অনেক মানুষ আছেন যাদের লিভারে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে এবং লিভারের সমস্যা বিষয়ে আমরা যদি আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে না তুলতে পারি অথবা নিজেদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। তাই দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যবান এবং সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করার কোন বিকল্প নেই।
তাই যারা সুস্থ থাকতে চান এবং দীর্ঘ সময় ধরে বয়স ধরে রাখতে চান এবং কোন ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে চান তাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি যদি মনে করেন খাদ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবেন অথবা যে সকল খাবার খেলে লিভারের সমস্যা হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন তাহলে খুবই ভালো সিদ্ধান্ত একটা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বলবো।
সর্ব প্রথমে আমরা আপনাদেরকে লিভার সিরোসিসের ছবিগুলো প্রদান করব এবং এটা আসলে কি ধরনের রোগ অথবা কেন হয় সে বিষয়গুলো যদি জানিয়ে দিতে পারে তাহলে অনেক সচেতন ব্যক্তি সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তাই যখন লিভার সিরোসিস হবে তখন অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিকতা অবলম্বন করতে হবে এবং এটা আসলে কি ধরনের রোগ তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু লিভার মানেই হলো যকৃৎ অথবা আমাদের শরীরের ভেতরে অবস্থিত একটা অংশ সেহেতু এখানে একটা বড় ধরনের অসুখ হওয়াটাই হলো লিভারসরোসিস।
তাই এটার কারণে মানুষের শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং এই প্রদাহ যখন হবে তখন আস্তে আস্তে কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। স্বাভাবিক গঠন অথবা পরিবর্তনের চাইতে এটা যখন ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে তখন আমাদের লিভার আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে যাবে এবং এটার যে সকল কার্যক্ষমতা রয়েছে অথবা শরীরের অভ্যন্তরের যে কাজগুলো করে থাকে সেগুলো ব্যাহত হবে।
লিভার সিরোসিস কি কারনে হতে পারে সে বিষয়গুলো যদি আমরা এখন জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে নিজেদেরকে সে বিষয়গুলো থেকে অবশ্যই মুক্তি দান করতে পারব। সাধারণত যে সকল ব্যক্তির শরীরে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস রয়েছে তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
হেপাটাইটিস বি অথবা সি যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী শরীরের ভেতরের ভাইরাস গুলোকে নির্মূল করতে হবে। অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন তাদেরকে অবশ্যই অ্যালকোহল থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যদি আপনি বজায় রাখতে পারেন তাহলে দৈনন্দিন জীবনে লিভার সিরোসিস থেকে অন্যান্য আরো অনেক অসুখ থেকে মুক্তি দিতে পারবেন।
তাছাড়া বাস্তবিক জীবনে আমরা অনেক ধরনের ওষুধ গ্রহণ করে থাকে এবং ওষুধ গ্রহণ করার ফলে তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই যারা আইএনএইচ অথবা এমিওড্যারন জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকেন তারা এই সমস্যাতে সম্মুখীন হতে পারেন অথবা লিভার সিরোসিস নামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কারো যদি উইলসন্স ডিজিস থেকে থাকে তাহলে সেটা থেকেও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যদি আপনারা হেমোক্রমেটাইটিস অথবা ফ্যাটি লিভারের সমস্যাতে ভুগে থাকেন তাহলে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
তাই উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আমরা যদি নিজেদেরকে সর্বপ্রথমে মুক্ত করতে পারি অথবা সকল ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি তাহলে মানুষের শরীর লিভার সিরোসিসে এতটা আক্রান্ত হবে না। তাই আমরা অবশ্যই সঠিকভাবে প্রত্যেকটি কাজ করব এবং আমরা যদি সঠিকভাবে প্রত্যেকটি কাজ করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের অনেক ভালো হবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে পারব।
তাই এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে যারা লিভার সিরোসিস সম্পর্কে জেনে নিতে পারলেন তারা হয়তো উপরের উল্লেখিত বিষয় থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সাথে লিভার সিরোসিস দেখতে কেমন হয় সেটা জানার জন্য যারা ছবি অথবা পিকচার ডাউনলোড করতে এসেছেন তারা এগুলো এখান থেকে ডাউনলোড করে নিবেন।
Leave a Reply