শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশর বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এরপর বাংলাদেশ একের পর এক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠন হতে থাকে।
এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্বম হবে হত্যা করে পাকিস্তানি দেশের এদেশীয় কিছু কুলাঙ্গার সেনাবাহিনীর লোক। তারপর শুরু হয় বাংলাদেশের উল্টোযাত্রা। দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকে। যার পরিণতি হয় ভয়াবহ। সকল দিক থেকেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে থাকে। গণতন্ত্র গলাঞ্জলি দিয়ে এদেশের মার্শাল ল আইন জারি হয়। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উত্থান হয় একাত্তরের পরাজিত সব মানুষগুলি আবার এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়।
এরমধ্যে শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উত্থান হয় আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুখ থুবরে পড়ে যায়। পরে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাজার ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট দেশের বাইরে থাকায় তার জীবন রক্ষা পায়। তাই সে ১৯৮১ সালে আবার পুনরায় দেশে ফিরে আসে এবং বাংলাদেশের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরে।
পরবর্তীতে ১৯ ৯০ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। নির্বাচিত সরকারের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে অবস্থান নেয়। সে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে প্রচুর পরিমাণে ভোট দেয়। সে নির্বাচনে ভোটের শতকরা হারে আওয়ামীলীগ বেশি ভোট হয় কিন্তু আসন বিবেচনায় দলটি হেরে যাওয়ার কারণে বিরোধি দলে বসতে বাধ্য হয়।
তারপর উনিশ ৯৬ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠায় এবং ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তখন থেকে ই বাংলাদেশের নতুন জীবন শুরু হয়। বাংলাদেশ তখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় দেখতে পায়। বাংলাদেশ একে যদি থাকে বিশ্বের দরবারে আবার মাথা উঁচু করে জানাতে থাকে।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে ব্যাপক পরিমাণে উন্নয়ন সাধিত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আবার পরাজিত হয় এবং বিরোধী দলীয় আসনে অবস্থান নয়। অনুরা যখন আবার ২০০৬ সালে নির্বাচন হবার কথা হয় তখন নানা রকম জটিলতার কারণে সরকার ক্ষমতায় আসে।
তারা দীর্ঘ দুই বছর বাংলাদেশকে শাসন করে এরপর 2008 সালে যখন পুনরায় নির্বাচন হয় তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসীন হয়। তখন থেকে অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তার দায়িত্ব পালনে দেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখা হয়। ২০১৯ সালে মহামারীর সময়ও বাংলাদেশের জিডিবি শক্ত অবস্থানে থাকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জননেত্রী শেখ হাসিনা কারণে। তিনি বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আসেন। দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ গুলি যখন অর্থনীতিতে নাস্তানাবুদ তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি মাথায় তুলে দাঁড়ায়।
বর্তমান প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ একই সরে উচ্চারিত হয়। অর্থাৎ শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী চিনতে পারে এবং শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা হিসেবে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রতিটি অফিস আদালতে দেখা যায়। তাই আপনারা যেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর ছবি দেখতে এসেছেন এখন সেই ছবিগুলো আপনাদেরকে দেখাবো। শেখ হাসিনার সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো এখন আপনারা দেখে নিতে পারেন আমাদের এখান থেকে।
Leave a Reply