সূর্যমুখী ফুল হলো একটি তেল বীজ উৎপাদনকারী ফুল। অর্থাৎ শীতকালে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে উন্নত মানের ভোজ্য তেল উৎপাদিত হয়। বর্তমান সময়ে সূর্যমুখী বীজ থেকে উৎপাদিত তেল মূল্যবান হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। অন্যান্য তেল বীজ থেকে যে সকল তেল উৎপাদন হয় সেগুলো ভোজ্য তেল হিসেবে পেলেও মোটামুটি ভাবে সূর্যমুখী বীজ থেকে যে তেল উৎপাদিত হয় তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন হয় এটি বেশি মূল্যমানের হয়ে থাকে।
তাই আজকে আপনারা যেহেতু আমাদের এখান থেকে সূর্যমুখী ফুল কখন হয় সে বিষয়টি জানতে এসেছেন। সূর্যমুখী ফুল খুব আকর্ষণীয় ফুল। যখন কোন জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয় এবং যখন এর ফুল ফোটে একসঙ্গে সমস্ত জমির তখন এক অপরূপ দৃশ্যে পরিণত হয়ে থাকে। সূর্যমুখী ফুলগুলো বিশেষ করে পূর্ব দিকে ফুটে এই কারণে একে সূর্যমুখী ফুল বলা হয়ে থাকে।
আবার আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে সূর্যমুখী ফুলগুলি সূর্য যেদিকে যায় সেদিকে আস্তে আস্তে ঘুরতে থাকে। অর্থাৎ সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলেই এই ফুলকে সূর্যমুখী ফুল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সূর্যমুখী ফুল কৃষকেরা তেল বীজ হিসেবে চাষ করে থাকে। বাংলাদেশে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ ব্যাপকভাবে না হলেও মোটামুটি ভাবে বিভিন্ন জায়গায় এই ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা আমাদের দেশে দেখে থাকি শীতকালে এই ফুলের বীজ রোপন করে থাকে। এবং বসন্তকালের দিকে এই ফুলের চাষ হয়ে থাকে বা ফুল ফুটে থাকে।
সাধারণভাবে দেখলে দেখা যায় যে সূর্যমুখী হলো একবর্ষী ফুলগাছ। এই গাছটি লম্বায় 3 মিটার হয়ে থাকে। সূর্যমুখী ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এবং এই ফুল কিছুটা সূর্যের মতো দেখতে এবং সূর্যের দিকে মুখ করে ফুটে এই কারণে বলা হয় সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখী ফুলের বীজ হাঁস মুরগির খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। আবার এর তেল অর্থাৎ সূর্যমুখী বীজের তেলও বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে আমাদের বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়।
সাধারণত সমভূমি এলাকায় শীত ও বসন্তকালে এই ফুলটি চাষ করা হয়ে থাকে। এছাড়া উঁচু লাল মাটি এলাকায় বর্ষাকালে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবেই চাষ করা হয়ে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হয়। আমাদের দেশে রাজশাহী নাটোর যশোর পাবনা দিনাজপুর গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় মোটামুটি ভাবে চাষ করা হয়ে থাকে।
তাই যেহেতু আপনারা সূর্যমুখী ফুলের কখন চাষ হয় সে বিষয়টি এখান থেকে দেখতে এসেছেন মোটামুটি ভাবে এতক্ষণে বুঝে নিতে পারলেন যে কোন এলাকায় কখন সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। সূর্যমুখী ফুল যেহেতু এক বৎস্যজীবী একটি ফুলের গাছ তাই বৎসরের বিভিন্ন সময় এই ফুল গাছটি চাষ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন এলাকায়। তবে আমাদের বাংলাদেশের ভূমি যেহেতু সমতল ভূমি এলাকার মধ্যে পড়ে এজন্য আমাদের দেশের শীত এবং বসন্তকালে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যদি এ ধরনের যেকোনো তথ্য জানার জন্য এসে থাকেন আমাদের ওয়েবসাইটে তাহলে অবশ্যই পাবেন।
কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারিক জীবনে যে ধরনের তথ্য গুলি প্রয়োজন হতে পারে এ ধরনের সকল তথ্যই আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রচার করে থাকি বা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ ধরনের সকল তথ্য গুলি পেয়ে যাবেন বলে আশা করি। আর আমরা যে ধরনের তথ্য আপনাদের প্রয়োজন হয় সকল তথ্যগুলোই অত্যন্ত সঠিকভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করে থাকি।
Leave a Reply