যদি আপনি মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটা বয়স শুরু হলে মাসিক হওয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। তবে সকলের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া একরকম নয় বলে অথবা সকলের শরীরের গঠন একরকম নয় বলে একেকজনের একেক রকম বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়। তাই স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন অভিভাবক যদি কন্যা সন্তানের পিরিয়ড বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে চাই অথবা নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো চিহ্নিত
করতে চাই তাহলে অবশ্যই তাকে এই সকল নিয়মগুলো জেনে নিতে হবে। এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে এই ঋতুচক্রের লক্ষণ গুলো যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেকের জন্যই ভালো হবে এবং এই সকল উপসর্গ দেখে একটা মেয়ের পিরিয়ড হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে। তাই পিরিয়ড হলে আসলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা যায় অথবা কিভাবে বোঝা যায় সে বিষয়গুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হলো।
সাধারণত আমরা ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হবে বলে জেনে থাকলেও অনেক সময় মেয়েদের শরীরের গঠন বয়স এবং ওজনের বিষয়ের উপর নির্ভর করে এগুলো নির্ভর করে থাকে। তাই মেয়েদের মাসিক হওয়ার ক্ষেত্রে আসলে এটা হচ্ছে কিনা অথবা এটা হওয়ার লক্ষণ দেখে যদি বুঝতে চান তাহলে আপনাদেরকে লক্ষণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে। থাকবে তখন বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যাবে এবং এই লক্ষণ গুলোকে অবশ্যই অভিভাবক জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। যখন কোন মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হবে তখন অবশ্যই তাদের অভিভাবককে এ বিষয়ে সচেতন থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রদান করলে তারা আতঙ্কিত হবে না।
যদি কোন মেয়ের মাসিক শুরু হয় তাহলে শরীরের নিচের অংশে চুল গজাতে পারে এবং দেহ আস্তে আস্তে বেড়ে উঠতে শুরু করবে। বিশেষ করে বুকের অংশ আস্তে আস্তে ফুলে থেকে উঠবে এবং এর মাধ্যমে বোঝা যাবে যে একটা মেয়ে মাসিক হওয়ার ভেতর দিয়ে আস্তে আস্তে আসছে। সাধারণত শরীরের নিচের অংশে কেশ আসা এবং বুকের অংশ ফুলে চেপে উঠা বুঝতে পারলেই বুঝে নিবেন যে একটা মেয়ের পিরিয়ড শুরু হতে আর খুব বেশি দেরি নেই অথবা আস্তে আস্তে এর মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি কোন মেয়ের মাসিক শুরু হয়ে যায় তাহলে সেই মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিকে তার রক্তের গতিপ্রবাহ খুবই বেশি থাকবে এমন বিষয় নয়।
তাছাড়া মেয়েদের শরীরের বিশেষ অঙ্গ থেকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ধরনের পানি বের হতে শুরু করবে এবং সে বিষয়টি যদি খেয়াল রাখতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে আস্তে আস্তে পেটের ব্যথা শুরু হয়ে যাবে। পেটের ব্যথার সাথে সাথে পেটের দিকে ভারি ভারি ভাব লাগবে অথবা পেটের
ভেতরে চাপ ধরে থাকলে যে সমস্যা গুলোর সৃষ্টি হয় সেগুলো অনুভূত হবে। যদি কোন মেয়ের মাসিক শুরু হয় তাহলে প্রথমদিকে সেই দাগগুলো লেগে থাকার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি এবং হঠাৎ করে এ ধরনের পরিবর্তন মেয়েদের ভেতরে আতঙ্কের সৃষ্টি করে থাকে বলে একজন অভিভাবক যদি সচেতন ভূমিকা পালন করেন এবং সাহস দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সকল বিষয় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
যেহেতু এটা প্রত্যেকটা মেয়ের মাসিক ভিত্তিতে একটা ঋতুচক্র সেহেতু এখান থেকে একটা মেয়েকে স্বস্তি প্রদান করতে হবে। সাধারণত যে সকল আন্ডার গার্মেন্টস পড়লে মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে সে বিষয়গুলো তাদেরকে দেখভাল করতে হবে এবং সেই আন্ডার গার্মেন্টস গুলোই ব্যবহার করতে হবে। তাই এ সকল শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করার
পাশাপাশি যদি সচেতন অভিভাবক একজন কন্যা সন্তানকে সাহস প্রদান করেন তাহলে কারো কাছেই এটা আতঙ্কের বিষয় হবে না। তাছাড়া প্রথম দিকে এটা অনেকের জন্য স্বাভাবিক বলে মনে হলো আস্তে আস্তে তা ঠিক হয়ে যায় এবং একজন মেয়ের মা এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করে থাকেন বলে প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে যায়।
Leave a Reply