ষড়ঋতুর বাংলাদেশে দুই মাস পর পর ঋতু বদল হয়। আমাদের দেশের প্রথম রীতি শুরু হয় গ্রীষ্মকাল দিয়ে। এবং শেষ হয় বসন্তকাল দিয়ে। অর্থাৎ ঋতু ছয়টি হলো দৃশ্য বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্ত। গ্রীষ্মকাল অত্যন্ত শুষ্ক একটা ঋতু এই ঋতুতে চারিদিকে তাপদাহ প্রবাহিত হয় যাতে করে মানুষেরা গরমে অস্থির থাকে। পশুপাখি থেকে শুরু করে সকল প্রাণী এবং উদ্ভিদরা গরমে জড়োসড় হয়ে থাকে অর্থাৎ একটুকুও জল পেতে বা জনের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য প্রকৃতি উদগ্রীব হয়ে থাকে।
তারপরেও মাঝে মাঝে কালবৈশাখীর ঝড় হয় এই ঋতুতে। কালবৈশাখের ঝড় হলেও যেহেতু দুই এক পশলা বৃষ্টি হয় এই কারণে অনেকটাই আরাম অনুভূত হয়ে থাকে। এ সময়টাই মনে হয় গ্রীষ্মকালেও বর্ষার ছোয়া বা আগমনের বার্তা। সাধারণত বৈশাখ এবং জৈষ্ঠ মাস নিয়ে শুরু হয় গ্রীষ্মকাল। সকালের পরেই আসে বর্ষা ঋতু।
অর্থাৎ গ্রীষ্মের তাপদাহ কে ঠান্ডা করার জন্য ধরনের বুকে নেমে আসে অনাবিল বর্ষা। সারা ধরণীকে তারা জলে সিক্ত করে দেয়। প্রশান্তি নেমে আসে আমাদের এই পৃথিবীর বুকে ধরনের বুকে। চারিদিকে জ্বালা-মগ্ন অবস্থায় থাকে। নদী নালাখাল বেলপুকুর সকল জায়গাতেই জলে থৈথৈ করে কোথাও দাঁড়ানোর এতটুকু জায়গা নেই। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে সেই উপরে বৃষ্টির সাথে সাথে আবার বন্যার কারণেও চারিদিকে থৈ থৈ করে থাকে।
বৃষ্টির জল নদীতে নামার তেমন কোন পথ না থাকার কারণে দেখা যায় যে চারিদিকে জলে থই থই করছে। এমতাবস্থায় নৌকা ছাড়া মানুষ এক জায়গা থেকে অনেক জায়গায় যেতে পারে না। তবে অনেক অঞ্চল রয়েছে যে অঞ্চলগুলিতে নৌকায় যাওয়ার কারণে অনেক সুবিধা হয়ে থাকে। যেসব অঞ্চলে শুকনা মৌসুমে আমরা পায়ে হেঁটে ছাড়া যেতে পারি না সেসব অঞ্চলে এখন জনগণ না থাকার কারণে নৌকায় যেতে পারি অতি তাড়াতাড়ি এবং সহজেই। গ্রীষ্মের তাপদাহ কে শান্ত করার জন্য চলে আসে বর্ষার অবিরাম বাড়ি বা বৃষ্টি।
এই বৃষ্টিতে অনেকেই স্নান করতে অনেক মজা পায় আবার কৃষকেরা বৃষ্টিতে ভিজে তাদের জমি চাষাবাদ করে ফসল বোনা শুরু করে। বর্ষার বৃষ্টি যদি নামতে দেরি হয় তাহলে কৃষকের ফসল ফলানো তো দেরি হয়ে যায়। বর্ষার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে অনেক কৃষক তাদের ফসল ফলানোর জন্য। বাংলার মাঠ ঘাট প্রান্তর শুরু হয়ে যায় ধান লাগানোর খেলা। ধান লাগিয়ে চারিদিকে শুধু সবুজ হয়ে যায় গ্রাম বাংলার মাঠ। এজন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু হলো এই বর্ষাকাল।
সকালে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ঘুম পাড়তেও যেমন মজা লাগে তেমনি যে কোন কাজ করার জন্য বৃষ্টির সেই রিমঝিম শব্দ মনের মধ্যে আনন্দ তুলে দেয়। যদিও অনেক সময় দেখা দেয় যে বর্ষাকালে গরিব মানুষের বিভিন্ন ধরনের কষ্ট হয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদের ঘর বাড়ি নাই তারা বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে থাকে শুয়ার জায়গা পায় না তাই তাদের জন্য অনেক কষ্ট কিন্তু বাকি সকলের জন্য অবশ্যই এই বর্ষাকাল অনেক আনন্দের হয়ে থাকে।
এ কারণে আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে বর্ষার ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে আজ এখনই বাসার ছবিগুলো দেখে নিতে পারবেন। আপনারা দেখতে থাকবেন বর্ষার ছবিগুলো এবং দেখতে দেখতে যদি মশার ছবি আপনাদের নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো আবার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ছবিগুলো ডাউনলোড করে নিতে আপনার আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হবে না। আপনি চাইলেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার বর্ষার ছবিগুলো যেগুলি পছন্দ হয়েছে। বর্ষাকালের ছবি আসলেই মনোরম ছবি এবং এই ছবিগুলো দেখার জন্য আমাদের যেহেতু সব সময় মন কাঁদে তাই আমরা এখান থেকে অবশ্যই আজকে বসার ছবিগুলো দেখব। তুমি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে বর্ষার সময় অনেকটা বেঁচে গেছে এবং ঠিকমত বর্ষ হতে চায় না বা হয় না। তারপরেও আমরা আপনাদের এখান থেকে অবশ্যই বসার আসল ছবিগুলো এখন এখানে দেখাবো।
Leave a Reply