আমাদের চারপাশে সব সময় অসংখ্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করে। এই সকল ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে আমরা সব সময় রোগ জীবাণু উৎপাদনকারী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। কিন্তু এর মধ্যে ভাইরাস এর চাইতে ব্যাকটেরিয়া মানব শরীরের জন্য বা মানব সভ্যতার জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। কারণ হলো অনেক ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এই সকল উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ধরনের কাজ তারা আমাদের
অজান্তেই করে থাকেন। সে সকল কাজগুলির মধ্যে আমাদের উপকারে কাজ গুলোই বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে ভাইরাস কে ধ্বংস করার কাজেও ব্যাকটেরিয়া নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য ভাইরাস দায়ী। তাই আমরা যদি ভাইরাসকে দমন করতে পারি তাহলে অবশ্যই ব্যাকটেরিয়া একটি উপকারী ভূমিকা পালন করলো বলেই মনে করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরীর কাজে ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করে থাকে।
অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া সেই সকল খাদ্যগুলো উৎপন্ন হবে না বা আমরা সেই সকল খাদ্যের যে স্বাদ সে স্বার্থকণ গ্রহণ করতে পারবো না বা স্বাদ থেকে বঞ্চিত হব। যেমন ধরুন বাঙালির শখের খাবার বা গরিবের স্বাদের খাবার হল পান্তা ভাত। এই পান্তা ভাতকে পান্তা হওয়ার জন্য এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এখানে অংশগ্রহণ করে থাকে। আবার আপনি প্রতিনিয়ত যে দই খাচ্ছেন অর্থাৎ দুধ থেকে তৈরি যে তুই খাচ্ছেন সেই দই তৈরিতে অবশ্যই ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করছে।
ব্যাকটেরিয়া যদি অংশগ্রহণ না করতো তাহলে দুই বা পান্তা এর মত খাবারগুলি তৈরি হতো না। এ সকল খাবারের স্বাদ থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই ব্যাকটেরিয়া আমাদের অনেক ধরনের উপকার করে থাকে আর সেই সকল উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষন আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বলার চেষ্টা করছি। তবে এতেই কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা কথা শেষ হলো না। আরো রয়েছে যে ব্যাকটেরিয়া গুলো কি কি কাজ করে থাকে। মৃতদেহ পচানোর কাজে অথবা যেকোনো বস্তুকে পৌঁছানোর কাজে এই ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করে থাকে।
তা না হলে একটি বস্তু দীর্ঘদিন পড়ে থাকত কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য ছাড়া কখনোই পচত না। যেমন ধরুন আমাদের বাংলাদেশের সোনালী আঁশ হলো পাট। কিন্তু পাটকে সোনালী আর হয়ে উঠতে এই ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য প্রয়োজন হয়। ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য ছাড়া পাটকে কখনোই সোনালী আঁশ বলা যাবে না। কারণ হলো পাট কেটে যখন আমরা জলে রেখে
দেই তখন সেই পাটকে পচতে সাহায্য করে ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া পাটের সবুজ অংশকে খেয়ে ফেলে এবং সেখান থেকে শুধু আঁশ রয়ে যায়। এভাবেই পাঠ বাংলাদেশের সোনালী আঁশ হয়ে ওঠে। তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম জানার জন্য। ব্যাকটেরিয়ার উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
মানব সভ্যতায় ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অনেক রয়েছে। তাই আজকে আপনাদেরকে আমাদের এই পোস্ট থেকে ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা কথা এতক্ষণ পর্যন্ত বলে গেলাম। এখন আপনারা আমাদের এখান থেকেই জেনে নিতে পারবেন যে একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম। যে ধরনের উপকারের কথা এতক্ষণ বললাম সে ধরনের উপকার থেকে বা সেই
ধরনের উপকার যে সকল ব্যাকটেরিয়ারা করে থাকে সেই সকল ব্যাকটেরিয়াদের নাম আমরা বলে দিলেই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম আপনারা পেয়ে গেলেন। তাই চলুন আর দেরি না করে এখন আপনাদেরকে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম গুলি হল- উপকারী ব্যাকটেরিয়া হল ল্যাকটোব্যাসিলাস।
দই, চিজ-এর মতো খাদ্যে থাকে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ল্যাকটোব্যাসিলাস ছাড়াও অন্ত্রে বাস করা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে বিফিডোব্যাকটেরিয়াম। ইয়োগার্ট, ছাঁচ, কিছু ভিনিগারেও বিফিডোব্যাকটেরিয়াম থাকে। তাহলে আপনারা একটি না অনেকগুলি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারলেন। এবং বুঝেও নিতে পারলেন ব্যাকটেরিয়া রা কোন কোন ধরনের উপকার আমাদের দেহের মধ্যে বা আমাদের জন্য করে থাকেন।
Leave a Reply