনারা এখান থেকে দেখবেন এবং যদি কোন ছবি আপনাদের ডাউনলোড করে নিতে হয় বা নিজের কাছে রেখে দিতে হয় তাহলে আপনি অবশ্যই সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আমাদের সঙ্গে থাকবেন বলে আমরা মনে করি।
Leave a Reply