মেয়েদের বিয়ের আইন ২০২৩

২০২৩ সালে মেয়েদের বিয়ের আইনের ক্ষেত্রে কোন কোন নিয়ম প্রকাশিত হয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের আইন ২০২৩ নিয়ে আলোচনা করব যাতে করে কোন সচেতন অভিভাবক কন্যা সন্তানদেরকে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে পারেন। আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি বলে এটা আপনাদের জীবনকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহজ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করছে।

তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনা অথবা টাইটেল অনুযায়ী আপনারা যদি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই বলব আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করাই তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখুন। তাহলে মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক বয়স অথবা সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে যে আইন গুলো প্রণীত হয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়ার সুযোগ হয়ে যাবে।

সাধারণত মেয়ের বিয়ের দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অভিভাবক চিন্তিত থাকেন এবং তারা সবসময় মনে করেন সৎপাত্রে যদি কন্যাকে দান করা যায় তাহলে আজীবনের জন্য নিশ্চিহ্ন থাকা যাবে। কারণ বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ছেলে বেকার এবং অধিকাংশ ছেলে বিভিন্ন ধরনের মাদকাশক্ত হয়ে রয়েছে। তাই যখন মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করবেন তখন অবশ্যই সকলে বিবেচনা করবেন এবং যাতে করে ছেলেটা ভালো হয় সে বিষয়ে আপনাদেরকে ভালোমতো খোঁজখবর নিতে হবে। কারণ আপনি যদি সৎপাত্রে কন্যা দান না করেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই কন্যা সেই সংসারে গিয়ে শান্তিতে থাকবেনা অথবা সম্মানিত হবে না।

তাই বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি আপনার কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিতে চান তাহলে মেয়েদের বিয়ের আইন ২০২৩ অনুযায়ী 18 বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। যদি বাল্য বিবাহের ব্যবস্থা করেন এবং সেটা যদি সংশ্লিষ্ট থানা কোনভাবে অবগত হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে সেখানে গিয়ে বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে এবং আপনার সকল ধরনের খরচ নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনারা মেয়েদের বিয়ের আইন অনুসরণ করবেন এবং এক্ষেত্রে ১৮ বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাছাড়া বর্তমান সময়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বীতে অর্জনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে বলে মেয়েদের পড়ালেখা সহজে উঠেছে।

তাই চাইলে এখন অভিভাবকেরা খুবই কম খরচে মেয়ে সন্তানদের পড়ালেখার ব্যবস্থা করাতে পারছে এবং তাদের সুশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন। তাছাড়া বিয়ে করার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ সামাজিক রীতি নীতি হওয়ার কারণে সেগুলো সরকারিভাবে কোন আইনের পর্যায়ে পড়ে না।

তাছাড়া এক এক জায়গার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একেকরকম হওয়ার কারণে বিয়ের যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো আপনারা আইনের আওতায় না এনে পারিবারিকভাবে অথবা সামাজিক রীতিনীতি মেনে এগুলো অনুষ্ঠিত করতে পারেন। তবে মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে অথবা হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে যৌতুকের বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অর্থাৎ যৌতুকের কারণে কোন পরিবার যেন ভেঙে না পড়ে অথবা কোন পরিবারের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয় তার জন্য অবশ্যই ছেলে পরিবারকে বিশেষ বিবেচনা করতে হবে। তাই যৌতুক বিষয়ে মেয়েদের পরিবারকে চাপ না দিয়ে সুন্দরভাবে বিবাহ করার জন্য নিজেদের সমর্থ্য করে তুলুন। তাছাড়া বিয়ে করার ক্ষেত্রে মোহরানা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো থেকে থাকে সেগুলো নির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যেই থাকতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে কোন কিছু অতিক্রম করা যাবে না।

তাই মেয়েদের বিবাহের আইন ২০২৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তা তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি করবেন না। কন্যা সন্তান যেহেতু সৃষ্টি হয়েছে সেহেতু মহান সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই তার ভাগ্যে এমন একজনকে লিখে রেখেছেন যেটা পূর্ব থেকে নির্ধারিত। উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা আশা করি অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন এবং এ প্রসঙ্গে কোন কিছু জানার থাকলে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন।