অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা যদি রাজ সাপের ছবি সংগ্রহ করার জন্য এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে সেই ছবিগুলো এখান থেকে দেখে নেওয়ার পাশাপাশি এগুলো সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। রাস্তাঘাটে অথবা কোন স্থানে যখন আপনারা কোন সাপ দেখবেন তখন সেটা চিহ্নিত করার জন্য হয়তো নিশ্চিত হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ছবি দেখার চেষ্টা করে নিবেন।
কারণ অনেক সময় দেখতে একই রকমের হয়ে থাকলো কিছু সাপ রয়েছে যারা বিষধর এবং কিছু সাপ রয়েছে যারা বিষহীন। যেহেতু এগুলো আমাদের পরিবেশের একটা অংশ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলে সেহেতু অনেক সময় আমরা হয়তো এগুলো দেখে থাকার সাথে সাথে মেরে ফেলি। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ হওয়ার কারণে রেসকিউ টিমের মাধ্যমে এগুলো সংগ্রহ করে যদি আমরা পরিবেশের মধ্যে ছেড়ে দিই অথবা যেখানে মানুষ জনের বসতি নেই সেখানে ছেড়ে দেই তাহলে খুবই ভালো হবে।
অনেক মানুষ রয়েছেন যারা সাপ দেখলে তাদেরকে মারতে হবে এমন মানসিকতা নিয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে ফেসবুকে ডিপ ইকোলজি নামক একটা ফেসবুক খুব গড়ে উঠেছে যেখানে স্কুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাপের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। ফলে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ নিজেদেরকে সচেতন করতে পারছে।
অর্থাৎ সাপ দেখলেই যে মারতে হবে অথবা সেগুলো দেখে আর সাথে সাথে যে ওঝা ডেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে ট্রেনিং গ্রহণ করছে এবং বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং গ্রহণ করার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কোথাও বিভিন্ন ধরনের সাপ দেখা দিলে রেসকিউ টিম সেখানে পৌঁছে সেই সাপ উদ্ধার করছে।
সেই সাথে সেখানে সাপ পরিচিতি গড়ে উঠছে এবং কোন সাপের বিষ রয়েছে এবং কোন সাপের বিষ নেই সেগুলো সম্পর্কেও আলোচনা করা হচ্ছে। তাছাড়া বিষ ওয়ালা সাপ দেখলেই যে আপনারা একেবারে ঘাবড়ে যাবেন বিষয়টা এভাবে না নিয়ে আমরা যদি সেখানে শান্ত থাকার চেষ্টা করি এবং কোন সাপকে যেন রাগান্বিত না করে সে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে। কারন আমাদের কর্ম তৎপরতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের স্বার্থ বলে বসে এবং এখান থেকে বিষ ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেক সময় অনেকের মৃত্যু ঘটে।
কিন্তু আপনাদের এখানে কামড়ালে যে বিষ লেগে যাবে অথবা বিষ নামানোর ক্ষেত্রে ওঝার মাধ্যমে যে আপনারা বিষয়গুলো ছাড়িয়ে তুলবেন সেই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লেখা সেখানে লেখা হয়ে থাকে। তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু এখান থেকে রাজ সাপের ছবি সংগ্রহ করতে এসেছেন সেহেতু এটাকে অনেক সময় শঙ্খচূড় অথবা
রাজ গোখরা বলা হয়ে থাকে । এটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে বিষধর সাপ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপের বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং এগুলো দেখতে অনেক সময় ৫.৬ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে স্বাভাবিক মাপ থেকে শুরু করে এরা সর্বোচ্চ ১৮.৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
আপনারা যখন বিভিন্ন বিষয়ে এই ছবিগুলো সংগ্রহ করবেন এবং যদি জীব বিজ্ঞানের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের এ সংক্রান্ত বিষয়ে ধারণা প্রদান করতে চান তাহলে ছবিগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে সেগুলো প্রদান করুন। অন্যান্য সাপের চাইতে এই সাপের ভেতরে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকার কারণে আপনারা খুব সহজেই তা বুঝতে পারবেন এবং এখান থেকে খুব সহজেই নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবেন।
তাই কোন বিষয়ে অধিক চিন্তিত হয়ে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বসবাস না করে আমরা যদি সুশিক্ষা অর্জন করতে পারি অথবা কর্মপদ্ধতির ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে অনেক সময় বিপদাপন্ন সময় থেকেও নিজেদেরকে উদ্ধার করা যাচ্ছে। নিচের দিক থেকে আপনারা এগুলো সংগ্রহ করে নেওয়ার পাশাপাশি যদি মনে করেন আরো কোন ছবির দরকার তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে কি ধরনের ছবি প্রয়োজন তা লিখে জানান।
Leave a Reply