শিক্ষার্থীদের জীবনের শুরু থেকেই অর্থাৎ তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণী থেকেই অনুচ্ছেদ রচনা লিখতে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের কমার্শিয়াল স্কুল যেটাকে বলা হয় কিন্ডারগার্ডেন। এই সকল কিন্ডারগার্ডেন স্কুল গুলোতে আরো তাড়াতাড়ি অর্থাৎ প্রায় ক্লাস 12 থেকে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের অনুচ্ছেদ রচনা লিখতে দেওয়া। তবে সরকারি কারিকুলাম বা সরকারিভাবে যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বইগুলি রয়েছে অর্থাৎ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এটি আমাদের দেশের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে
বিভিন্ন ধরনের রচনা লেখা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পরীক্ষায় অর্থাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাতেও বিভিন্ন ধরনের অনুচ্ছেদ রচনা লিখতে আসতো। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ধরনের ভাষাতেই এই অনুচ্ছেদ রচনা প্যারাগ্রাফ ইত্যাদি লিখতে আসে। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন যে, আমার জীবনের লক্ষ্য রচনাটি দেখার জন্য বা পড়ার জন্য।
আপনারা অবশ্যই আমার জীবনের লক্ষ্য রচনাটি আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে আমাদেরকে জীবনের লক্ষ্য স্থির করেই এগিয়ে যেতে হয়। লক্ষ্যহীন জীবন কখনোই সফলতার মুখ দেখতে পারে না। সব সময় যেকোনো কাজ যেমন পরিকল্পনা অনুযায়ী করে যেতে হয় তেমনি ভাবে জীবনের লক্ষ্য স্থির রেখে সেই মোতাবেক পড়াশোনা বা কর্মপত্র ঠিক করলে অবশ্যই সেটিতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
তাই শিক্ষাবিদগণ এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকেই শিশুদেরকে তাদের জীবনের লক্ষ্য কি সেই সম্পর্কে রচনা লিখতে দেওয়া হয়ে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য কি বা লক্ষ কি সে বিষয়ে সম্পর্কেও নিজেরা নিজেরা মনে মনে ভেবে দিতে পারে। বা লক্ষ্যবস্তু স্থির করতে পারে। প্রতিটি বাবা-মায়েরও উচিত হবে যে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথম থেকেই সে কি হতে চায় ভবিষ্যৎ জীবনে এই বিষয়টি যেন স্পষ্ট করে বা স্পষ্ট হয়ে সেই লক্ষ্যবস্তুর দিকে বা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
এতে করে দেখা যাচ্ছে যে প্রাথমিকভাবে তার মন-মানসিকতা সেই ধরনের ব্যক্তি অর্থাৎ ভবিষ্যৎ জীবনে সে যা হতে চায় এই ধরনের মন মানসিকতাও তৈরি করতে হবে। এই কারণে যদি একজন শিক্ষার্থীর মন-মানসিকতা সেই ধরনের তৈরি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভবিষ্যৎ জীবনে তার সেই লক্ষ্য তেই এগিয়ে যেতে পারবে। এই কারণে আমাদের স্কুলগুলোতে প্রথম থেকেই আমার জীবনের লক্ষ্য নামক যে রচনা বা অনুচ্ছেদ লিখতে দেওয়া হয় তা যদি আমরা যথাযথভাবে আমাদের জীবনে মেনে চলতে পারি তাহলে অবশ্যই জীবন সুন্দর হবে।
লেখাপড়ার শেখার অর্থটাই হচ্ছে এই বিষয়গুলি। যদি থাকে লক্ষ্য স্থির কাজ হবে সুনিশ্চিত। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে যদি থাকে যে ভবিষ্যৎ জীবনে তাকে কি করতে হবে তাহলে সে প্রথম থেকেই সেই ধরনের বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে যায়। তাই তখন সে তার কর্মটিকে অবশ্যই ভালো মনে করে এবং কর্মটি ভালোভাবে করতে পারে। যে কোন পেশাকে যদি ভালোভাবে মেনে নেওয়া না যায় বাপের সাথে যদি ভালোবাসা না যায় তাহলে তার কাছ থেকে সুন্দর কাজ আশা করা যায় না। আমরা জানি কাউকে দিয়ে কোন কিছুই জোর করে আদায় করা যায় না।
তাই জোর করে আদায় করার চাইতে যদি ভালোবাসায় আদায় করা যায় তাহলে অবশ্যই সেই কর্মটি বেশি ভাবে পাওয়া যেতে পারে। তাই আমরা প্রত্যেকটা শিশুর মনে ছোট থেকেই গেছে দেওয়া উচিত যে সে ভবিষ্যৎ জীবনে কি হতে চায় বা তার জীবনের লক্ষ্য কি। এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই একটি অনুচ্ছেদ রচনা করলে দেখা যাবে সেটি তাকে আর বই-পুস্তকে পড়তে হবে না শুধুমাত্র কিভাবে অনিচ্ছেদ টা লিখবে সেটি জানলেই হল।
তার নিজের জীবনের লক্ষ্য নিয়েই একটি অনুচ্ছেদ রচনা হয়ে যাবে। কারণ প্রতিটি মানুষই কোন না কোন কাজকে ভালোবেসে থাকে। আর ভালোবাসার কাজটি যদি ভবিষ্যৎ জীবনে কর্ম বাপের সাথে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি থেকে ১০০ পার্সেন্ট সফলতা আমরা পেতে পারি। তাহলে আপনারা এখন আমার জীবনের লক্ষ্য রচনাটি দেখতে পারেন।
Leave a Reply