মা দুর্গা হলেন বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বী প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে জগৎ জননী মা। জগত জননী মা দুর্গার আশ্রয় নিলে সকল ধরনের দুঃখ দুর্দশা কষ্ট লাঘব হয়ে থাকে। তাই আমরা আমাদের সুখ-দুঃখ কষ্টে অথবা এমনিতেও আমরা সবসময়ই মা দুর্গাকে স্মরণ করে থাকবো এবং তার আশ্রয় গ্রহণ করে থাকব।
মা দুর্গাকে পূজা করে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র রাবনের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। অর্থাৎ ভগবান শ্রী রামচন্দ্রই মা দুর্গা কে স্মরণ করেছিলেন যুদ্ধে জয় করার জন্য। মা দুর্গা হলেন শক্তির দেবী শক্তি রুপিনী, শান্তিরূপিনী মা। তাই আপনারা যারা আজকে এখন আমাদের এখান থেকে মা দুর্গার ছবি দেখতে এসেছেন তারা অবশ্যই মা দুর্গার ছবি দেখে নিতে পারবেন।
আমরা আপনাদের জন্য মা দুর্গার বিভিন্ন ধরনের ছবি অর্থাৎ মা দুর্গা যে রূপে ভক্তদের কাছে পুজিত হয়ে থাকেন এছাড়াও অন্যান্য যে রোগ গুলো আমরা চিনে থাকি সেই ধরনের সকল রূপের মা দুর্গার ছবি আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সকল সময় বিভিন্ন ধরনের ছবি বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে থাকি। অর্থাৎ আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের তথ্য ছবি অথবা অন্য যেকোন ো জিনিস প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।
মা দুর্গা হলেন জগতের জননী তাই সকল ভক্তগণ সকল জীবজগৎগণ অবশ্যই মা দুর্গার আরাধনা করে থাকেন আমরা তাই মা দুর্গার আরাধনা করে থাকি। ঈশ্বর যে রূপে প্রতিটি জীবজগৎকে বা প্রতিটি জীবজগতের প্রত্যেক বস্তুকে শক্তি প্রদান করে থাকেন তাই হল মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী। তিনি সবসময় তার ভক্তদের এমনকি এই জগতের সকল দুঃখ দুর্দশা নাশ করে থাকেন। আর এই কারণেই তার নাম হয়েছে দুর্গতিনাশিনী দশভূজা দুর্গা। আমরা জানি যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক ব্যক্তিবর্গ ৩৩ কোটি দেবদেবীর পূজা করে থাকেন।
আসলে আমরা সকলেই জানি যে ৩৩ কোটি অর্থ 33 প্রকারের দেবদেবীর। কারণ সংস্কৃত ভাষায় কটি শব্দের অর্থ হলো প্রকার। তাই ৩৩ প্রকারের দেবদেবী পূজা আমরা করে থাকি। তেত্রিশ প্রকারের মধ্যে এক প্রকার হলো শক্তি। শক্তির দেবী পার্বতীর একটি অবতার হলেন মা দুর্গা। আসলে মা দুর্গা মা কালী মা চন্ডিকা মা জগদ্ধাত্রী এগুলি মা পর্বতেরই বিভিন্ন ধরনের অবতার। তাই মা কালীকে বা মা দুর্গাকে আমরা জগমাতা বলেই বিবেচিত করে থাকি। মা দুর্গা তিনি এই পৃথিবীকে ধারণ করে পৃথিবী থেকে সকল অশুভ সকল অমঙ্গল এবং সকল দুঃখ দুর্দশা দূর করে থাকেন।
সকল ভক্তদের উপর রয়েছে মা দুর্গার স্নেহ বাৎসল্য শক্তি। এজন্য জগতের সকল অমঙ্গলকে অশান্তিকে দূর করার জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশের শরৎকালে দেবী আরাধনায় মত্ত হয়ে থাকেন সকল ভক্তগণ। ভগবান শ্রী রামচন্দ্র অসময়ে অর্থাৎ শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের জন্য। দেবী দুর্গাকে অকালে পূজা করেছিলেন বলে এই পূজাটির নামকরণ করা হয়েছে অকালবোধন। আর এই অকাল বচন পুজোটি সেই তখন থেকেই দেবী দুর্গার ভক্তদের মাঝে চলে আসছে। বর্তমান সময়ে এই উৎসবটি প্রতিটি বাঙালির অন্তরে আনন্দ ভ্রাতৃত্ববোধ ইত্যাদি জাগিয়ে তোলে।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মা দুর্গার আরাধনা করে থাকেন শরৎকালের আশ্বিন মাসের শুক্লা তিথিতে। অর্থাৎ আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথির পরেই শুরু হয় দেবিপক্ষ। এই দেবীপক্ষ পূর্বে ছিল পিতৃপক্ষ। অবশ্যই পিতৃপক্ষের দর্পণ শেষ করে দেবিপক্ষে শুরু হয় সকল ভক্তদের মাকে আরাধনা করা। আর এই সময় সারা বাংলা সহ পৃথিবী মায়ের আরাধনায় অর্থাৎ মাতৃ আরাধনায় জাঁকজমক হয়ে ওঠে।
এখন আপনারা আমাদের এখান থেকে মা দুর্গার দেবী দুর্গার বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখে নিতে পারবেন। এবং এখান থেকে আপনারা যে ছবিগুলো দেখবেন সেই ছবিগুলা থেকে যদি কোন ছবি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ছবিগুলো আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ছবিগুলো ডাউনলোড করে নিতে আপনার আলাদা কোন এক্সট্রা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না।
Leave a Reply