শ্রী কৃষ্ণের ছবি ডাউনলোড

সনাতন ধর্মালম্বী বা হিন্দু ধর্মালম্বী ব্যক্তিদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তারা অবতারবাদ এবং জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। অবতার বাদে বিশ্বাসী হওয়ার কারণেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সনাতনীরা স্বয়ং ভগবান মনে করে থাকেন। এর কারণ অবশ্যই রয়েছে। সেই কারণ অবশ্যই আপনাদেরকে এখন ব্যাখ্যা করব। শ্রীকৃষ্ণ দশাবতারের মধ্যে একজন। শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে অবতার রূপে পৃথিবীতে আসেন। এবং শ্রীকৃষ্ণ অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দাফর যুগে পৃথিবীতে এসে অনেক অধর্ম বিনষ্ট করে ধর্মের সংস্থাপন করে তিনি আবার চলে যান।
এখন হলো অবতার কি, অবতার হল অবতরণ করা অর্থাৎ আমরা মনে করি ঈশ্বর যখন মানব বা অন্যান্য কোন পশু পাখি প্রাণীর উপর পৃথিবীতে নেমে আসেন তখন তাকে অবতার বলা হয়ে থাকে। অবতারের মধ্যে ঈশ্বরের ছয়টি গুন থাকলেই তাকে অবতার বলা হবে বা অবতার বলা যায়। তেমনি পৃথিবীর বুকে যখন অধম অশান্তি আলাদা কথা নেমে আসে তেমনি এক সময়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে আমাদের মাঝে অবতীর্ণ হন এবং পৃথিবী থেকে সমস্ত অধর্ম বিনাশ করে পুনরায় ধর্ম সংস্থাপন করে যান। অবতার দুই ধরনের একটি হচ্ছে আংশিক অবতার আরেকটি হচ্ছে পূর্ণ অবতার। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার।
শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং ভগবান বলার কারণ হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলে গেছেন আমি পৃথিবীতে যুগে যুগে আসি এবং আসবো কখন আসবো যখন পৃথিবীতে অধর্মের পরিমাণ বেশি হয় এবং ধর্ম লোক পায় মানুষের মানুষের হানাহানি কাটাকাটি ইত্যাদি যখন বেড়ে যায় তখন অবশ্যই আমি পৃথিবীতে আবার আসিব। তেমনি ভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে এসে বিভিন্ন ধরনের আধার মা দূর করেছেন যেমন তার মামা কংসের অধর্মের বিনাশ করেছেন শিশু পালের অধর্মেরাস করেছেন তিনি শিশু অবস্থায় অনেকগুলি রাক্ষস কে মেরে পৃথিবীতে শান্তি সংস্থাপন করেছেন।
কালিয়া নদের কালিয়া নাগকে দমন করেছেন এছাড়াও তিনি অসংখ্য কর্মকান্ড করে গেছেন তার সমস্ত জীবনব্যাপী। শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অবস্থান করে অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে তিনি স্বয়ং অবস্থান করেও নিজ হাতে কোন যুদ্ধ করেননি। তিনি যদিও যুদ্ধের নির্ণয় দাতা নির্ণয় কর্তা ছিলেন তারপরেও তিনি নিজ হাতে কোন যুদ্ধ করেননি। এবং মহাভারতে এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চপান্ডবের একজন পান্ডব হল অর্জুন।
এই অর্জনকে তার মুখনিঃসৃত যে বাণী বা উপদেশ দিয়েছিলেন সেই উপদেশ বা বাণী হচ্ছে বর্তমানে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা। যে ধর্ম গ্রন্থটি হিন্দুধর্মালম্বীরা প্রধান ধর্মগ্রন্থের একটি বলে মনে করে থাকেন। এখানে অর্থাৎ গীতাতে কোন ঐশীর মাধ্যমে বা কারো মাধ্যমে কোন বাণী এখানে আসেনি স্বয়ং ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী শ্রীমদ্ভাগবত গীতা হিসেবে আমরা পেয়েছি যা পৃথিবীতে বিরল।
তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেহেতু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিক তিনি এই পৃথিবীকে লালন পালন ধারণ করছেন তাই আমরা আজকে তার সামান্য অনুসারী বা ভক্ত হয়ে পৃথিবীতে শ্রীকৃষ্ণের যে ছবিগুলো রয়েছে সেই ছবিগুলো সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে অবগত করাবো। আমরা কথায় কথায় বলি “বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর”। অর্থাৎ যদি আমরা বিশ্বাস করে থাকি কৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য তাহলে অবশ্যই তিনি একদিন আমাদের হৃদয় মাজারে এসে ধরা দেবেন দেবেনই। তেমনি আজকে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন ধরনের যে ছবি রয়েছে সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই ছবিগুলো আমরা এখন এখান থেকে দেখব।
তার জন্য আপনাদের অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখে যাওয়ার বা পড়ে যাওয়ার অনুরোধ রইল। আপনাদের যদি এ ধরনের বা আমাদের এখান থেকে কোন ছবি পছন্দ হয় বা ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা অবশ্যই এটি পারবেন। কারণ হলো যে কোনো ছবি অথবা যে কোন তথ্য আপনারা আমাদের এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন অর্থ প্রয়োজন হবে না। তাই আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটিতে বা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকেন। তাহলে আপনার দৈনন্দিন জীবনে যত ধরনের তথ্য বা ছবির প্রয়োজন হবে সব তথ্য বা ছবিগুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখি।