মা দুর্গা দশভূজা দুর্গতিনাশিনী। সনাতনীদের দেব দেবীদের মধ্যে প্রধান দেবী হলেন দেবী দুর্গা দশভূজা দুর্গতিনাশিনী। ক্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ জয় এর প্রাক্কালে তিনি দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। তিনি তখন 108 টা পদ্ম হলদিয়া দেবীর অর্থ নিবেদন করেছিলেন। এতে তিনি রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ জয় করেন। তখন থেকেই সনাতলীদের মাঝে দুর্গাপূজা প্রচলন শুরু হয়। তবে তার পূর্বে দূর্গা দেবীকে পূজা করা হতো চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত।
কিন্তু রামচন্দ্র দেবী দুর্গাকে অসময়ে পূজা করেছিলেন বিধায় বর্তমানে যে সময় অর্থাৎ শরৎকালে দেবী দুর্গা পূজা করা হয় সেটিকে বলা হয় অকালবোধন। শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অকালে দেবী দুর্গাকে আহবান করেছিলেন বিধায় এই প্রচার নাম হয় অকালবোধন। তবে বসন্তকালের বাসন্তী পূজার চাইতে শরৎকালের শারদীয় দুর্গাপূজায় বেশি প্রচলিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাঙালি অঞ্চল গুলোতে দেবী দুর্গার পূজাতে বেশ ধমধাম এর সহিত এবং ধর্মীয় ভাবগামী সহিত পালন করা হয়ে থাকে।
তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এখানে মা দুর্গার মুখের ছবি দেখতে এসেছেন তাদের অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের মা দুর্গার বিভিন্ন স্টাইলের মা দুর্গার মুখের ছবি আপনাদেরকে অবশ্যই দেখাবো। তবে তার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে দেখে যাবেন তাহলে অবশ্যই মা দুর্গার মুখের ছবি আপনারা পেয়ে যাবেন আশা করি।
আমরা সব সময় আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থাৎ আপনারা যে ধরনের তথ্য উপাত্ত ছবি ইত্যাদি চেয়ে থাকেন সে ধরনের সকল তথ্য উপাত্ত এবং ছবি আপনাদেরকে আমরা সবার আগে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে থাকি। এজন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে অবশ্যই সকল কিছুই আপনারা আমাদের এখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন। মা দুর্গা শরৎকালে অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের মহালয়া থেকে শুরু হয় দেবিপক্ষের।
তখন থেকে বাঙ্গালী সনাতনীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে এবং ধর্মীয় ভাব গম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার আহ্বান থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত অনেক বিধি-বিধানের মাধ্যমে যেতে হয়। অর্থাৎ দেবীপক্ষের শুরুতেই ঘট স্থাপন করে পূজারম্ভ করা হয়। প্রথম ছয় দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে শুরু করে পঞ্চমী তিথি পর্যন্ত দেবী দুর্গার ঘটে পূজিত হয়ে থাকেন। এরপর ষষ্ঠী থেকে দেবী দুর্গার মূর্তিতে পূজা করা হয়ে থাকে। আপনারা যারা আমাদের এখানে মা দুর্গার মুখের ছবি দেখার জন্য এসেছেন আপনাদেরকে অবশ্যই এখন মা দুর্গার মুখের ছবিগুলো দেখাবো।
তবে বর্তমান কালের যে দুর্গাপূজা এত ধমধাম এর সহিত শুরু হয়েছে তা বাংলাদেশের তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ন শুরু করেছিলেন। অর্থাৎ তাহেপুরের জমিদার রাজা কংস নারায়ন রায় এই উপমহাদেশে প্রথম দুর্গা পুজার প্রচলন করেছিলেন। সেই সময় রাজা কংস নারায়ণ রায় প্রায় নয় লক্ষ টাকা খরচ করে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ধুমধামের সহিত দূর্গা পূজা করেছিলেন। তার পরবর্তীতে প্রায় রাজ রাজা জমিদার এরা বাংলাতে বা বাংলার সকল হিন্দু রাজারা জমিদারগণ দূর্গা পূজা শুরু করেন। পরবর্তীতে এই দুর্গাপূজা আর শুধু রাজ রাজা বা জমিদারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।
একেবারে জনসাধারণের মাঝে এই পূজা চলে আসে। অর্থাৎ জমিদার বাড়ির ঠাকুরদালান থেকে বর্তমান সময়ে সকল জায়গাতেই বিভিন্ন বড় বড় প্যান্ডেলের মাধ্যমে ক্লাব ঘরের প্যান্ডেলের মাধ্যমে এই পূজা অর্থাৎ যশোদা দেবী দুর্গার পূজা শুরু হয়। বর্তমানে দেবী দুর্গার পূজার চাইতে থিমের কদর বেশি হয়েছে। অর্থাৎ ধর্মের চাইতে আগাছা বেশি হয়েছে বড়
হয়েছে। তারপরেও আমাদের প্রত্যেক সনাতনীদের উচিত হবে মা দুর্গার পূজা অবশ্যই সার্থকভাবে শাস্ত্রীয় মতে করে যাওয়া। মা দুর্গা তাহলে সমস্ত রকমের দুর্গতিনাশ করে বিপদ থেকে সকল জনগণকে জগজ্জননী মা অবশ্যই রক্ষা করবে। তাহলে আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে মা দুর্গার মুখের ছবিগুলো দেখতে থাকুন। এবং যদি কোন ছবি আপনার ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেটি আপনি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন।
Leave a Reply