আমাদের চারপাশে পরিবেশে মাটি ব্যাপক হারে দূষিত হচ্ছে। কিন্তু মানুষের জীবনের জন্য মাটি পানি বায়ু ভীষণভাবে প্রয়োজন। আর এই মাটি পানি বায়ু ইত্যাদি দূষণ হওয়ার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। শীতকালে গরম এবং গরমকালে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে অনাবৃষ্টি করা পরিবেশকে দূষণ করে তুলেছে। আগামী প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে হলে আমাদের কে অবশ্যই এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হবে বলেই মনে করা হয়।
পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে না যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে যেভাবে মাটি পানি বায়ু ইত্যাদি দূষিত হচ্ছে তাতেই পরিবেশ একসময় ধ্বংস হবে বলে মনে করি। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে মাটি দূষণের বিভিন্ন ছবি দেখার জন্য এসেছেন তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকেই আজকে মাটি দূষণের বিভিন্ন চিত্র দেখে যেতে পারবেন। সাধারণত মাটি দূষণ হয়ে থাকে প্লাস্টিক কাচ পোড়ামাটি অথবা ইট পাথর সিমেন্টের কংক্রিট দ্বারা। পৃথিবী উন্নয়নের নামে ব্যাপক হারে মাটি পোড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে পৃথিবীর উন্নত করার জন্য।
কিন্তু এভাবে মাটি একের পর এক দূষণের শিকার হলে ভবিষ্যতে পৃথিবীকে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু মানুষের কুৎসিত মনের চরিতার্থ করার জন্য মাটিকে সর্বদাই ভীষণভাবে দূষিত হতে হচ্ছে। একসময় পৃথিবী অনুন্নত ছিল অর্থাৎ সকল প্রাকৃতিক বস্তু দিয়েই পৃথিবীর মানুষের বা সকল জীবের কর্মকাণ্ড চলে যেত। কিন্তু পৃথিবী যত আধুনিক হতে যাচ্ছে ততই নিমজ্জিত হচ্ছে দূষণের বেড়াজালে। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে ব্যাপক পরিমাণে প্লাস্টিক ব্যবহার করে থাকে।
এছাড়া বর্তমান সময়ে পাটের ব্যাগ অথবা কাগজের ঠোঙ্গার পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এই সকল পলিথিন ব্যাগগুলো ব্যবহার করার পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা জানেন এই পলিথিন ব্যাগ দীর্ঘ সময় মাটিতে পড়ে থাকার পরও পচে না। আবার পলিথিনেরই আরেকটি রূপ হচ্ছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী আমরা প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছি।
এবং কিছুদিন পর যখন এই প্লাস্টিক সামগ্রী গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তখন এই সামগ্রীগুলো যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছি। তার কারণেও প্রচুর পরিমাণে মাটি দূষণ হচ্ছে। এই মাটি দূষণ রোধ করতে হলে আমাদের অবশ্যই অতি শীঘ্রই এই পলিথিন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। এবং একান্তই যদি এই প্লাস্টিকের তৈরি এবং পলিথিনের ব্যাগগুলি ব্যবহার করতে হয় তাহলে অবশ্যই সেগুলো ব্যবহারের পর আবার যেন পুনরায় ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ তার রিসাইকেল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
প্লাস্টিকের বর্জ্য বা পলিথিনের বর্জ্যগুলো মাটিতে ফেলার কারণে মাটির ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। এছাড়াও আরো রাসায়নিক দ্রব্য যেগুলি মাটিতে ফেললে মাটি দূষণ হয়ে যায়। এ সকল রাসায়নিক দ্রব্য বলি অর্থাৎ যেগুলি ব্যবহারের ফলে মাটি ব্যাপকভাবে দূষণ হয় সেগুলি আমাদের ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আপনারা যেহেতু আজকে আমাদের এখান থেকে মাটি দূষণের চিত্র দেখতে এসেছেন আপনারা এখন একটু ধৈর্য ধরলেই অর্থাৎ এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকলে অবশ্যই মাটি দূষণের চিত্রগুলি আপনাদের চোখে পড়বে।
মাটি দূষণের যে চিত্রগুলি এখন আমরা তুলে ধরছি আপনারা তা মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকেন। মাটি দূষণের চিত্র গুলির মধ্য থেকে আপনি যদি কোন দৃশ্য বা কোন ছবি নিতে চান তাহলে অবশ্যই এখান থেকে সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আবার আরেকটা কথা হল যে আমাদের এখান থেকে যে কোন চিত্র বা ছবি ডাউনলোড করে নিতে চাইলে আপনার এক্সটা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। তাই এ ধরনের যেকোনো তথ্য বা ছবি না পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা মনে করে থাকি।
Leave a Reply